আফ্রিকার দেশ নাইজারে থাকা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের কোট ডি’অর অঞ্চলে একটি সফরের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারে ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য ফরাসি কূটনীতিকদের ‘ফরাসি দূতাবাসে আক্ষরিক অর্থে জিম্মি করা হয়েছে’। রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তারা এখন সামরিক রেশন খাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করবেন কি না জানতে চাইলে ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে আমরা যা কিছু করতে রাজি। তিনি বৈধ কর্তৃপক্ষ এবং আমি প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা বলি।
এ বিষয়ে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার ভাষ্য, ইত্তে এখনও কাজ করছেন।
ফরাসি টিভি চ্যানেল এলসিআইয়ের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে কলোনা বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, রাষ্ট্রদূত কাজ করছেন এবং তিনি তার পরিচিতি ও খুব দরকারি লোকজন নিয়ে একটি ছোট দল তৈরি করে কাজ করে যাচ্ছেন। ’
কোলোনা যোগ করেন, আমরা চাই ইত্তে ততদিনই সেখানে থাকবেন। তার প্রত্যাবর্তন ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে নাইজারের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর তারা ফরাসি রাষ্ট্রদূত ইত্তেকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। জান্তা প্রশাসন তার ভিসা প্রত্যাহার করে এবং পুলিশকে তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়।
তবে রাষ্ট্রদূতকে নাইজার থেকে ফিরিয়ে আনা হবে না বলে জানিয়ে দেয় ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আফ্রিকার দেশ নাইজারে থাকা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের কোট ডি’অর অঞ্চলে একটি সফরের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারে ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য ফরাসি কূটনীতিকদের ‘ফরাসি দূতাবাসে আক্ষরিক অর্থে জিম্মি করা হয়েছে’। রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাকে খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তারা এখন সামরিক রেশন খাচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করবেন কি না জানতে চাইলে ম্যাক্রোঁ বলেন, নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে আমরা যা কিছু করতে রাজি। তিনি বৈধ কর্তৃপক্ষ এবং আমি প্রতিদিন তার সঙ্গে কথা বলি।
এ বিষয়ে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনার ভাষ্য, ইত্তে এখনও কাজ করছেন।
ফরাসি টিভি চ্যানেল এলসিআইয়ের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে কলোনা বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, রাষ্ট্রদূত কাজ করছেন এবং তিনি তার পরিচিতি ও খুব দরকারি লোকজন নিয়ে একটি ছোট দল তৈরি করে কাজ করে যাচ্ছেন। ’
কোলোনা যোগ করেন, আমরা চাই ইত্তে ততদিনই সেখানে থাকবেন। তার প্রত্যাবর্তন ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে নাইজারের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর তারা ফরাসি রাষ্ট্রদূত ইত্তেকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। জান্তা প্রশাসন তার ভিসা প্রত্যাহার করে এবং পুলিশকে তাকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়।
তবে রাষ্ট্রদূতকে নাইজার থেকে ফিরিয়ে আনা হবে না বলে জানিয়ে দেয় ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
তথ্যসূত্র: সিএনএন