alt

আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়লো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়লো। দীর্ঘ আলোচনার পর সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এ বিষয়ে একমত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। আর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যস্ততাকারী দেশ কাতার।

গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, যা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি ওঠে। সেই লক্ষ্যেই উভয় পক্ষ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে জোর আলোচনা শুরু করে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, গাজা উপত্যকায় অতিরিক্ত দুই দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তি হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও চারদিনের যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ পর্যন্ত আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি করাস সম্ভব হয়েছে।

হামাস বলেছে, আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, যা আগের শর্ত মোতাবেকই চলবে। অন্যদিকে, ইসরায়েল আগেই জানিয়েছিল, হামাসের হাতে বন্দি নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে তারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি আছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে বলেছেন, চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা ত্রাণের পরিমাণ খুবই কম। তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ তৈরি হলো বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, নতুন করে দুই দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে ফিলিস্তিনিরা স্বাগত জানিয়েছেন। গাজাবাসীর অভিমত, আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতি মানে ইসরায়েলের হামলা থেকে আরও দুই দিনের জন্য বেঁচে যাওয়া।

গত ৭ অক্টোবর নতুন করে শুরু হয় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত। এরপর টানা প্রায় ৭ সপ্তাহ ধরে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলের হামলায় গাজায় প্রায় ১৫ হাজার নিহত ও ৩৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।

গত মাসে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পরই যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়। প্রধানত কাতারের মধ্যস্থতায় চলতি সপ্তাহে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল, গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ ও ত্রাণের ট্রাক প্রবেশের সুযোগ দেওয়া ও বন্দি বিনিময়।

এরপর গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির মধ্যে এ পর্যন্ত তিন দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাস ১৩ জন ইসরায়েলি নারী-শিশু ও বৃদ্ধকে মুক্তি দেয়। অন্যদিকে, নারী-শিশুসহ ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন নারী-শিশুসহ ১৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয় হামাস। যাদের মধ্যে ছয়জন নারী ও সাতটি শিশু ছিল। বিপরীতে নারী ও শিশুসহ ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। যার মধ্যে ছয়জন নারী ও ৩৩টি শিশু।

এরপর যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন রোববার (২৬ নভেম্বর) তৃতীয় দফায় ১৩ ইসরায়েলি ও ৪ বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। তার বিনিময়েই আরও ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। সোমবার (২৭ নভেম্বর) চতুর্থ দফায় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া চলমান।

সূত্র: আল জাজিরা

ছবি

বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক গোপনীয়তা চুরির চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া

ছবি

শেখ হাসিনাকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন, ক্ষমা চাইল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় নিহত আরও ৩০ ফিলিস্তিনি

ছবি

আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশির দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড

ছবি

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করেছে পুলিশ: অ্যামনেস্টি

ছবি

পরিস্থিতি বুঝে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে : পলক

ছবি

চীনে শপিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬

ছবি

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮১

ছবি

ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন বিবেচনার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

সারা দেশে আ. লীগ নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ

ছবি

কোটা আন্দোলনে হামলা-সংঘর্ষ-হত্যা : যা বলছে জাতিসংঘ

ছবি

ওমান উপকূলে ট্যাংকারডুবি, ১৩ ভারতীয়সহ সমুদ্রে নিখোঁজ ১৬ ক্রু

ছবি

বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন

ছবি

কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় অ্যামনেস্টির নিন্দা

ছবি

আসন্ন নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নাম ঘোষণা ট্রাম্পের

ছবি

ইসরায়েলের ৫ নাগরিক, তিন সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ইইউর

ছবি

নুসেইরাত-খান ইউনিসে ইসরায়েলের বর্বর হামলা, ৫ শিশুসহ নিহত ১৫

ছবি

কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

রিপাবলিকান সম্মেলনে যোগ দিতে উইসকন্সিনে পৌঁছেছেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ১৪১ ফিলিস্তিনি

ছবি

ট্রাম্পের ওপর হামলা

ছবি

ট্রাম্পের ওপর হামলাকারী ছিলেন রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার

ছবি

ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: এফবিআই

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা নেই: বাইডেন

ছবি

ট্রাম্পের ওপর হামলা

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭১ জন নিহত

ছবি

গাজায় হেপাটাইটিসে আক্রান্ত ৭০ হাজারের বেশি মানুষ

ছবি

নাইজেরিয়ায় ধসে পড়েছে স্কুল, নিহত ২১

ছবি

কুকুর লেলিয়ে প্রতিবন্ধী ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েলি সেনারা

ছবি

নির্বাচনে আমি থাকছি, আর আমিই জিতবো : বাইডেন

ছবি

নাইজেরিয়ায় স্কুলভবনে ধস, ২২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসন পেতে যাচ্ছে ইমরানের পিটিআই দল

ছবি

বাইডেনের পরপর ভুল মন্তব্যে উদ্বেগ, তবুও নির্বাচনী প্রচারণায় অটল

ছবি

নেপালে ভূমিধসে নদীতে ছিটকে পড়ল দুই বাস, নিখোঁজ অন্তত ৬৩

ছবি

অরুণাচলে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতের পদক্ষেপ, চীনের তীব্র প্রতিক্রিয়া

ছবি

যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলীও

tab

আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়লো

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়লো। দীর্ঘ আলোচনার পর সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এ বিষয়ে একমত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। আর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যস্ততাকারী দেশ কাতার।

গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, যা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি ওঠে। সেই লক্ষ্যেই উভয় পক্ষ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে জোর আলোচনা শুরু করে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন যে, গাজা উপত্যকায় অতিরিক্ত দুই দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তি হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও চারদিনের যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ পর্যন্ত আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি করাস সম্ভব হয়েছে।

হামাস বলেছে, আরও দুইদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, যা আগের শর্ত মোতাবেকই চলবে। অন্যদিকে, ইসরায়েল আগেই জানিয়েছিল, হামাসের হাতে বন্দি নাগরিকদের মুক্তির বিনিময়ে তারা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি আছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে বলেছেন, চারদিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা ত্রাণের পরিমাণ খুবই কম। তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে গাজায় আরও ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ তৈরি হলো বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, নতুন করে দুই দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে ফিলিস্তিনিরা স্বাগত জানিয়েছেন। গাজাবাসীর অভিমত, আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতি মানে ইসরায়েলের হামলা থেকে আরও দুই দিনের জন্য বেঁচে যাওয়া।

গত ৭ অক্টোবর নতুন করে শুরু হয় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত। এরপর টানা প্রায় ৭ সপ্তাহ ধরে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলের হামলায় গাজায় প্রায় ১৫ হাজার নিহত ও ৩৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। সেই সঙ্গে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।

গত মাসে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পরই যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হয়। প্রধানত কাতারের মধ্যস্থতায় চলতি সপ্তাহে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল, গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ ও ত্রাণের ট্রাক প্রবেশের সুযোগ দেওয়া ও বন্দি বিনিময়।

এরপর গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির মধ্যে এ পর্যন্ত তিন দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাস ১৩ জন ইসরায়েলি নারী-শিশু ও বৃদ্ধকে মুক্তি দেয়। অন্যদিকে, নারী-শিশুসহ ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন নারী-শিশুসহ ১৩ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেয় হামাস। যাদের মধ্যে ছয়জন নারী ও সাতটি শিশু ছিল। বিপরীতে নারী ও শিশুসহ ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। যার মধ্যে ছয়জন নারী ও ৩৩টি শিশু।

এরপর যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন রোববার (২৬ নভেম্বর) তৃতীয় দফায় ১৩ ইসরায়েলি ও ৪ বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয় হামাস। তার বিনিময়েই আরও ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। সোমবার (২৭ নভেম্বর) চতুর্থ দফায় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া চলমান।

সূত্র: আল জাজিরা

back to top