যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও (১৯) হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। প্রায় দেড় বছর আগে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এবং পুলিশের কর্মকাণ্ড তদারকি সংস্থা ‘সিভিলিয়ান কমপ্লেইন রিভিউ বোর্ড’ (সিসিআরবি) সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
বুধবার প্রকাশিত সিসিআরবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা স্যালভেতর এ্যালোঙ্গি ও ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকো মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষের সঙ্গে আচরণের নীতি অনুসরণ করেননি। বরং তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অন্তত পাঁচটি গুলি উইনের শরীরে বিদ্ধ হয়। এজন্য দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।
ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ নিউ ইয়র্কের ওজোনপার্কে। মানসিকভাবে অসুস্থ উইন অস্বাভাবিক আচরণ করলে তার পরিবার ৯১১-এ ফোন দেয়। পুলিশ বাসায় প্রবেশ করলে উইন কাপড় কাটার কাঁচি হাতে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় তার মা নটেন ইভা কোস্টা ও ছোট ভাই উৎস রোজারিও গুলি না চালানোর অনুরোধ করেন। তবুও পুলিশ গুলি চালায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে আরও চারবার গুলি করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় উইনের মা বলেন, “অন্তত এখন আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি যে উইনের বাঁচার অধিকার ছিল, তার জীবনেরও মূল্য ছিল। অথচ পুলিশ অফিসার দুজন ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্তের মতো আচরণ করেছেন।”
প্রায় তিন মাস আগে উইনের পরিবার ফেডারেল কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের পক্ষে আইনজীবী লুনা দ্রুবি বলেন, “এই প্রতিবেদন পুলিশি আচরণে জবাবদিহির পথে প্রথম পদক্ষেপ। মানসিক বিকারগ্রস্তদের সহায়তায় সশস্ত্র পুলিশ না পাঠিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম পাঠানোর বিধান জরুরি।”
তবে উইনের মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিস্ময়ে দেখছি সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস, পুলিশ কমিশনার এবং স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমসের নির্লিপ্ততা। এখনো হত্যার অভিযোগে মামলা হয়নি।” তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঘাতক দুই কর্মকর্তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত ও আদালতে সোপর্দ না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে।
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও (১৯) হত্যার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ মিলেছে। প্রায় দেড় বছর আগে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এবং পুলিশের কর্মকাণ্ড তদারকি সংস্থা ‘সিভিলিয়ান কমপ্লেইন রিভিউ বোর্ড’ (সিসিআরবি) সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
বুধবার প্রকাশিত সিসিআরবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা স্যালভেতর এ্যালোঙ্গি ও ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকো মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষের সঙ্গে আচরণের নীতি অনুসরণ করেননি। বরং তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অন্তত পাঁচটি গুলি উইনের শরীরে বিদ্ধ হয়। এজন্য দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ।
ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ নিউ ইয়র্কের ওজোনপার্কে। মানসিকভাবে অসুস্থ উইন অস্বাভাবিক আচরণ করলে তার পরিবার ৯১১-এ ফোন দেয়। পুলিশ বাসায় প্রবেশ করলে উইন কাপড় কাটার কাঁচি হাতে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় তার মা নটেন ইভা কোস্টা ও ছোট ভাই উৎস রোজারিও গুলি না চালানোর অনুরোধ করেন। তবুও পুলিশ গুলি চালায় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে আরও চারবার গুলি করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় উইনের মা বলেন, “অন্তত এখন আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি যে উইনের বাঁচার অধিকার ছিল, তার জীবনেরও মূল্য ছিল। অথচ পুলিশ অফিসার দুজন ভয়ঙ্কর দুর্বৃত্তের মতো আচরণ করেছেন।”
প্রায় তিন মাস আগে উইনের পরিবার ফেডারেল কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। পরিবারের পক্ষে আইনজীবী লুনা দ্রুবি বলেন, “এই প্রতিবেদন পুলিশি আচরণে জবাবদিহির পথে প্রথম পদক্ষেপ। মানসিক বিকারগ্রস্তদের সহায়তায় সশস্ত্র পুলিশ না পাঠিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম পাঠানোর বিধান জরুরি।”
তবে উইনের মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিস্ময়ে দেখছি সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস, পুলিশ কমিশনার এবং স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশা জেমসের নির্লিপ্ততা। এখনো হত্যার অভিযোগে মামলা হয়নি।” তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ঘাতক দুই কর্মকর্তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত ও আদালতে সোপর্দ না করা পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে।