বাংলাদেশের মঞ্চের, টিভি নাটকের ও সিনেমার অভিনেতা কোহিনূর আলম। বন্ধু রোমেনের দুই বোন কলি ও সুমীর সঙ্গে ‘বাংলাদেশ থিয়েটার’-এ যেতেন। শখের বশেই অভিনয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহে একসময় এই দলের সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৯০ সালে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। এই দলের হয়ে ‘সি মোরগ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এরপর ২০০০ সালে এই দল ছেড়ে যোগ দেন ‘নাট্যজন’-এ। নাট্যজন’র হয়ে তিনি মঞ্চে অভিনয় করেছেন ‘তেভাগার পালা’ ও ‘অলীক বাবু’ নাটকে। এই দু’টি নাটকেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন। তবে দলটির প্রতিষ্ঠাতা তবিবুল ইসলাম বাবুর প্রয়াণের পর দলটির কার্যক্রম এখন আর আগের মতো নেই। কোহিনূরও নেই এই দলে। তিনি এখন ‘নাট্যতীর্থ’র সাথে যুক্ত আছেন। এই দলের হয়ে ‘দ্বীপ’ ও ‘জুলিয়াস সিজার’ নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন।
টিভিতে কোহিনূর প্রথম অভিনয় করেন সদ্য প্রয়াত নাট্যপরিচালক মনির হোসেন জীবন পরিচালিত ‘অনাকাঙ্খিত সুখ’ নামক একটি ধারাবাহিক নাটকে। তবে এই নাটকটি প্রচারে আসেনি। তার অভিনীত প্রথম প্রচারিত টিভি নাটক রবিন খানের ‘স্বপ্নের সিড়ি’। এরপর তিনি আমজাদ হোসেন, সাইদুল আনাম টুটুল, ফেরদৌস হাসান রানা, চয়নিকা চৌধুরী, সৈয়দ শাকিল, এস এ হক অলিক, মুরাদ পারভেজ, জুয়েল মাহমুদ’সহ আরো অনেক পরিচালকের নাটকে অভিনয় করেছেন।
মোঃ আবুল হাশেম ও মঞ্জিলা বেগমের সন্তান কোহিনূর আলমের প্রথম সিনেমাতে অভিনয় প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শাস্তি’ সিনেমায়। নিজের অভিনয় জীবনের পথচলা প্রসঙ্গে কোহিনূর বলেন,‘ আমারতো আসলে অভিনেতা হবারই কথা ছিলোনা। একজন ফুটবলার হবার স্বপ্ন ছিলো আমার। স্কুল কলেজে পড়ার সময় টুকটাক অভিনয় করতাম। আর স্কুল কলেজ পালিয়ে সিনেমা দেখতাম।
তো বন্ধূ রোমেনের দুই বোনের বাংলাদেশ থিয়েটারে যাওয়া দেখে, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে আমারও অভিনয় করার শখ জাগে। হয়ে গেলাম অভিনেতা। সত্যি বলতে কী একজন শিল্পী যে অবস্থানে থাকে সে অবস্থানে থেকে অভিনয়ে সন্তুষ্ঠ হবার সুযোগ থাকেনা। কারণ অভিনয়ে শিল্পীর অতৃপ্তি থেকেই যায়। আর এখনতো অভিনয় ছাড়া আর কিছুই পারিনা।’
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের মঞ্চের, টিভি নাটকের ও সিনেমার অভিনেতা কোহিনূর আলম। বন্ধু রোমেনের দুই বোন কলি ও সুমীর সঙ্গে ‘বাংলাদেশ থিয়েটার’-এ যেতেন। শখের বশেই অভিনয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহে একসময় এই দলের সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৯০ সালে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। এই দলের হয়ে ‘সি মোরগ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এরপর ২০০০ সালে এই দল ছেড়ে যোগ দেন ‘নাট্যজন’-এ। নাট্যজন’র হয়ে তিনি মঞ্চে অভিনয় করেছেন ‘তেভাগার পালা’ ও ‘অলীক বাবু’ নাটকে। এই দু’টি নাটকেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন। তবে দলটির প্রতিষ্ঠাতা তবিবুল ইসলাম বাবুর প্রয়াণের পর দলটির কার্যক্রম এখন আর আগের মতো নেই। কোহিনূরও নেই এই দলে। তিনি এখন ‘নাট্যতীর্থ’র সাথে যুক্ত আছেন। এই দলের হয়ে ‘দ্বীপ’ ও ‘জুলিয়াস সিজার’ নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন।
টিভিতে কোহিনূর প্রথম অভিনয় করেন সদ্য প্রয়াত নাট্যপরিচালক মনির হোসেন জীবন পরিচালিত ‘অনাকাঙ্খিত সুখ’ নামক একটি ধারাবাহিক নাটকে। তবে এই নাটকটি প্রচারে আসেনি। তার অভিনীত প্রথম প্রচারিত টিভি নাটক রবিন খানের ‘স্বপ্নের সিড়ি’। এরপর তিনি আমজাদ হোসেন, সাইদুল আনাম টুটুল, ফেরদৌস হাসান রানা, চয়নিকা চৌধুরী, সৈয়দ শাকিল, এস এ হক অলিক, মুরাদ পারভেজ, জুয়েল মাহমুদ’সহ আরো অনেক পরিচালকের নাটকে অভিনয় করেছেন।
মোঃ আবুল হাশেম ও মঞ্জিলা বেগমের সন্তান কোহিনূর আলমের প্রথম সিনেমাতে অভিনয় প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শাস্তি’ সিনেমায়। নিজের অভিনয় জীবনের পথচলা প্রসঙ্গে কোহিনূর বলেন,‘ আমারতো আসলে অভিনেতা হবারই কথা ছিলোনা। একজন ফুটবলার হবার স্বপ্ন ছিলো আমার। স্কুল কলেজে পড়ার সময় টুকটাক অভিনয় করতাম। আর স্কুল কলেজ পালিয়ে সিনেমা দেখতাম।
তো বন্ধূ রোমেনের দুই বোনের বাংলাদেশ থিয়েটারে যাওয়া দেখে, তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে আমারও অভিনয় করার শখ জাগে। হয়ে গেলাম অভিনেতা। সত্যি বলতে কী একজন শিল্পী যে অবস্থানে থাকে সে অবস্থানে থেকে অভিনয়ে সন্তুষ্ঠ হবার সুযোগ থাকেনা। কারণ অভিনয়ে শিল্পীর অতৃপ্তি থেকেই যায়। আর এখনতো অভিনয় ছাড়া আর কিছুই পারিনা।’