alt

গ্রিনহাউজ পদ্ধতিতে নেদারল্যান্ডসের অবিশ্বাস্য সাফল্য

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশটির জনসংখ্যা খুব বেশি নয়, মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখের মতো। দুই দশক আগেও নিজেদের জনগণের মুখে খাবার তুলে দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতো দেশটি। অথচ আজ তারাই হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক।

নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেশটি আজ কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে পুরো পৃথিবীতে। অসম্ভবকে সম্ভব করা সেই দেশটির নাম নেদারল্যান্ডস। ইউরোপীয় দেশটির আয়তনও খুব বেশি নয়, প্রায় ৪২ হাজার বর্গকিলোমিটার।

কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি জমিই তারা ব্যবহার করছে কৃষিকাজে। ফলে আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের সমান হয়েও কৃষিপণ্য রপ্তানিতে মার্কিনিদের পরেই অবস্থান করছে ডাচরা। কৃষি প্রযুক্তি রপ্তানিতেও শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে তারা।

কোষ-ভিত্তিক মাংস, উল্লম্ব চাষ (ভার্টিকাল ফার্মিং), বীজ প্রযুক্তি এবং দুধ ও ফসল সংগ্রহে রোবট ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে নেদারল্যান্ডস। পানির ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি কার্বন এবং মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তাদের এই প্রযুক্তিগুলো।

বর্তমানে ইউরোপের বৃহত্তম মাংস রপ্তানিকারক নেদারল্যান্ডস। দেশটিতে প্রতি বছর ৪০ লাখ গরু, ১ কোটি ৩০ লাখ শূকর এবং ১০ কোটি ৪০ লাখ মুরগি উৎপাদন হয়। পাশাপাশি, পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ অংশে সবজিও সরবরাহ করে তারা।

নেদারল্যান্ডসে প্রায় ২৪ হাজার একর জমিতে গ্রিনহাউজ পদ্ধতিতে ফসলের চাষ হচ্ছে। এসব গ্রিনহাউজে সার ও পানি লাগে খুবই কম। প্রথাগত পদ্ধতিতে ১০ একর জমিতে যে ফসল ফলে, তা মাত্র এক একর গ্রিনহাউজের মধ্যেই উৎপাদন করছে নেদারল্যান্ডস।

ডাচ খামারগুলো এক পাউন্ড টমেটো জন্মাতে মাত্র দেড় গ্যালন পানি ব্যবহার করে, যেখানে বিশ্বব্যাপী এর গড় ২৮ গ্যালনের বেশি। এছাড়া নেদারল্যান্ডসের গ্রিনহাউজগুলো কীটনাশকের ব্যবহার বাদই দিয়েছে বলা যায়।

দেশটির অর্ধেকের বেশি জমি আজ কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। ডাচরা প্রায়ই বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেদারল্যান্ডস যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছিল, সেই শিক্ষাই তাদের খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে উদ্বুদ্ধ করে।

এই প্রচেষ্টায় দারুণ সফল নেদারল্যান্ডস। আজ বিশ্বের শীর্ষ ২০টি কৃষিখাদ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টিরই বড় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে দেশটিতে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নেসলে, কোকা-কোলা, ইউনিলিভার, কারগিল, ক্রাফট হেইঞ্জ প্রভৃতি।

শোভাবর্ধনের গাছপালা এবং শাকসবজি বীজে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী নেদারল্যান্ডস। দেশটির উত্তর-পশ্চিমে ‘সিড ভ্যালি’ নামে একটি এলাকা রয়েছে, যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন জাতের সবজি ও ফুলের চাষ হচ্ছে। বিখ্যাত বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানি এনজা জাডেনের সদর দপ্তর সেখানেই।

তিন প্রজন্মের ব্যবসা এনজা জাডেনের। একসময়ের পারিবারিক মালিকানাধীন ছোট্ট বীজের দোকান থেকে আজ উদ্ভিজ্জ প্রজননে বৈশ্বিক বাজারের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হয়ে উঠেছে এটি। বর্তমানে ২৫টি দেশে আড়াই হাজারের বেশি কর্মচারী এবং ৪৫টি সহায়ক সংস্থা রয়েছে তাদের।

