হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত আরও বাড়লে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হবে বিপজ্জনক। সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সতর্কতা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যেভাবে নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে তা স্পষ্টতই গর্হিত অপরাধ, পাশবিক হামলা। নিরীহ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ইসরায়েল সফর শেষে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর সৌদি আরবে যান ঋষি সুনাক। অবরুদ্ধ গাজায় জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা স্থগিত করছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের ক্ষমতাধর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এরই মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। ইরানকে একঘরে করতে বাইডেন প্রশাসনের যেসব আয়োজন, মোহাম্মদ বিন সালমানের এই ফোনালাপকে সেসবের বিপরীত প্রয়াস হিসেবে ধরা হচ্ছে।
রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ নাম না প্রকাশ করে সূত্রের বক্তব্য দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আলোচনা শেষ করবে না সৌদি আরব। হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় তা হিমঘরে রাখা হয়েছে।
সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপনচেষ্টায় এ পর্যন্ত ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানবিরোধী অবস্থান আরও জোরদার হয়। এ প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের এতটা আগ্রহের নেপথ্যের কারণ হিসেবে বললে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধরদের ইরানবিরোধী অবস্থানে আনার অভিপ্রায় অন্যতম।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি যে মার্কিন স্বার্থের উল্টোপথে শক্তি সঞ্চয় করছে, সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের দীর্ঘ সময়ের ফোনালাপ তারই প্রমাণ।
শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত আরও বাড়লে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হবে বিপজ্জনক। সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সতর্কতা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যেভাবে নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে তা স্পষ্টতই গর্হিত অপরাধ, পাশবিক হামলা। নিরীহ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ইসরায়েল সফর শেষে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর সৌদি আরবে যান ঋষি সুনাক। অবরুদ্ধ গাজায় জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা স্থগিত করছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের ক্ষমতাধর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এরই মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। ইরানকে একঘরে করতে বাইডেন প্রশাসনের যেসব আয়োজন, মোহাম্মদ বিন সালমানের এই ফোনালাপকে সেসবের বিপরীত প্রয়াস হিসেবে ধরা হচ্ছে।
রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ নাম না প্রকাশ করে সূত্রের বক্তব্য দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আলোচনা শেষ করবে না সৌদি আরব। হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় তা হিমঘরে রাখা হয়েছে।
সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ক স্থাপনচেষ্টায় এ পর্যন্ত ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানবিরোধী অবস্থান আরও জোরদার হয়। এ প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের এতটা আগ্রহের নেপথ্যের কারণ হিসেবে বললে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধরদের ইরানবিরোধী অবস্থানে আনার অভিপ্রায় অন্যতম।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি যে মার্কিন স্বার্থের উল্টোপথে শক্তি সঞ্চয় করছে, সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পর ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের দীর্ঘ সময়ের ফোনালাপ তারই প্রমাণ।