alt

শিখ নেতা হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে : ট্রুডো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই ঘটনায় উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

তবে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ট্রুডো আবারও ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, শিখ নেতাকে হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। তবে সেই প্রমাণ সামনে হাজিরের বিষয়ে সরাসরি উত্তর দেননি তিনি।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, কানাডার মাটিতে একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার পেছনে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার মতো ‘বিশ্বাসযোগ্য কারণ’ রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার তিনি ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম এই অভিযোগ তোলেন। অবশ্য শিখ নেতাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ভারত ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে এবং এই ধরনের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলেও অভিহিত করেছে।

গত সোমবার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে বলে প্রথম মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গত ১৮ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে।

গত সোমবার কানাডার হাউস অব কমন্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যার সাথে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে।

সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘কানাডার গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে জি টুয়েন্টি সম্মেলনের মধ্যে বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি।’

বিবিসি বলছে, ট্রুডোর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সামনে আসার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ট্রুডোর এই অভিযোগ ভারত ও কানাডার মধ্যে কুৎসিত কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে, যদিও এই দুটি দেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ভালো বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।

উত্তেজনার একপর্যায়ে উভয় দেশ একে অপরের একজন করে কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। এছাড়া কানাডা ভারতে তার কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে এনেছে এবং বলেছে, কানাডিয়ান কিছু কূটনীতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি পেয়েছেন।

এতোসব ঘটনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং সেখানে তার আগের অভিযোগুলোরই পুনরাবৃত্তি করেন।

কানাডিয়ান এই প্রধানমন্ত্রী এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত সোমবার যেমনটা আমি বলেছি, ভারত সরকারের এজেন্টরা কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ানকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে বিশ্বাস করার বিশ্বাসযোগ্য কারণ রয়েছে।’

তিনি বলেন, এটি করার মাধ্যমে, শৃঙ্খলাভিত্তিক যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় আমরা বিশ্বাস করি, তার পক্ষে আমাদের দেশ দাঁড়িয়েছে।

শিখ নেতা হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার হাতে থাকা প্রমাণগুলো ‘কতটা বিস্তৃত এবং দৃঢ়’ তা জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তবে তিনি বলেন, কানাডার শক্তিশালী এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং আমরা বিচার প্রক্রিয়াগুলোকে পরম সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিই।

ভারতের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে’ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে বলেও জানান কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অভিযোগগুলো মেনে নিয়েছেন বা অস্বীকার করেছেন কিনা জানতে চাইলে ট্রুডো বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ‘সরাসরি ও খোলামেলা কথোপকথন’ হয়েছে, ‘যেখানে আমি আমার উদ্বেগগুলো তাকে জানিয়ে দিয়েছি’।

জাস্টিন ট্রুডো চলতি মাসের শুরুতে জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ভারত সফর করেন এবং সেখানে মোদির সাথে তার উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। ভারত সেসময় এক কঠোর বিবৃতি জারি করে জানায়, ‘কানাডায় চরমপন্থিদের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে তারা উদ্বেগ জানিয়েছে এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রচার এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগ করেছে।

অবশ্য ট্রুডো বলেছেন, ঘৃণার বিরুদ্ধে কাজ করার সময় কানাডা সবসময় ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ রক্ষা করবে।

এদিকে কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

নারী সাংবাদিককে হেনস্তা, ট্রাম্পের সাফাই গাইলো হোয়াইট হাউজ

ছবি

যে প্রশ্নের উত্তরেই মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর ফাতিমা বশ

ছবি

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়

ছবি

ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ

ছবি

তেল অন্বেষণে সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ বানাবে পাকিস্তান

ছবি

ইউক্রেনকে পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই কি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব

ছবি

ব্রাজিলে জলবায়ু সম্মেলনস্থলে আগুন, আলোচনা স্থগিত

ছবি

গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র শীতের আতঙ্ক

ছবি

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫

ছবি

আগামী বছর জলবায়ু সম্মেলন কপ৩১ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তুরস্ক

ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে নতুন মার্কিন কাঠামো, স্বস্তিতে নেই জেলেনস্কি

ছবি

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

দুই ধাপে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় ব্রাজিল

ছবি

প্রতিষ্ঠানটি আসলে চালাচ্ছে কারা

ছবি

পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিলে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা: শিশু সহ নিহত ২৫

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

মহাকাশে আরও তীব্র হচ্ছে সামরিক প্রতিযোগিতা

ছবি

গাজায় ঐতিহাসিক প্রাসাদ ধ্বংস, ২০ হাজারের বেশি প্রত্নবস্তু লুট

ছবি

হামাসকে গাজা থেকে বহিষ্কারের আহ্বান নেতানিয়াহুর

ছবি

সৌদি আরবকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল

ছবি

ভারতীয়দের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করছে ইরান

ছবি

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

ছবি

এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

ছবি

আফ্রিকার ৬ দেশে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

ছবি

তহবিল ঘাটতি, প্রকট হচ্ছে ক্ষুধা সংকট, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ছবি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে

ছবি

ভারতে ২৬টি হামলার নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিদমা অভিযানে নিহত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

tab

শিখ নেতা হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে : ট্রুডো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই ঘটনায় উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে ব্যাপকভাবে।

তবে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ট্রুডো আবারও ভারতের বিরুদ্ধে তার অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, শিখ নেতাকে হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। তবে সেই প্রমাণ সামনে হাজিরের বিষয়ে সরাসরি উত্তর দেননি তিনি।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, কানাডার মাটিতে একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার পেছনে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার মতো ‘বিশ্বাসযোগ্য কারণ’ রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার তিনি ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম এই অভিযোগ তোলেন। অবশ্য শিখ নেতাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ ভারত ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেছে এবং এই ধরনের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলেও অভিহিত করেছে।

গত সোমবার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার পেছনে ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে বলে প্রথম মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গত ১৮ জুন গুলি করে হত্যা করা হয় ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জারকে।

গত সোমবার কানাডার হাউস অব কমন্সের সভায় প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা শিখ নেতা নিজ্জারের হত্যার সাথে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে।

সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘কানাডার গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের শীর্ষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে জি টুয়েন্টি সম্মেলনের মধ্যে বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছি।’

বিবিসি বলছে, ট্রুডোর পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সামনে আসার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ট্রুডোর এই অভিযোগ ভারত ও কানাডার মধ্যে কুৎসিত কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে, যদিও এই দুটি দেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ভালো বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।

উত্তেজনার একপর্যায়ে উভয় দেশ একে অপরের একজন করে কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে কানাডিয়ান নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। এছাড়া কানাডা ভারতে তার কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে এনেছে এবং বলেছে, কানাডিয়ান কিছু কূটনীতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি পেয়েছেন।

এতোসব ঘটনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং সেখানে তার আগের অভিযোগুলোরই পুনরাবৃত্তি করেন।

কানাডিয়ান এই প্রধানমন্ত্রী এদিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত সোমবার যেমনটা আমি বলেছি, ভারত সরকারের এজেন্টরা কানাডার মাটিতে একজন কানাডিয়ানকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলে বিশ্বাস করার বিশ্বাসযোগ্য কারণ রয়েছে।’

তিনি বলেন, এটি করার মাধ্যমে, শৃঙ্খলাভিত্তিক যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় আমরা বিশ্বাস করি, তার পক্ষে আমাদের দেশ দাঁড়িয়েছে।

শিখ নেতা হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার হাতে থাকা প্রমাণগুলো ‘কতটা বিস্তৃত এবং দৃঢ়’ তা জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো সরাসরি কোনও উত্তর দেননি। তবে তিনি বলেন, কানাডার শক্তিশালী এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে এবং আমরা বিচার প্রক্রিয়াগুলোকে পরম সততার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিই।

ভারতের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে’ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে বলেও জানান কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অভিযোগগুলো মেনে নিয়েছেন বা অস্বীকার করেছেন কিনা জানতে চাইলে ট্রুডো বলেন, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার ‘সরাসরি ও খোলামেলা কথোপকথন’ হয়েছে, ‘যেখানে আমি আমার উদ্বেগগুলো তাকে জানিয়ে দিয়েছি’।

জাস্টিন ট্রুডো চলতি মাসের শুরুতে জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ভারত সফর করেন এবং সেখানে মোদির সাথে তার উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। ভারত সেসময় এক কঠোর বিবৃতি জারি করে জানায়, ‘কানাডায় চরমপন্থিদের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে তারা উদ্বেগ জানিয়েছে এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রচার এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগ করেছে।

অবশ্য ট্রুডো বলেছেন, ঘৃণার বিরুদ্ধে কাজ করার সময় কানাডা সবসময় ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’ রক্ষা করবে।

এদিকে কানাডার শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

back to top