এনজা জাডেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাপ মাজারেউউ জানান, কোম্পানিটি কেবল গবেষণার পেছনেই বছরে ১০ কোটি ডলার খরচ করে। এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ১৫০টি নতুন সবজির জাত উদ্ভাবন করছেন তারা।

এনজা জাডেন সব ধরনের জলবায়ু অঞ্চলের জন্য এবং ঘরের ভেতরে-বাইরে সব ধরনের চাষের উপযোগী বীজ উৎপাদন করে। মাজারেউউ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে। এ কারণে আমরা টেকসই জাত উদ্ভাবনে নজর দিচ্ছি।

ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে সোনার ৯ আইটেম নিয়ে গেছে ডাকাতরা

ছবি

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাজ্যে অভিবাসনে আসছে নতুন নিয়ম

ছবি

শিগরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে সৌদি, আশা ট্রাম্পের

ছবি

ফের বিমান হামলা করল পাকিস্তান, পাল্টা জবাব আফগানিস্তানের

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ কোটি মানুষ

ছবি

ত্রাণের অপেক্ষায় গাজাবাসী, ক্ষুধা-হাহাকারে কাটছে দিন

ছবি

টমাহক পেল না ইউক্রেইন, ট্রাম্পের বৈঠক শেষে ‘খালি হাতে’ ফিরলেন জেলেনস্কি

চীনা পণ্যে আরোপিত ১০০ শতাংশ শুল্ক টেকসই নয়: ট্রাম্প

ছবি

চীনের শীর্ষ ৯ জেনারেল বরখাস্ত

ছবি

আফগান সীমান্তে আত্মঘাতী হামলা, ৭ পাকিস্তানি সেনাসহ ১০ জন নিহত

ছবি

হামাসকে ‘মেরে ফেলার’ হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

সাড়ে ৩০০ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে

ছবি

ভারতের ‘নোংরা খেলার’ আশঙ্কা, ‘দ্বিমুখী যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান

ছবি

পশ্চিম তীরে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস করছে ইসরায়েল

ছবি

পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসরায়েল ও হামাসের

ছবি

ট্রাম্প বলেছেন—চুক্তি না মানলে ইসরায়েলকে আবারো ‘রাস্তায়’ পাঠানোর অনুমোদন দিতে পারেন

ছবি

মারা গেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

ছবি

রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে না ভারত: দাবি ট্রাম্পের

ছবি

সমুদ্রে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত বন্দর ফি আদায় শুরু

ছবি

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

পাকিস্তানের সঙ্গে আফগান তালেবানের সম্পর্ক কোন দিকে যাচ্ছে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়

ছবি

সীমান্তে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে ফের সংঘাত শুরু

ছবি

তাইওয়ানকে ‘ভুলভাবে’ চিহ্নিত করায় চীনে ৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ

ছবি

বল প্রয়োগ করে হলেও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ফের ইসরায়েলের বিধিনিষেধ, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি

ছবি

গাজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই

ছবি

তালেবানের সাথে এত ঘনিষ্ঠতার কারণ কি, তবে কি স্বীকৃতি দিচ্ছে ভারত

ছবি

আরও চার জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করল হামাস

ছবি

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

ছবি

থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া ‘শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের শান্তিচুক্তির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলো ইরান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়বে’ চীন

ছবি

পাকিস্তান-আফগান লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে বৃহত্তর সংঘাতের হুমকি

tab

গ্রিনহাউজ পদ্ধতিতে নেদারল্যান্ডসের অবিশ্বাস্য সাফল্য

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশটির জনসংখ্যা খুব বেশি নয়, মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখের মতো। দুই দশক আগেও নিজেদের জনগণের মুখে খাবার তুলে দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতো দেশটি। অথচ আজ তারাই হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক।

নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেশটি আজ কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে পুরো পৃথিবীতে। অসম্ভবকে সম্ভব করা সেই দেশটির নাম নেদারল্যান্ডস। ইউরোপীয় দেশটির আয়তনও খুব বেশি নয়, প্রায় ৪২ হাজার বর্গকিলোমিটার।

কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি জমিই তারা ব্যবহার করছে কৃষিকাজে। ফলে আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের সমান হয়েও কৃষিপণ্য রপ্তানিতে মার্কিনিদের পরেই অবস্থান করছে ডাচরা। কৃষি প্রযুক্তি রপ্তানিতেও শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে তারা।

কোষ-ভিত্তিক মাংস, উল্লম্ব চাষ (ভার্টিকাল ফার্মিং), বীজ প্রযুক্তি এবং দুধ ও ফসল সংগ্রহে রোবট ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে নেদারল্যান্ডস। পানির ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি কার্বন এবং মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কমানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তাদের এই প্রযুক্তিগুলো।

বর্তমানে ইউরোপের বৃহত্তম মাংস রপ্তানিকারক নেদারল্যান্ডস। দেশটিতে প্রতি বছর ৪০ লাখ গরু, ১ কোটি ৩০ লাখ শূকর এবং ১০ কোটি ৪০ লাখ মুরগি উৎপাদন হয়। পাশাপাশি, পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ অংশে সবজিও সরবরাহ করে তারা।

নেদারল্যান্ডসে প্রায় ২৪ হাজার একর জমিতে গ্রিনহাউজ পদ্ধতিতে ফসলের চাষ হচ্ছে। এসব গ্রিনহাউজে সার ও পানি লাগে খুবই কম। প্রথাগত পদ্ধতিতে ১০ একর জমিতে যে ফসল ফলে, তা মাত্র এক একর গ্রিনহাউজের মধ্যেই উৎপাদন করছে নেদারল্যান্ডস।

ডাচ খামারগুলো এক পাউন্ড টমেটো জন্মাতে মাত্র দেড় গ্যালন পানি ব্যবহার করে, যেখানে বিশ্বব্যাপী এর গড় ২৮ গ্যালনের বেশি। এছাড়া নেদারল্যান্ডসের গ্রিনহাউজগুলো কীটনাশকের ব্যবহার বাদই দিয়েছে বলা যায়।

দেশটির অর্ধেকের বেশি জমি আজ কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। ডাচরা প্রায়ই বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেদারল্যান্ডস যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছিল, সেই শিক্ষাই তাদের খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে উদ্বুদ্ধ করে।

এই প্রচেষ্টায় দারুণ সফল নেদারল্যান্ডস। আজ বিশ্বের শীর্ষ ২০টি কৃষিখাদ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টিরই বড় গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে দেশটিতে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নেসলে, কোকা-কোলা, ইউনিলিভার, কারগিল, ক্রাফট হেইঞ্জ প্রভৃতি।

শোভাবর্ধনের গাছপালা এবং শাকসবজি বীজে বিশ্বের শীর্ষ সরবরাহকারী নেদারল্যান্ডস। দেশটির উত্তর-পশ্চিমে ‘সিড ভ্যালি’ নামে একটি এলাকা রয়েছে, যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন জাতের সবজি ও ফুলের চাষ হচ্ছে। বিখ্যাত বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানি এনজা জাডেনের সদর দপ্তর সেখানেই।

তিন প্রজন্মের ব্যবসা এনজা জাডেনের। একসময়ের পারিবারিক মালিকানাধীন ছোট্ট বীজের দোকান থেকে আজ উদ্ভিজ্জ প্রজননে বৈশ্বিক বাজারের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হয়ে উঠেছে এটি। বর্তমানে ২৫টি দেশে আড়াই হাজারের বেশি কর্মচারী এবং ৪৫টি সহায়ক সংস্থা রয়েছে তাদের।

এনজা জাডেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাপ মাজারেউউ জানান, কোম্পানিটি কেবল গবেষণার পেছনেই বছরে ১০ কোটি ডলার খরচ করে। এর মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় ১৫০টি নতুন সবজির জাত উদ্ভাবন করছেন তারা।

এনজা জাডেন সব ধরনের জলবায়ু অঞ্চলের জন্য এবং ঘরের ভেতরে-বাইরে সব ধরনের চাষের উপযোগী বীজ উৎপাদন করে। মাজারেউউ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে। এ কারণে আমরা টেকসই জাত উদ্ভাবনে নজর দিচ্ছি।

back to top