গাজায় প্রতি দশ মিনিটে নিহত হচ্ছে একটি শিশু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশু নিয়ে মায়ের আহাজারি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে একটি শিশু নিহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিকৃত প্যালেস্টাইনি অঞ্চলে নিয়োজিত ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেনে, ‘নিহত ১৬ হাজার প্যালেস্টাইনির ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু।’
এই পরিস্থিতিকে ‘মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার সময়’ বলে অভিহিত করেন তিনি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিতে রয়েছে খবরটি। এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি দরকার।’
তিনি জানান, গাজায় হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ থেকে কমে এখন দেড় হাজারে নেমে এসেছে। প্যালেস্টাইনি হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির শেষে গত ১ ডিসেম্বর গাজা উপত্যকায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা এবার গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়া ঘিরে ফেলেছে।
ক্যাম্পটি গাজার উত্তরে অবস্থিত। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এটাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। এর আগে আলশিফা হাসপাতালকেও ঘিরেও একই কাজ করেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, খান ইউনিসের আশেপাশে শীঘ্রই একটি বড় সামরিক অভিযান চালানো হবে। স্থানীয়দের মধ্যে সেখান থেকে সতর্কতামূলক লিফলেট বাদ দেয়া হয়েছে সেখান থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য। জানা গেছে। ইসরায়েলের আরেকজন সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত হামাসের আট শতাধিক সুড়ঙ্গের মধ্যে ৫০০টি ধ্বংস করেছে তারা। একই সঙ্গে খান ইউনিস শহরসহ দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইউনিসেফ বলছে, গাজায় নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। আর পরিস্থিতি প্রতি ঘণ্টায়ই আরও শোচনীয় হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
প্যালেস্টাইনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার খান ইউনিসের ইসরায়েলের একটি বিমান হামলাতেই নিহত হন ৪৩ জন।
ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের পরে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে মেঝেতে রক্তে মাখা রোগীদের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিস্থিতিটিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছেন হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা। তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজায় হাসপাতালগুলোতে সেবা দেয়া যাচ্ছে না। হাসপাতাল ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে যে পরিমাণ আহত রোগী আসছে, তা সামাল দেয়া যাচ্ছে না।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়। এরপর থেকে অব্যাহতভাবে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর কিছুদিন পর শুরু করে স্থলাভিযান শুরু হয় তাদের।
গাজায় প্রতি দশ মিনিটে নিহত হচ্ছে একটি শিশু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশু নিয়ে মায়ের আহাজারি
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে একটি শিশু নিহত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জেনেভায় জাতিসংঘের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিকৃত প্যালেস্টাইনি অঞ্চলে নিয়োজিত ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেনে, ‘নিহত ১৬ হাজার প্যালেস্টাইনির ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু।’
এই পরিস্থিতিকে ‘মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার সময়’ বলে অভিহিত করেন তিনি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিতে রয়েছে খবরটি। এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি দরকার।’
তিনি জানান, গাজায় হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ থেকে কমে এখন দেড় হাজারে নেমে এসেছে। প্যালেস্টাইনি হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির শেষে গত ১ ডিসেম্বর গাজা উপত্যকায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা এবার গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়া ঘিরে ফেলেছে।
ক্যাম্পটি গাজার উত্তরে অবস্থিত। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এটাকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। এর আগে আলশিফা হাসপাতালকেও ঘিরেও একই কাজ করেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, খান ইউনিসের আশেপাশে শীঘ্রই একটি বড় সামরিক অভিযান চালানো হবে। স্থানীয়দের মধ্যে সেখান থেকে সতর্কতামূলক লিফলেট বাদ দেয়া হয়েছে সেখান থেকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য। জানা গেছে। ইসরায়েলের আরেকজন সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত হামাসের আট শতাধিক সুড়ঙ্গের মধ্যে ৫০০টি ধ্বংস করেছে তারা। একই সঙ্গে খান ইউনিস শহরসহ দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ইউনিসেফ বলছে, গাজায় নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। আর পরিস্থিতি প্রতি ঘণ্টায়ই আরও শোচনীয় হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
প্যালেস্টাইনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার খান ইউনিসের ইসরায়েলের একটি বিমান হামলাতেই নিহত হন ৪৩ জন।
ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের পরে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে মেঝেতে রক্তে মাখা রোগীদের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিস্থিতিটিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছেন হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা। তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজায় হাসপাতালগুলোতে সেবা দেয়া যাচ্ছে না। হাসপাতাল ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে যে পরিমাণ আহত রোগী আসছে, তা সামাল দেয়া যাচ্ছে না।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১,২০০ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়। এরপর থেকে অব্যাহতভাবে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর কিছুদিন পর শুরু করে স্থলাভিযান শুরু হয় তাদের।