টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী। আয়োজকদের দাবি, স্থানীয় একটি ধর্মীয় মহলের বিরোধিতা ও নানা হুমকির কারণে মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যা থেকে প্রদর্শনী বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কালিহাতী উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোগটি নিয়েছিলেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী কামরুজ্জামান সাইফুল ও সাজু মেহেদী। ঈদের দিন থেকেই সিনেমাটি দেখানো শুরু হয়।
তবে এর আগেই, গত শুক্রবার পারকি ইউনিয়ন ওলামা পরিষদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়, যেখানে মসজিদ-মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে এবং ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ ঘটতে পারে—এই অভিযোগে প্রদর্শনী বন্ধের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়।
আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল জানান, “দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। কিন্তু একাধিকবার হুমকি পেয়েছি। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার অভাবে প্রদর্শনী বন্ধ করতে হয়েছে।”
অপর আয়োজক সাজু মেহেদী বলেন, “দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদের হল নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিনের অগ্রিম ভাড়া, হল সংস্কার, প্রচার, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ সব মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই একটি মহল আমাদের কাজের বিরোধিতা করেছে।”
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। হল ভাড়া নেওয়া হয়েছিল অনুমোদন সাপেক্ষে। তবে আমি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছি।”
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, “হল ব্যবহারে শর্ত ছিল—আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে। আয়োজকেরা সেই শর্ত অনুযায়ী কাজ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, “কিছু লোক সিনেমা বন্ধের দাবি নিয়ে এসেছিলেন। আমরা বলেছি, অনুমতির বিষয়টি প্রশাসনের এখতিয়ার। আয়োজকেরা নিরাপত্তা নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।”
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তাহীনতার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী। আয়োজকদের দাবি, স্থানীয় একটি ধর্মীয় মহলের বিরোধিতা ও নানা হুমকির কারণে মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যা থেকে প্রদর্শনী বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কালিহাতী উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোগটি নিয়েছিলেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী কামরুজ্জামান সাইফুল ও সাজু মেহেদী। ঈদের দিন থেকেই সিনেমাটি দেখানো শুরু হয়।
তবে এর আগেই, গত শুক্রবার পারকি ইউনিয়ন ওলামা পরিষদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়, যেখানে মসজিদ-মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে এবং ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ ঘটতে পারে—এই অভিযোগে প্রদর্শনী বন্ধের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়।
আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল জানান, “দর্শকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। কিন্তু একাধিকবার হুমকি পেয়েছি। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার অভাবে প্রদর্শনী বন্ধ করতে হয়েছে।”
অপর আয়োজক সাজু মেহেদী বলেন, “দৈনিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় জেলা পরিষদের হল নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিনের অগ্রিম ভাড়া, হল সংস্কার, প্রচার, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ সব মিলিয়ে কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই একটি মহল আমাদের কাজের বিরোধিতা করেছে।”
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খায়রুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। হল ভাড়া নেওয়া হয়েছিল অনুমোদন সাপেক্ষে। তবে আমি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছি।”
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, “হল ব্যবহারে শর্ত ছিল—আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে। আয়োজকেরা সেই শর্ত অনুযায়ী কাজ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।”
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, “কিছু লোক সিনেমা বন্ধের দাবি নিয়ে এসেছিলেন। আমরা বলেছি, অনুমতির বিষয়টি প্রশাসনের এখতিয়ার। আয়োজকেরা নিরাপত্তা নিয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি।”