যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে ইসরায়েলের ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। রোববার দ্যা টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন হলেন ইসরায়েলি। আর বাকি চারজন বিদেশি নাগরিক। খবর আল-জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন, দ্যা টাইমস অব ইসরায়েল
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে মিসরের গণমাধ্যম আল কাহেরা টিভি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ১৩ ইসরায়েলি এবং পাঁচ বিদেশি জিম্মিকে বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে রেডক্রস।
মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গাজা থেকে আসা এসব জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
অপরদিকে বিবিসি জানিয়েছে, হামাস নিশ্চিত করেছে তারা ১৩ ইসরায়েলি, তিন থাই এবং এক রাশিয়ানকে রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে রাশিয়ানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তিনি ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক। আর এ কারণেই ইসরায়েলি জিম্মির সংখ্যা নিয়ে অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। ওই ইসরায়েলি-রাশিয়ানকেও ইসরায়েলি হিসেবে ধরে— ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বিরতির তৃতীয় দিন ১৪ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, আজ যেসব জিম্মিদের ছাড়া হয়েছে তাদের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে রেডক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত দুই দিন যেসব জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন তাদের গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রোববার হামাস যে ১৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে আবিগালি ইদান নামের চার বছরের একটি শিশু রয়েছে। এই শিশুটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলর দ্বৈত নাগরিক।
শুরু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো মার্কিন নাগরিক হামাসের কাছ থেকে ছাড়া পেল।
দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। যা গত শুক্রবার শুরু হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। কাল চুক্তির শেষ দিন।
যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আশা কাতারের
ইসরায়েল ও ইসলামপন্থী হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কাতার সরকার আশা করছে বর্তমানে সম্মত হওয়া চার দিনের বাইরেও যুদ্ধবিরতি বাড়ানো যাবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করছি এই দুই দিনের মুক্তি এবং চার দিনের চুক্তি থেকে যে গতি এসেছে, তার ফলে এই চার দিনের পরেও যুদ্ধবিরতি আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। এজন্য বাকি জিম্মিদের বিষয়ে আরও গুরুতর আলোচনায় যেতে হবে।'
দুই দফায় এখনও পর্যন্ত ২৬ ইসরায়েলি নাগরিক, চার থাই এবং এক ফিলিপিনো নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৭৮ ফিলিস্তিনি বন্দীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে ইসরায়েলের ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। রোববার দ্যা টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন হলেন ইসরায়েলি। আর বাকি চারজন বিদেশি নাগরিক। খবর আল-জাজিরা, বিবিসি, সিএনএন, দ্যা টাইমস অব ইসরায়েল
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে মিসরের গণমাধ্যম আল কাহেরা টিভি জানিয়েছে, হামাসের কাছ থেকে ১৩ ইসরায়েলি এবং পাঁচ বিদেশি জিম্মিকে বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে রেডক্রস।
মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গাজা থেকে আসা এসব জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
অপরদিকে বিবিসি জানিয়েছে, হামাস নিশ্চিত করেছে তারা ১৩ ইসরায়েলি, তিন থাই এবং এক রাশিয়ানকে রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যে রাশিয়ানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তিনি ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক। আর এ কারণেই ইসরায়েলি জিম্মির সংখ্যা নিয়ে অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে। ওই ইসরায়েলি-রাশিয়ানকেও ইসরায়েলি হিসেবে ধরে— ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বিরতির তৃতীয় দিন ১৪ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, আজ যেসব জিম্মিদের ছাড়া হয়েছে তাদের গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে রেডক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত দুই দিন যেসব জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন তাদের গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রোববার হামাস যে ১৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে আবিগালি ইদান নামের চার বছরের একটি শিশু রয়েছে। এই শিশুটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলর দ্বৈত নাগরিক।
শুরু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো মার্কিন নাগরিক হামাসের কাছ থেকে ছাড়া পেল।
দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। যা গত শুক্রবার শুরু হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। কাল চুক্তির শেষ দিন।
যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আশা কাতারের
ইসরায়েল ও ইসলামপন্থী হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী কাতার সরকার আশা করছে বর্তমানে সম্মত হওয়া চার দিনের বাইরেও যুদ্ধবিরতি বাড়ানো যাবে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ‘‘আমরা আশা করছি এই দুই দিনের মুক্তি এবং চার দিনের চুক্তি থেকে যে গতি এসেছে, তার ফলে এই চার দিনের পরেও যুদ্ধবিরতি আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। এজন্য বাকি জিম্মিদের বিষয়ে আরও গুরুতর আলোচনায় যেতে হবে।'
দুই দফায় এখনও পর্যন্ত ২৬ ইসরায়েলি নাগরিক, চার থাই এবং এক ফিলিপিনো নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৭৮ ফিলিস্তিনি বন্দীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।