নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘লড়াই, মানবাধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার’ জন্য ইরানের বন্দি নারীনেত্রী নার্গেস মোহাম্মাদিকে ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
নরওয়ের নোবেল ইন্সটিটিউট শুক্রবার অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০৪তম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নার্গেস মোহাম্মদীর নাম ঘোষণা করে। ইরানে গত এক বছরের বেশী সময় ধরে চলা নারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটেই এই ঘোষণা এলো।
৫১ বছর বয়সী নার্গেস মোহাম্মদি সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাকে বেশির ভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে।
ঘোষণায় নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাহসী ওই সংগ্রাম করতে গিয়ে নার্গেস মোহাম্মাদিকে বিশাল আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। ইরানের ক্ষমতাসীন শাসকেরা তাকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করেছে। তাকে পাঁচ দফায় দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে মোট ৩১ বছরের জেল ও ১৫৪টি দোররা মারার আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
‘নার্গেস তবু নারীদের সেই আন্দোলনে ভাটা পড়তে দেননি’, বলেন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন।
২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী শিরিন এবাদির ‘ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টারে’ ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন নের্গিস। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ নারী নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন।
নার্গেস তেহরানের ইভিন কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার’ চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
গত বছর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে ইরানব্যাপী নারীদের বিক্ষোভের সময় কারাবন্দী ছিলেন নার্গেস। সেই বিক্ষোভের সমর্থনে কারাগারেই আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। এসময় তিনি গোপনে একটি লেখা নিউইয়র্ক টাইমসে পাঠাতে সমর্থ হন তিনি।
বিজয়ী হিসেবে নার্গেসের নাম ঘোষণার সময় সে কারণেই লেকটারে এসে ইরানি বিক্ষোভকারীদের স্লোগানের পুনরাবৃত্তি করেন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন। ইরানের ওই বিক্ষোভের শ্লোগান ছিল ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’।
ডিসেম্বরে পুরস্কারটি হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু সেসময় নার্গেস উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি আশা করেন যে ইরান সরকার তাকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য মুক্তি দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘একই সঙ্গে এই স্বীকৃতি যারা এখনো অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে লড়ছে, এবং যেই নারীরা শাসকদের নিপীড়নের শিকার হয়েছে, তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগেরও স্বীকৃতি।’
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান রেইস-অ্যান্ডারসেন বলেন, এখন বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ক্ষয়িষ্ণু। তিনি এসময় ইরানের সরকারের প্রতি তার নিজেদের মানুষের কথা শোনার আহবান রাখেন।
যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরতে ‘অসাধারণ ভূমিকা’ রাখায় গত বছর শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়েছে বেলারুশের কারাবন্দি অধিকার কর্মী আলেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে। তার সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পায় ইউক্রেইনের সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস এবং রাশিয়ার বন্ধ করে দেওয়া মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল।
শুক্রবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৩
নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘লড়াই, মানবাধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার’ জন্য ইরানের বন্দি নারীনেত্রী নার্গেস মোহাম্মাদিকে ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
নরওয়ের নোবেল ইন্সটিটিউট শুক্রবার অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০৪তম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নার্গেস মোহাম্মদীর নাম ঘোষণা করে। ইরানে গত এক বছরের বেশী সময় ধরে চলা নারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটেই এই ঘোষণা এলো।
৫১ বছর বয়সী নার্গেস মোহাম্মদি সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাকে বেশির ভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে।
ঘোষণায় নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাহসী ওই সংগ্রাম করতে গিয়ে নার্গেস মোহাম্মাদিকে বিশাল আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। ইরানের ক্ষমতাসীন শাসকেরা তাকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করেছে। তাকে পাঁচ দফায় দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে মোট ৩১ বছরের জেল ও ১৫৪টি দোররা মারার আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
‘নার্গেস তবু নারীদের সেই আন্দোলনে ভাটা পড়তে দেননি’, বলেন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন।
২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী শিরিন এবাদির ‘ডিফেন্ডারস অফ হিউম্যান রাইটস সেন্টারে’ ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন নের্গিস। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ নারী নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন।
নার্গেস তেহরানের ইভিন কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার’ চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
গত বছর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে ইরানব্যাপী নারীদের বিক্ষোভের সময় কারাবন্দী ছিলেন নার্গেস। সেই বিক্ষোভের সমর্থনে কারাগারেই আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। এসময় তিনি গোপনে একটি লেখা নিউইয়র্ক টাইমসে পাঠাতে সমর্থ হন তিনি।
বিজয়ী হিসেবে নার্গেসের নাম ঘোষণার সময় সে কারণেই লেকটারে এসে ইরানি বিক্ষোভকারীদের স্লোগানের পুনরাবৃত্তি করেন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন। ইরানের ওই বিক্ষোভের শ্লোগান ছিল ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’।
ডিসেম্বরে পুরস্কারটি হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু সেসময় নার্গেস উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিনি আশা করেন যে ইরান সরকার তাকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য মুক্তি দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘একই সঙ্গে এই স্বীকৃতি যারা এখনো অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে লড়ছে, এবং যেই নারীরা শাসকদের নিপীড়নের শিকার হয়েছে, তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগেরও স্বীকৃতি।’
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান রেইস-অ্যান্ডারসেন বলেন, এখন বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ক্ষয়িষ্ণু। তিনি এসময় ইরানের সরকারের প্রতি তার নিজেদের মানুষের কথা শোনার আহবান রাখেন।
যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরতে ‘অসাধারণ ভূমিকা’ রাখায় গত বছর শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়েছে বেলারুশের কারাবন্দি অধিকার কর্মী আলেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে। তার সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পায় ইউক্রেইনের সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস এবং রাশিয়ার বন্ধ করে দেওয়া মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল।