alt

চাষী নজরুল ইসলামের চলে যাওয়ার ৭ বছর

বিনোদন বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

আজ ১১ জানুয়ারি গুণী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের চলে যাওয়ার ৭ বছর। ২০১৫ সালে ঢালিউডে একটা অপূরণীয় অভাব তৈরি করে তিনি চলে যান ওপারে। সিনে জগতে সবসময় তিনি স্মরণীয়। তবে জন্ম কিংবা মৃত্যু দিনে আরও বেশি জীবন্ত হয়ে ওঠেন এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশী সিনেমার যে কয়েকজন গুণী নির্মাতা এবং সফল হিসেবে বিবেচিত, তাদের মধ্যে অন্যতম চাষী নজরুল ইসলাম। তার নির্মিত সিনেমাগুলো দিয়েই বাংলা চলচ্চিত্রে আজও তারা হয়ে জ্বলছেন চাষী নজরুল ইসলাম। তাঁর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্র বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পকে করেছে সমৃদ্ধ।

চাষী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুরের শ্রীনগরে। চাষী নজরুলের বাবা ছিলেন ভারতের টাটা স্টিলের ইঞ্জিনিয়ার। সেই সূত্রে তাঁর মা তাঁকে বাবার কর্মস্থল জামশেদপুরে নিয়ে যান। শৈশব কাটে ভারতের জামশেদপুরে। সেখানেই তিনি বাবার প্রতিষ্ঠা করা স্কুলে পড়াশোনা করেন। জমশেদপুরেই কলেজ সম্পন্ন করেন চাষী নজরুল। বাবার অসুস্থতার দরুন ১৯৫৮ সালে চাষীর পরিবারে সবাই বিক্রমপুরে চলে আসে।

পরিচালক হওয়ার আগে দীর্ঘদিন মঞ্চে কাজ করেছেন। ১৯৬১ সালে খালাতো বোনের স্বামী সৈয়দ মোহাম্মদ আওয়ালের হাত ধরে চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। নির্মাতা ফতেহ লোহানীর সহকারী হিসেবে ‘আছিয়া’ সিনেমায় কাজ করেন চাষী। এর দুই বছর পর ‘দুই দিগন্ত’ চলচ্চিত্রে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ-উল-হকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন নন্দিত এই পরিচালক। বছর দশেক সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর স্বাধীন বাংলাদেশের ও মুক্তিযুদ্ধের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন চাষী। ক্যারিয়ার জুড়ে নির্মান করেছেন বেশকিছু কালজয়ী সিনেমা।

সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘দেবদাস’, ‘শুভদা’, ‘মিয়া ভাই’, ‘বেহুলা লক্ষ্মীন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘হাছন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘সুভা’-এর মতো

নির্মাতা হিসেবে চাষী নজরুল ইসলাম দুইবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ ও ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমা দুটি তাকে এই সম্মাননা এনে দেয়। এছাড়া তিনি ২০০৪ সালে ভুষিত হন রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদকে।

ছবি

অ্যালবাম কবে আসবে, জানাল ব্ল্যাকপিঙ্ক

ছবি

আজকাল আপন-পর চিনতে পারছি : তৌসিফ

ছবি

রজনীকান্তের ‘কুলি’ ৭০০ কোটির ক্লাবে

ছবি

নিজের নির্দেশনায় ফিরলেন সোহেল আরমান, সঙ্গে শানু

ছবি

আবার সম্প্রচারে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’

ছবি

আসছে শাকিবের ‘সোলজার’

ছবি

অপু আমানের কথা-সুরে নিশাতের কন্ঠে ‘বিদেশে যাইওনা রে বন্ধু’

ছবি

ফিরছেন দীপিকা

ছবি

শুক্রবার চ্যানেল আইতে টেলিফিল্ম ‘ফেরারী প্রেম’

ছবি

মঞ্চায়ন হলো শেক্সপিয়ারের ‘ম্যাকবেথ’

ছবি

কেএম সোহাগ রানার ধারাবাহিক ‘দেনা পাওনা’

ছবি

সংসার ভাঙার গুঞ্জনে যা বললেন জাহিদ হাসান

ছবি

গুলশান হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক গ্রেপ্তার দেখানো হলো

ছবি

৫ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘ডট’

ছবি

আসছে ‘মাই লাইফ উইথ দ্য ওয়াল্টার বয়েজ’ সিজন-২

ছবি

ফোবানা সম্মেলনে পারফর্ম করবেন জায়েদ খান

ছবি

বুসান উৎসবে ‘জুলাই মেমোরিয়াল প্রাইজ’ প্রবর্তন

ছবি

১৭ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসিফ

ছবি

প্রকাশ্যে পায়গাম রাব্বানীর ‘শীতের সকাল’

ছবি

‘জয়িতার দিনরাত্রি’তে অনবদ্য বৃষ্টি

ছবি

বিটিভির ‘বৈঠকখানায়’ গাইলেন তারা চারজন

ছবি

দুই সিনেমায় মীর রাব্বি

ছবি

ফরিদা ফারহানার কথায় গাইলেন তানজিনা রুমা

ছবি

এলিটার কণ্ঠে রুনা লায়লার গান

ছবি

বৈশাখী টিভিতে নতুন ধারাবাহিক ‘গিট্টু’

ছবি

নায়িকাদের জীবনের গল্পে রুনা খান

ছবি

সালাহউদ্দিন লাভলুর নুতন ধারাবাহিক ‘ফুলগাঁও’তে তারা

ছবি

ট্রাম্পের কাছে থেকে ‘কেনেডি সেন্টার’ সম্মাননা নেবেন না টম ক্রুজ

ছবি

মেলবোর্নে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন অভিষেক

ছবি

অভিনয়ের প্রস্তাব প্রায়ই আসে : আঁখি আলমগীর

ছবি

বাংলাদেশে ‘ধূমকেতু’ মুক্তিতে ফারুকীর কাছে ভারতীয় প্রযোজকের অনুরোধ

ছবি

এবার ব্রাত্য বসুর ছবিতে চঞ্চল চৌধুরী

ছবি

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল ব্ল্যাকপিঙ্ক

ছবি

বিপাশার কাছে ক্ষমা চাওয়ায় মৃণালের পাশে হিনা

ছবি

ফারুকীর সর্বশেষ অবস্থা জানালেন তিশা

ছবি

সংলাপবিহীন চলচ্চিত্রে পারশা মাহজাবীন

tab

চাষী নজরুল ইসলামের চলে যাওয়ার ৭ বছর

বিনোদন বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

আজ ১১ জানুয়ারি গুণী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের চলে যাওয়ার ৭ বছর। ২০১৫ সালে ঢালিউডে একটা অপূরণীয় অভাব তৈরি করে তিনি চলে যান ওপারে। সিনে জগতে সবসময় তিনি স্মরণীয়। তবে জন্ম কিংবা মৃত্যু দিনে আরও বেশি জীবন্ত হয়ে ওঠেন এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশী সিনেমার যে কয়েকজন গুণী নির্মাতা এবং সফল হিসেবে বিবেচিত, তাদের মধ্যে অন্যতম চাষী নজরুল ইসলাম। তার নির্মিত সিনেমাগুলো দিয়েই বাংলা চলচ্চিত্রে আজও তারা হয়ে জ্বলছেন চাষী নজরুল ইসলাম। তাঁর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্র বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পকে করেছে সমৃদ্ধ।

চাষী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর বিক্রমপুরের শ্রীনগরে। চাষী নজরুলের বাবা ছিলেন ভারতের টাটা স্টিলের ইঞ্জিনিয়ার। সেই সূত্রে তাঁর মা তাঁকে বাবার কর্মস্থল জামশেদপুরে নিয়ে যান। শৈশব কাটে ভারতের জামশেদপুরে। সেখানেই তিনি বাবার প্রতিষ্ঠা করা স্কুলে পড়াশোনা করেন। জমশেদপুরেই কলেজ সম্পন্ন করেন চাষী নজরুল। বাবার অসুস্থতার দরুন ১৯৫৮ সালে চাষীর পরিবারে সবাই বিক্রমপুরে চলে আসে।

পরিচালক হওয়ার আগে দীর্ঘদিন মঞ্চে কাজ করেছেন। ১৯৬১ সালে খালাতো বোনের স্বামী সৈয়দ মোহাম্মদ আওয়ালের হাত ধরে চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। নির্মাতা ফতেহ লোহানীর সহকারী হিসেবে ‘আছিয়া’ সিনেমায় কাজ করেন চাষী। এর দুই বছর পর ‘দুই দিগন্ত’ চলচ্চিত্রে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার ওবায়েদ-উল-হকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন নন্দিত এই পরিচালক। বছর দশেক সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর স্বাধীন বাংলাদেশের ও মুক্তিযুদ্ধের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণের মাধ্যমে ১৯৭২ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন চাষী। ক্যারিয়ার জুড়ে নির্মান করেছেন বেশকিছু কালজয়ী সিনেমা।

সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘দেবদাস’, ‘শুভদা’, ‘মিয়া ভাই’, ‘বেহুলা লক্ষ্মীন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘হাছন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘সুভা’-এর মতো

নির্মাতা হিসেবে চাষী নজরুল ইসলাম দুইবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ ও ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ সিনেমা দুটি তাকে এই সম্মাননা এনে দেয়। এছাড়া তিনি ২০০৪ সালে ভুষিত হন রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদকে।

back to top