ফিউশন ব্যান্ড প্যান্ডোরার ফের যাত্রা শুর হলো, বনানীর ‘যাত্রা বিরতি’ মঞ্চে শিল্পী নাদিয়া ডোরার সঙ্গীত সন্ধ্যার মাধ্যমে। লালন,হাসন রাজা,শাহ আব্দুল করিমসহ বিভিন্ন লোকজ গান পরিবেশন ছাড়া গাইলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো এই সঙ্গীত সন্ধ্যা। নাদিয়া ডোরা সাধারণত ফোক ফিউশন নিয়ে কাজ করেন। এই নিয়ে তার অভিমত
হচ্ছে,ফিউশন মিউজিক নতুন প্রজন্মকে বাংলার ঐত্যিবাহী সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। ফিউশন মানে ‘একত্রিকরণ বা মিশ্রন”। এটি একটি জনপ্রিয় সঙ্গীত ধারা। যা ষাটের দশকের শেষদিকে বিকশিত হয় । সে সময় সঙ্গীতজ্ঞরা রক মিউজিক,ফাঙ্ক, রিদম এবং ব্লুজের সঙ্গে জ্যজ সামন্জস্য এবং ইম্প্রোভাইজেশনকে একত্রিত করেছিলন। ফিউশন মিউজিকে বাংলার ফোক ইনস্ট্রমেন্টেরে মধ্যে একতারা, ঢোলের বদলে ড্রাম,গিটার,বেস গিটার ব্যাবহার করা হয়।
মূলত আধুনিক সঙ্গীত সরন্জামের সমন্বয়ে সনাতন বাউল গান গাওয়া হয়। নাদিয়া ডোরা বলেন,লোক গান নিয়ে ফিউশান করা যাবেনা এমন কট্টর অবস্থান এখন লোক সংস্কৃতি সমর্থন করে না।বর্তমান বা আগামী প্রজস্মের কাছে লোক গানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়েই চলতে হবে।আমি গান গাই মানুষের মন বদলের গান। আমার গান ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণীর জন্য নয় । বাংলার লোকগান অসাম্প্রদায়িক।
অতীতে আমাদের জাতিগত চরিত্রে সাম্প্রদায়িকতা ছিলোনা। তাই লালন গাইলেন,‘জাত গেলো,জাত গেলো বলে কি আজব কারখানা’। দুদ্দু শাহ জাত পাত নিয়ে তার গানে বলেছেন,আগে মানুষ পরে ধর্ম জাতির নির্ণয়/ধর্ম জাতি আগে হলে শিশু বালক কেনা জানতে পায়/দর্শন -শ্রবন পারিপার্শ্বিক অবস্থার গুন/দেখে শিশু হিন্দু যবন খ্রিস্টান/বিচার আচার হিংসা ঘৃনা উদয় হয় মনে/এসব জন্মগত নয়। মানব ধর্ম আমার গানের মূল লক্ষ্য।
বাংলা শুধু নদীর দেশ নয়, গানের দেশ,লোক গানের দেশ। ব্যান্ড ‘প্যান্ডোরা’ প্রসঙ্গে বলেন , ১৯১৪ সালে প্যান্ডোরা প্রতিষ্ঠা হয়। মৌলিক গানের পাশাপাশি ফোক, লালন, আধুনিক ছাড়াও রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত হাজির হতো প্যান্ডোরা। ২০২০ সালে যখন করোনা মহামারীতে পৃথিবী থমকে যায় তখন প্যান্ডোরাও বিরত থাকে। আবার শুরু করা হলো যাত্রাবিরতির নিয়মিত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে। প্যান্ডোরা বিরতিতে থাকলেও শিল্পী নাদিয়া ডোরা থেমে থাকেননি।
টেলিভিশন ও মঞ্চে গান গেয়ে গেছেন। আইপিডিএসের প্রযোজনায় পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গীত পরিচালনায় ‘প্রাণ সখিরে..’ গানটি গেয়েছেন তিনি। এছাড়া ‘আমার অন্তরায়,আমার কলিজায়’,‘পীরিতির কারবার’ ‘লন্ঠনে রূপের বাতি’,পাগল ছাড়া দুনিয়া চলেনা,শ্যাম অঙ্গে রাই’ সহ আরো অনেক গান বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। নাটক ও সিনেমায়ও কন্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী।
কাজল আরেফিন অমির নাটক ‘ভাইরাল গার্ল’,চোখের পট্টি,আনম বিশ্বাসের ‘হোয়াট দ্য ফ্রাইডেতে"কলিজাকা সিঙ্গাড়া ’, রায়হান রবির ওয়েভ ফিল্ম ‘নিঃশ্বাসে’ গাওয়া গান বেশ জনপ্রিয়তা পায় বলে জানান তিনি।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
