জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪ টি আসন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বুধবার দেশটির লোকসভায় অর্থাৎ সংসদে পেশ করা হয় জম্মু ও কাশ্মীর (সংশোধনী) সংরক্ষণ বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল-২০২৩। এই বিল প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন অমিত শাহ।
এসম়য় তিনি বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪ টি আসন আমরা সংরক্ষিত রেখেছি। কারণ ওটা আমাদের জায়গা। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের থেকে বাস্তুচ্যূত একজন প্রতিনিধির জন্য একটি সংরক্ষিত আসন রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন ‘আগে জম্মুতে ৩৭ টি আসন ছিল, এখন তা ৪৩ হয়েছে। কাশ্মীরে আগে ৪৬ টি আসন ছিল, এখন তা হয়েছে ৪৭। আর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আগে ১০৭ টি আসন ছিল, এখন সেটা বেড়ে হচ্ছে ১১৪।
জম্মু ও কাশ্মীর (সংশোধনী) সংরক্ষণ বিলের আওতায় রাজ্য সরকারের চাকরি এবং পেশাগত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রেও পদ বা আসন সংরক্ষণের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।
এই দুটি বিল উত্থাপনের আগে কাশ্মীরের একটি অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেছেন অমিত শাহ। তার ভাষ্য, নেহেরু যদি ‘ভুল না করতেন’ তবে পুরো ‘কাশ্মীর ভারতের থাকতো’।
তার অভিযোগ নেহেরু মুলত: দুইটি ভুল করেছিলেন — একটি যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা, দ্বিতীয়ত: কাশ্মীর ইস্যুকে জাতিসংঘের উত্থাপন করা। জহর লাল নেহেরু বলেছিলেন এটা তার ভুল। কিন্তু আমি বলবো এটি শুধু ভুল নয়, এত বড় জমি হারানো সাংঘাতিক একটা ভুল ছিল। নেহেরু যদি এই ভুল না করতেন তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশটি আজ ভারতের থাকতো। এটা একটা ঐতিহাসিক ভুল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অমিত শাহ বলেন গত ৭০ বছর ধরে যারা বঞ্চিত, উপেক্ষিত, অপমানিত হয়েছেন, এই বিল তাদের ন্যায় বিচার দেবে। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু মোদি সরকার পরিকল্পনা নিয়েছেন যে আগামী তিন বছরে সন্ত্রাসে একটি মানুষেরও মৃত্যু হবে না।‘
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যারা কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তাদের বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করবে এই বিল।
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪ টি আসন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বুধবার দেশটির লোকসভায় অর্থাৎ সংসদে পেশ করা হয় জম্মু ও কাশ্মীর (সংশোধনী) সংরক্ষণ বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল-২০২৩। এই বিল প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন অমিত শাহ।
এসম়য় তিনি বলেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ২৪ টি আসন আমরা সংরক্ষিত রেখেছি। কারণ ওটা আমাদের জায়গা। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের থেকে বাস্তুচ্যূত একজন প্রতিনিধির জন্য একটি সংরক্ষিত আসন রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন ‘আগে জম্মুতে ৩৭ টি আসন ছিল, এখন তা ৪৩ হয়েছে। কাশ্মীরে আগে ৪৬ টি আসন ছিল, এখন তা হয়েছে ৪৭। আর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আগে ১০৭ টি আসন ছিল, এখন সেটা বেড়ে হচ্ছে ১১৪।
জম্মু ও কাশ্মীর (সংশোধনী) সংরক্ষণ বিলের আওতায় রাজ্য সরকারের চাকরি এবং পেশাগত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রেও পদ বা আসন সংরক্ষণের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।
এই দুটি বিল উত্থাপনের আগে কাশ্মীরের একটি অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেছেন অমিত শাহ। তার ভাষ্য, নেহেরু যদি ‘ভুল না করতেন’ তবে পুরো ‘কাশ্মীর ভারতের থাকতো’।
তার অভিযোগ নেহেরু মুলত: দুইটি ভুল করেছিলেন — একটি যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা, দ্বিতীয়ত: কাশ্মীর ইস্যুকে জাতিসংঘের উত্থাপন করা। জহর লাল নেহেরু বলেছিলেন এটা তার ভুল। কিন্তু আমি বলবো এটি শুধু ভুল নয়, এত বড় জমি হারানো সাংঘাতিক একটা ভুল ছিল। নেহেরু যদি এই ভুল না করতেন তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশটি আজ ভারতের থাকতো। এটা একটা ঐতিহাসিক ভুল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সংসদের অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অমিত শাহ বলেন গত ৭০ বছর ধরে যারা বঞ্চিত, উপেক্ষিত, অপমানিত হয়েছেন, এই বিল তাদের ন্যায় বিচার দেবে। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু মোদি সরকার পরিকল্পনা নিয়েছেন যে আগামী তিন বছরে সন্ত্রাসে একটি মানুষেরও মৃত্যু হবে না।‘
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যারা কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তাদের বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করবে এই বিল।