ইতালিতে বর্তমান সরকার নানা উপায়ে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে একের পর এক নতুন আইন করে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীর ঢল থামাতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধীরে ধীরে দেশটিতে কঠিন হচ্ছে অভিবাসী ব্যবস্থা।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল মেলোনি সরকার অভিবাসীদের জন্য একটি আইনের গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশিসহ যে কোনো দেশের অভিবাসীরা যদি ইতালিতে এসে আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন করেন তাকে ৪ হাজার ৯৩৮ ইউরো গুণতে হবে। এই টাকার মাধ্যম হতে পারে কোনো ইন্সুরেন্স বা ব্যাংক।
জানা গেছে, কোনো অভিবাসী যদি অ্যাসাইলামের আবেদন করেন আর সরকার যদি কোনো কারণে নাকচ করে দেয় তাহলে পুনরায় আপিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই উল্লেখিত অর্থের নিশ্চয়তা দিয়ে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত থাকতে পারবেন। নয়তো নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে অ্যাসাইলাম আবেদনকারীকে।
উল্লেখিত এই অর্থের পরিমাণ চলতি বছরে চলমান থাকলেও পরবর্তীকালে এই অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে প্রকাশিত গেজেটে। এরকম আইনের ফলে ইতালিতে অভিবাসীরা আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা।
এছাড়া কেউ যদি আশ্রয় পেতে চান তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ব্যয় বহন করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে। তার মধ্যে যানবাহন থেকে শুরু করে বিমান ভাড়া থাকতে হবে।
এ বিষয়ে আইনি পরামর্শক ও ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষক রনি হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমি খারাপ দৃষ্টিতে দেখছি না। কারণ সরকার ইতোমধ্যে বৈধভাবে শ্রমিক আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাহলে অবৈধ পথে আসার কী দরকার। চলতি বছরে সাগরপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইতালিতে প্রায় ১৪ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করেছেন। যা একটি দেশের জন্য অনিরাপদ। আর দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই আইন প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি নাগরিক নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন ইতালি সরকার।
শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
ইতালিতে বর্তমান সরকার নানা উপায়ে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে একের পর এক নতুন আইন করে অবৈধভাবে আসা অভিবাসীর ঢল থামাতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ধীরে ধীরে দেশটিতে কঠিন হচ্ছে অভিবাসী ব্যবস্থা।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল মেলোনি সরকার অভিবাসীদের জন্য একটি আইনের গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশিসহ যে কোনো দেশের অভিবাসীরা যদি ইতালিতে এসে আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন করেন তাকে ৪ হাজার ৯৩৮ ইউরো গুণতে হবে। এই টাকার মাধ্যম হতে পারে কোনো ইন্সুরেন্স বা ব্যাংক।
জানা গেছে, কোনো অভিবাসী যদি অ্যাসাইলামের আবেদন করেন আর সরকার যদি কোনো কারণে নাকচ করে দেয় তাহলে পুনরায় আপিলের ক্ষেত্রে অবশ্যই উল্লেখিত অর্থের নিশ্চয়তা দিয়ে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত থাকতে পারবেন। নয়তো নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে অ্যাসাইলাম আবেদনকারীকে।
উল্লেখিত এই অর্থের পরিমাণ চলতি বছরে চলমান থাকলেও পরবর্তীকালে এই অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে প্রকাশিত গেজেটে। এরকম আইনের ফলে ইতালিতে অভিবাসীরা আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা।
এছাড়া কেউ যদি আশ্রয় পেতে চান তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ব্যয় বহন করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে। তার মধ্যে যানবাহন থেকে শুরু করে বিমান ভাড়া থাকতে হবে।
এ বিষয়ে আইনি পরামর্শক ও ইতালিয়ান ভাষা শিক্ষক রনি হোসাইন বলেন, বিষয়টি আমি খারাপ দৃষ্টিতে দেখছি না। কারণ সরকার ইতোমধ্যে বৈধভাবে শ্রমিক আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাহলে অবৈধ পথে আসার কী দরকার। চলতি বছরে সাগরপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইতালিতে প্রায় ১৪ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করেছেন। যা একটি দেশের জন্য অনিরাপদ। আর দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই আইন প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি নাগরিক নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন ইতালি সরকার।