alt

প্রথম বিতর্ক : হ্যারিসের চাপে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ট্রাম্প

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় মঙ্গলবার রাতে পেনসিলভেইনিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানেই ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হয় এবং হ্যারিস এগিয়ে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন।

বিতর্কে স্বভাবসুলভাবে আক্রমণাত্মক রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ট্রাম্পকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ঠেলে দেন সাবেক আইনজীবী হ্যারিস।

বিতর্কের শুরু থেকেই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনের মতো শরীরিক সামর্থ্য তার আছে কি না, তার অগণিত আইনি সমস্যা ও গর্ভপাতের সীমা নিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন হ্যারিস।

অপ্রত্যাশিত এ আক্রমণের মুখে রক্ষণাত্মক অবস্থানে গিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যান ট্রাম্প।

বিভিন্ন জনমত জরিপগুলোতে হোয়াইট হাউজের দৌড়ে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। এ পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ মুখোমুখি বিতর্ক একটি প্রচার পরিবর্তনকারী মুহূর্ত ছিল। এই সুযোগকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টায় উভয় প্রার্থীই জোরালোভাবে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাবেক আইনজীবী হ্যারিস (৫৯) বারবার ট্রাম্পকে বিরক্ত করে তাকে মিথ্যা ভরা জবাব দিতে প্ররোচিত করেছেন, আর তাতে ট্রাম্প (৭৮) দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন।

বিতর্কের এক পর্যায়ে হ্যারিস বলেন, লোকজন ‘একঘেয়েমিতে ভুগে ক্লান্ত হয়ে’ আগেইভাগেই ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার জনসমাবেশগুলো ছেড়ে চলে যায়। ট্রাম্প উত্তেজিত হয়ে উঁচু গলায় এর জবাব দেন।

হ্যারিসের জনসভাগুলোতে উপস্থিত লোকজনের পরিমাণ দেখে হতাশ হয়ে ওঠা ট্রাম্প এদিন বলেন, “আমাদের জনসমাবেশগুলো, আমাদের জনসমাবেশগুলোই সবচেয়ে বড়, রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবিশ্বাস্য সব সমাবেশ।”

“আবারও সীমা ছাড়া কথাবার্তা,” উত্তরে হাসতে হাসতে বলেন হ্যারিস।

দুই প্রার্থী অভিবাসন, পররাষ্ট্র নীতি ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিতর্কে জড়ান; কিন্তু সুনির্দিষ্ট নীতিগত বিবরণের গভীরে কেউই প্রবেশ করেননি।

হ্যারিসকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে বর্ণবাদী ও লিঙ্গবাদী আক্রমণের মতো ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আসা ট্রাম্প বিতর্কের প্রথম দিকে এ ধরনের অপমান করা থেকে অনেকটা বিরত ছিলেন, কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে হ্যারিসের আক্রমণের মুখে তিনি ততই উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন।

এরই এক পর্যায়ে তিনি প্রতিপক্ষের বর্ণ নিয়ে মন্তব্য করলে জবাবে হ্যারিস বলেন, “এটি একটি শোচনীয় ঘটনা যে আমাদের একজন যিনি প্রেসিডেন্ট হতে চান তিনি তার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে মার্কিন জনগণকে জাতিগতভাবে বিভক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”

একজন পর্ণ তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদান নিয়ে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া, তার বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য অভিযোগ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী হওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন হ্যারিস।

এর জবাবে ট্রাম্প কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেন এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করার জন্য ফের হ্যারিস ও ডেমোক্র্যাট পার্টিকে অভিযুক্ত করেন।

প্রতারণার কারণে ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন বলে ফের মিথ্যা দাবি করেন ট্রাম্প। হ্যারিসকে ‘মাক্র্সবাদী’ বলে অভিহিত করেন এবং অভিবাসীরা সহিংস অপরাধের বিস্তার ঘটাচ্ছে বলে মিথ্যা দাবি করেন।

৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আট সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক টেলিভিশনে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক কোটি ভোটার।

২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয় অস্বীকার ট্রােম্পের

রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের পরাজয় মেনে নিতে আবার অস্বীকৃতি জানালেন। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি-সংক্রান্ত বিভিন্ন মিথ্যা দাবি তুলে ধরেন তিনি।

২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির দাবির পক্ষে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখুন, এ বিষয়ে অনেক প্রমাণ আছে। আপনাদের যা করতে হবে তা হলো, এদিকে নজর দেওয়া।’

একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমালা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কে একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ তুলেছেন।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মিজ হ্যারিস একপর্যায়ে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশ শেষ হবার আগেই দর্শকরা ‍‍“ক্লান্ত হয়ে” সভাস্থল ত্যাগ করেন। তার মন্তব্যে বিরক্ত হয়ে ট্রাম্পকে গলা চড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেখা যায়।

দুজনের মধ্যে প্রথম এই বিতর্কে যেসব বিষয় এসেছে সেগুলোর মধ্যে আছে অর্থনীতি, গর্ভপাত, পররাষ্ট্র নীতি, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যু, প্রজেক্ট-২০২৫, ছয়ই জানুয়ারির দাঙ্গাসহ নানা বিষয়।

বিতর্কের শুরুতেই দুজন করমর্দন করেন। কমালা হ্যারিসের বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

ছবি

বিরল খনিজের সরবরাহে চীনা দাপট ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি

ছবি

শক্তিধরদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অবসানের পর ইরান এখন কী করবে

ছবি

ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের একাংশ

ছবি

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল, নাকি ভেস্তে গেছে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে তো?

ছবি

হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান

ছবি

ইইউ: ২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

বলিভিয়ায় দুই দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্ট মধ্যপন্থী পাজ

ছবি

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ছবি

ফের জেলেনস্কিকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

দোহায় আলোচনার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র হচ্ছে

ইসরায়েলের হামলা চলছেই, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি

ছবি

বলিভিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ, দুই দশকের বামপন্থি শাসনের অবসান

ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে সোনার ৯ আইটেম নিয়ে গেছে ডাকাতরা

ছবি

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে আসছে নতুন নিয়ম

ছবি

শিগরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে সৌদি, আশা ট্রাম্পের

ছবি

ফের বিমান হামলা করল পাকিস্তান, পাল্টা জবাব আফগানিস্তানের

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ কোটি মানুষ

ছবি

ত্রাণের অপেক্ষায় গাজাবাসী, ক্ষুধা-হাহাকারে কাটছে দিন

ছবি

টমাহক পেল না ইউক্রেইন, ট্রাম্পের বৈঠক শেষে ‘খালি হাতে’ ফিরলেন জেলেনস্কি

চীনা পণ্যে আরোপিত ১০০ শতাংশ শুল্ক টেকসই নয়: ট্রাম্প

ছবি

চীনের শীর্ষ ৯ জেনারেল বরখাস্ত

ছবি

আফগান সীমান্তে আত্মঘাতী হামলা, ৭ পাকিস্তানি সেনাসহ ১০ জন নিহত

ছবি

হামাসকে ‘মেরে ফেলার’ হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

সাড়ে ৩০০ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে

ছবি

ভারতের ‘নোংরা খেলার’ আশঙ্কা, ‘দ্বিমুখী যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান

ছবি

পশ্চিম তীরে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করছে ইসরায়েল

ছবি

পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসরায়েল ও হামাসের

ছবি

ট্রাম্প বলেছেন—চুক্তি না মানলে ইসরায়েলকে আবারো ‘রাস্তায়’ পাঠানোর অনুমোদন দিতে পারেন

ছবি

মারা গেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ছবি

রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে না ভারত: দাবি ট্রাম্পের

ছবি

সমুদ্রে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত বন্দর ফি আদায় শুরু

tab

প্রথম বিতর্ক : হ্যারিসের চাপে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ট্রাম্প

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রথম নির্বাচনী বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় মঙ্গলবার রাতে পেনসিলভেইনিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানেই ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হয় এবং হ্যারিস এগিয়ে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন।

বিতর্কে স্বভাবসুলভাবে আক্রমণাত্মক রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ট্রাম্পকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে ঠেলে দেন সাবেক আইনজীবী হ্যারিস।

বিতর্কের শুরু থেকেই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালনের মতো শরীরিক সামর্থ্য তার আছে কি না, তার অগণিত আইনি সমস্যা ও গর্ভপাতের সীমা নিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন হ্যারিস।

অপ্রত্যাশিত এ আক্রমণের মুখে রক্ষণাত্মক অবস্থানে গিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যান ট্রাম্প।

