নিউইয়র্কের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার হচ্ছে। শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার আহবান জানিয়ে, তিনদিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করা হলো। ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন।
গাইবান্ধা সোসাইটি আয়োজিত এবং শাহ্ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা,একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ।
শুদ্ধভাবে বাংলা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহন করতে, শেষ দিন গণস্বাক্ষরের প্রতীকী চিঠি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল আহসান এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিখ এডামসের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মানের হাতে তুলে দেয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল দুলালের সভাপতিত্বে দুইদিন আলোচনায় অংশ নেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক মুহম্মদ ফজুলর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার, হুসনে আরা বেগম, সাংস্কৃতিক কর্মী মুজাহিদ আনসারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মিথুন আহমেদ, শাহ ফাউন্ডেশনের সিইও শাহ্ জে.চৌধুরী, প্রগ্রেসিভ ফোরামের জাকির হোসেন বাচ্চু, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট রাব্বী সৈয়দ, সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান, ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিউল আজম প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য দেন গাইবান্ধা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রেজা রহমান।
শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য গাইবান্ধা সোসাইটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তারা বলেন, নিউইয়র্কে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নির্বাচন কমিশন, পরিবহন বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর ধরে বাংলা ভাষা ভুলভাবে লেখা হচ্ছে। এসব প্রতিটি বিভাগে তাদের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার জন্য, তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গণসংযোগে অংশ গ্রহন করেন নাজমা শওকত, প্রতীমা সরকার, তানি রহমান, তুহিন মাহফুজ, প্রশান্ত সরকার, মুক্তি সরকার, মনিরুজ্জামান মনির, লিপন প্রমূখ।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচী বাস্তবাায়ন কমিটির আহ্বায়ক দীলিপ মোদক বলেন, ৫২ সালে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মযার্দা দিতে পেরেছি। সেই ভাষা বিদেশের মাটিতে বিকৃতভাবে হলে,আমরা আহত হই। যার জন্য আমরা ভাষা শুদ্ধ করে লেখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সদস্য সচিব ফাহমিদা চৌধুরী লুনা বলেন, নিউইয়র্ক স্টেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা অশুদ্ধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে,তা রাতারাতি ঠিক করা সম্ভব না। তাই আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনদিনের গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে দেড়সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান আয়োজক সংগঠন। তারা আরও জানান, সিটির মেয়রকে নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বস্তরে বাংলা শুদ্ধভাবে লেখার আহবান জানানোর জন্য নিউইয়র্ক সিটির মেযরকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর চিঠি প্রদান করা হবে।
মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩
নিউইয়র্কের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান ও বাক্য বিকৃতভাবে ব্যবহার হচ্ছে। শুদ্ধভাবে বাংলা লেখার আহবান জানিয়ে, তিনদিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করা হলো। ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্ট বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন।
গাইবান্ধা সোসাইটি আয়োজিত এবং শাহ্ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা,একুশে পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্রনাথ রায় এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ।
শুদ্ধভাবে বাংলা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহন করতে, শেষ দিন গণস্বাক্ষরের প্রতীকী চিঠি আনুষ্ঠানিক ভাবে নিউইয়র্ক কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল আহসান এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিখ এডামসের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মানের হাতে তুলে দেয়া হয়।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল দুলালের সভাপতিত্বে দুইদিন আলোচনায় অংশ নেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক মুহম্মদ ফজুলর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার, হুসনে আরা বেগম, সাংস্কৃতিক কর্মী মুজাহিদ আনসারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মিথুন আহমেদ, শাহ ফাউন্ডেশনের সিইও শাহ্ জে.চৌধুরী, প্রগ্রেসিভ ফোরামের জাকির হোসেন বাচ্চু, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট রাব্বী সৈয়দ, সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান, ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিউল আজম প্রমূখ। স্বাগত বক্তব্য দেন গাইবান্ধা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রেজা রহমান।
শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য গাইবান্ধা সোসাইটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তারা বলেন, নিউইয়র্কে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নির্বাচন কমিশন, পরিবহন বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর ধরে বাংলা ভাষা ভুলভাবে লেখা হচ্ছে। এসব প্রতিটি বিভাগে তাদের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার জন্য, তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গণসংযোগে অংশ গ্রহন করেন নাজমা শওকত, প্রতীমা সরকার, তানি রহমান, তুহিন মাহফুজ, প্রশান্ত সরকার, মুক্তি সরকার, মনিরুজ্জামান মনির, লিপন প্রমূখ।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচী বাস্তবাায়ন কমিটির আহ্বায়ক দীলিপ মোদক বলেন, ৫২ সালে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মযার্দা দিতে পেরেছি। সেই ভাষা বিদেশের মাটিতে বিকৃতভাবে হলে,আমরা আহত হই। যার জন্য আমরা ভাষা শুদ্ধ করে লেখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সদস্য সচিব ফাহমিদা চৌধুরী লুনা বলেন, নিউইয়র্ক স্টেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা অশুদ্ধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে,তা রাতারাতি ঠিক করা সম্ভব না। তাই আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনদিনের গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে দেড়সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান আয়োজক সংগঠন। তারা আরও জানান, সিটির মেয়রকে নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বস্তরে বাংলা শুদ্ধভাবে লেখার আহবান জানানোর জন্য নিউইয়র্ক সিটির মেযরকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর চিঠি প্রদান করা হবে।