ফিউশন ব্যান্ড প্যান্ডোরার ফের যাত্রা শুর হলো, বনানীর ‘যাত্রা বিরতি’ মঞ্চে শিল্পী নাদিয়া ডোরার সঙ্গীত সন্ধ্যার মাধ্যমে। লালন,হাসন রাজা,শাহ আব্দুল করিমসহ বিভিন্ন লোকজ গান পরিবেশন ছাড়া গাইলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো এই সঙ্গীত সন্ধ্যা। নাদিয়া ডোরা সাধারণত ফোক ফিউশন নিয়ে কাজ করেন। এই নিয়ে তার অভিমত
হচ্ছে,ফিউশন মিউজিক নতুন প্রজন্মকে বাংলার ঐত্যিবাহী সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। ফিউশন মানে ‘একত্রিকরণ বা মিশ্রন”। এটি একটি জনপ্রিয় সঙ্গীত ধারা। যা ষাটের দশকের শেষদিকে বিকশিত হয় । সে সময় সঙ্গীতজ্ঞরা রক মিউজিক,ফাঙ্ক, রিদম এবং ব্লুজের সঙ্গে জ্যজ সামন্জস্য এবং ইম্প্রোভাইজেশনকে একত্রিত করেছিলন। ফিউশন মিউজিকে বাংলার ফোক ইনস্ট্রমেন্টেরে মধ্যে একতারা, ঢোলের বদলে ড্রাম,গিটার,বেস গিটার ব্যাবহার করা হয়।
মূলত আধুনিক সঙ্গীত সরন্জামের সমন্বয়ে সনাতন বাউল গান গাওয়া হয়। নাদিয়া ডোরা বলেন,লোক গান নিয়ে ফিউশান করা যাবেনা এমন কট্টর অবস্থান এখন লোক সংস্কৃতি সমর্থন করে না।বর্তমান বা আগামী প্রজস্মের কাছে লোক গানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়েই চলতে হবে।আমি গান গাই মানুষের মন বদলের গান। আমার গান ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণীর জন্য নয় । বাংলার লোকগান অসাম্প্রদায়িক।
অতীতে আমাদের জাতিগত চরিত্রে সাম্প্রদায়িকতা ছিলোনা। তাই লালন গাইলেন,‘জাত গেলো,জাত গেলো বলে কি আজব কারখানা’। দুদ্দু শাহ জাত পাত নিয়ে তার গানে বলেছেন,আগে মানুষ পরে ধর্ম জাতির নির্ণয়/ধর্ম জাতি আগে হলে শিশু বালক কেনা জানতে পায়/দর্শন -শ্রবন পারিপার্শ্বিক অবস্থার গুন/দেখে শিশু হিন্দু যবন খ্রিস্টান/বিচার আচার হিংসা ঘৃনা উদয় হয় মনে/এসব জন্মগত নয়। মানব ধর্ম আমার গানের মূল লক্ষ্য।
বাংলা শুধু নদীর দেশ নয়, গানের দেশ,লোক গানের দেশ। ব্যান্ড ‘প্যান্ডোরা’ প্রসঙ্গে বলেন , ১৯১৪ সালে প্যান্ডোরা প্রতিষ্ঠা হয়। মৌলিক গানের পাশাপাশি ফোক, লালন, আধুনিক ছাড়াও রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত হাজির হতো প্যান্ডোরা। ২০২০ সালে যখন করোনা মহামারীতে পৃথিবী থমকে যায় তখন প্যান্ডোরাও বিরত থাকে। আবার শুরু করা হলো যাত্রাবিরতির নিয়মিত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে। প্যান্ডোরা বিরতিতে থাকলেও শিল্পী নাদিয়া ডোরা থেমে থাকেননি।
টেলিভিশন ও মঞ্চে গান গেয়ে গেছেন। আইপিডিএসের প্রযোজনায় পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গীত পরিচালনায় ‘প্রাণ সখিরে..’ গানটি গেয়েছেন তিনি। এছাড়া ‘আমার অন্তরায়,আমার কলিজায়’,‘পীরিতির কারবার’ ‘লন্ঠনে রূপের বাতি’,পাগল ছাড়া দুনিয়া চলেনা,শ্যাম অঙ্গে রাই’ সহ আরো অনেক গান বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। নাটক ও সিনেমায়ও কন্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী।
কাজল আরেফিন অমির নাটক ‘ভাইরাল গার্ল’,চোখের পট্টি,আনম বিশ্বাসের ‘হোয়াট দ্য ফ্রাইডেতে"কলিজাকা সিঙ্গাড়া ’, রায়হান রবির ওয়েভ ফিল্ম ‘নিঃশ্বাসে’ গাওয়া গান বেশ জনপ্রিয়তা পায় বলে জানান তিনি।