alt

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত: তদন্তে প্রমাণ মিলল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও (১৯) হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। প্রায় দেড় বছর আগে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এবং পুলিশের কর্মকাণ্ড তদারকি সংস্থা ‘সিভিলিয়ান কমপ্লেইন রিভিউ বোর্ড’ (সিসিআরবি) সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বুধবার প্রকাশিত সিসিআরবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা স্যালভেতর এ্যালোঙ্গি ও ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকো মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষের সঙ্গে আচরণের নীতি অনুসরণ করেননি। বরং তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অন্তত পাঁচটি গুলি উইনের শরীরে বিদ্ধ হয়। এজন্য দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।

ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ নিউ ইয়র্কের ওজোনপার্কে। মানসিকভাবে অসুস্থ উইন অস্বাভাবিক আচরণ করলে তার পরিবার ৯১১-এ ফোন দেয়। পুলিশ বাসায় প্রবেশ করলে উইন কাপড় কাটার কাঁচি হাতে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় তার মা নটেন ইভা কোস্টা ও ছোট ভাই উৎস রোজারিও গুলি না চালানোর অনুরোধ করেন। তবুও পুলিশ গুলি চালায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে আরও চারবার গুলি করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় উইনের মা বলেন, “অন্তত এখন আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি যে উইনের বাঁচার অধিকার ছিল, তার জীবনেরও মূল্য ছিল। অথচ পুলিশ অফিসার দুজন ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্তের মতো আচরণ করেছেন।”

প্রায় তিন মাস আগে উইনের পরিবার ফেডারেল কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের পক্ষে আইনজীবী লুনা দ্রুবি বলেন, “এই প্রতিবেদন পুলিশি আচরণে জবাবদিহির পথে প্রথম পদক্ষেপ। মানসিক বিকারগ্রস্তদের সহায়তায় সশস্ত্র পুলিশ না পাঠিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম পাঠানোর বিধান জরুরি।”

তবে উইনের মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিস্ময়ে দেখছি সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস, পুলিশ কমিশনার এবং স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমসের নির্লিপ্ততা। এখনো হত্যার অভিযোগে মামলা হয়নি।” তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঘাতক দুই কর্মকর্তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত ও আদালতে সোপর্দ না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে।

ছবি

নিউ ইয়র্কে গুলিতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত

ছবি

কলকাতায় বাংলাদেশের প্রেসসচিব তারিক চয়নের সম্মাননা লাভ

ছবি

দোহায় প্রথমবারের আম উৎসব, উন্নত বাজারে পরিচিতির আশা রপ্তানিকারকদের

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো প্রবাসী শফি উদ্দিনের, বাড়িতে শোকের মাতম

ছবি

মালয়েশিয়ায় ন্যূনতম মজুরি ১৭০০ রিঙ্গিত, আজ থেকে কার্যকর

ছবি

মালয়েশিয়ায় ১০ ভুয়া বাংলাদেশি চিকিৎসক গ্রেপ্তার

ছবি

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

মালয়েশিয়ায় ৬৪ বাংলাদেশিসহ ১৫৩ অভিবাসী আটক

ছবি

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৯৩ অভিবাসী আটক

ছবি

আবুধাবিতে জার্মান যাত্রীর মানিব্যাগ ফেরত দিয়ে প্রশংসিত আল-আমিন

ছবি

মালয়েশিয়ায় একদিনে ২১৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

সংযুক্ত আরব আমিরাতে দণ্ডিত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা

ছবি

যুক্তরাজ্যের নগর মন্ত্রী হলেন টিউলিপ সিদ্দিক

ছবি

বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে সংবাদ ছিল নির্ভীক সহযাত্রী

ছবি

লন্ডনে বার্কিং এন্ড ডেগেনহাম টাউন হল পরিদর্শনে সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক

ছবি

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান

আমিরাতে দূর্ঘটনায় আখাউড়ার শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান বিএসপি চেয়ারম্যানের

ছবি

প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান

ছবি

মালয়েশিয়ায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয়ের মৃত্যু

ছবি

কলকাতায় উপ-হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

ছবি

নিউইয়র্কের সড়কে বাংলাদেশি দম্পতির মৃত্যু, আশঙ্কাজনক মেয়ে

ছবি

২১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ফ্রান্স, কমিউনিটিতে ক্ষোভ

ছবি

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৫৬০

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশি নিহত

ছবি

জাতিসংঘের তিন সংস্থার বোর্ড সভাপতি হলেন বাংলাদেশের মুহিত

ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় মা-মেয়ের মৃত্যু

ছবি

মালয়েশিয়ায় ২৫২ জন বাংলাদেশিসহ ৫৬৭ অভিবাসী আটক

ছবি

দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি

ছবি

আমিরাতে সড়কে প্রাণ ঝরলো বাংলাদেশি তরুণের

ছবি

ইতালিতে ২ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ

দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

ছবি

৩৬ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

ছবি

৯৬৮ অবৈধ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে লিবিয়া

ছবি

মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি নিহত

ছবি

আয়ারল্যান্ডে প্রথম বারের মতো বাংলা সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত

tab

news » expats

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত: তদন্তে প্রমাণ মিলল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও (১৯) হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। প্রায় দেড় বছর আগে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এবং পুলিশের কর্মকাণ্ড তদারকি সংস্থা ‘সিভিলিয়ান কমপ্লেইন রিভিউ বোর্ড’ (সিসিআরবি) সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

বুধবার প্রকাশিত সিসিআরবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা স্যালভেতর এ্যালোঙ্গি ও ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকো মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষের সঙ্গে আচরণের নীতি অনুসরণ করেননি। বরং তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অন্তত পাঁচটি গুলি উইনের শরীরে বিদ্ধ হয়। এজন্য দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।

ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ নিউ ইয়র্কের ওজোনপার্কে। মানসিকভাবে অসুস্থ উইন অস্বাভাবিক আচরণ করলে তার পরিবার ৯১১-এ ফোন দেয়। পুলিশ বাসায় প্রবেশ করলে উইন কাপড় কাটার কাঁচি হাতে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় তার মা নটেন ইভা কোস্টা ও ছোট ভাই উৎস রোজারিও গুলি না চালানোর অনুরোধ করেন। তবুও পুলিশ গুলি চালায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে আরও চারবার গুলি করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় উইনের মা বলেন, “অন্তত এখন আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি যে উইনের বাঁচার অধিকার ছিল, তার জীবনেরও মূল্য ছিল। অথচ পুলিশ অফিসার দুজন ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্তের মতো আচরণ করেছেন।”

প্রায় তিন মাস আগে উইনের পরিবার ফেডারেল কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের পক্ষে আইনজীবী লুনা দ্রুবি বলেন, “এই প্রতিবেদন পুলিশি আচরণে জবাবদিহির পথে প্রথম পদক্ষেপ। মানসিক বিকারগ্রস্তদের সহায়তায় সশস্ত্র পুলিশ না পাঠিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম পাঠানোর বিধান জরুরি।”

তবে উইনের মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিস্ময়ে দেখছি সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস, পুলিশ কমিশনার এবং স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমসের নির্লিপ্ততা। এখনো হত্যার অভিযোগে মামলা হয়নি।” তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঘাতক দুই কর্মকর্তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত ও আদালতে সোপর্দ না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে।

back to top