বিভিন্ন জনমত জরিপগুলোতে হোয়াইট হাউজের দৌড়ে এ দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। এ পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ মুখোমুখি বিতর্ক একটি প্রচার পরিবর্তনকারী মুহূর্ত ছিল। এই সুযোগকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টায় উভয় প্রার্থীই জোরালোভাবে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাবেক আইনজীবী হ্যারিস (৫৯) বারবার ট্রাম্পকে বিরক্ত করে তাকে মিথ্যা ভরা জবাব দিতে প্ররোচিত করেছেন, আর তাতে ট্রাম্প (৭৮) দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন।

বিতর্কের এক পর্যায়ে হ্যারিস বলেন, লোকজন ‘একঘেয়েমিতে ভুগে ক্লান্ত হয়ে’ আগেইভাগেই ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার জনসমাবেশগুলো ছেড়ে চলে যায়। ট্রাম্প উত্তেজিত হয়ে উঁচু গলায় এর জবাব দেন।

হ্যারিসের জনসভাগুলোতে উপস্থিত লোকজনের পরিমাণ দেখে হতাশ হয়ে ওঠা ট্রাম্প এদিন বলেন, “আমাদের জনসমাবেশগুলো, আমাদের জনসমাবেশগুলোই সবচেয়ে বড়, রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবিশ্বাস্য সব সমাবেশ।”

“আবারও সীমা ছাড়া কথাবার্তা,” উত্তরে হাসতে হাসতে বলেন হ্যারিস।

দুই প্রার্থী অভিবাসন, পররাষ্ট্র নীতি ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বিতর্কে জড়ান; কিন্তু সুনির্দিষ্ট নীতিগত বিবরণের গভীরে কেউই প্রবেশ করেননি।

হ্যারিসকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে বর্ণবাদী ও লিঙ্গবাদী আক্রমণের মতো ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আসা ট্রাম্প বিতর্কের প্রথম দিকে এ ধরনের অপমান করা থেকে অনেকটা বিরত ছিলেন, কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে হ্যারিসের আক্রমণের মুখে তিনি ততই উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলেন।

এরই এক পর্যায়ে তিনি প্রতিপক্ষের বর্ণ নিয়ে মন্তব্য করলে জবাবে হ্যারিস বলেন, “এটি একটি শোচনীয় ঘটনা যে আমাদের একজন যিনি প্রেসিডেন্ট হতে চান তিনি তার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে মার্কিন জনগণকে জাতিগতভাবে বিভক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”

একজন পর্ণ তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদান নিয়ে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া, তার বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য অভিযোগ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে দোষী হওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন হ্যারিস।

এর জবাবে ট্রাম্প কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করেন এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করার জন্য ফের হ্যারিস ও ডেমোক্র্যাট পার্টিকে অভিযুক্ত করেন।

প্রতারণার কারণে ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন বলে ফের মিথ্যা দাবি করেন ট্রাম্প। হ্যারিসকে ‘মাক্র্সবাদী’ বলে অভিহিত করেন এবং অভিবাসীরা সহিংস অপরাধের বিস্তার ঘটাচ্ছে বলে মিথ্যা দাবি করেন।

৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আট সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক টেলিভিশনে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক কোটি ভোটার।

২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয় অস্বীকার ট্রােম্পের

রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের পরাজয় মেনে নিতে আবার অস্বীকৃতি জানালেন। এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি-সংক্রান্ত বিভিন্ন মিথ্যা দাবি তুলে ধরেন তিনি।

২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির দাবির পক্ষে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখুন, এ বিষয়ে অনেক প্রমাণ আছে। আপনাদের যা করতে হবে তা হলো, এদিকে নজর দেওয়া।’

একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমালা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কে একে অপরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ তুলেছেন।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মিজ হ্যারিস একপর্যায়ে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশ শেষ হবার আগেই দর্শকরা ‍‍“ক্লান্ত হয়ে” সভাস্থল ত্যাগ করেন। তার মন্তব্যে বিরক্ত হয়ে ট্রাম্পকে গলা চড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেখা যায়।

দুজনের মধ্যে প্রথম এই বিতর্কে যেসব বিষয় এসেছে সেগুলোর মধ্যে আছে অর্থনীতি, গর্ভপাত, পররাষ্ট্র নীতি, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যু, প্রজেক্ট-২০২৫, ছয়ই জানুয়ারির দাঙ্গাসহ নানা বিষয়।

বিতর্কের শুরুতেই দুজন করমর্দন করেন। কমালা হ্যারিসের বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

back to top