alt

পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ, ডেনমার্কে বিল পাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানো, ছেঁড়া বা অমর্যাদাকর কোনো কাজ করা যাবে না, করলেই হবে জরিমানা বা জেল। ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। ফলে এই উত্তর ইউরোপীয় দেশে পবিত্র কোরআন পড়ানো, ছেঁড়া বা অমর্যাদাকর আচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে।

বিলের পক্ষে ৯৪ ও বিপক্ষে ৭৭টি ভোট পড়ে। বিলে বলা হয়েছে, “একটি স্বীকৃত ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বই বা লেখার প্রতি অন্যায্য আচরণ করা যাবে না। ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো, ছেঁড়া বা অমর্যাদার জন্য জরিমানা বা দুই বছর পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পড়ানো নিয়ে যদি ভিডিও প্রচার করা হয়, তাহলে অপরাধীর কারাদ- হবে।”

ডেনমার্কের বিচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডেনমার্কের বিরুদ্ধে জঙ্গি আক্রমণের সম্ভাবনা কম করার জন্য এই বিল পাস করা হয়েছে। এই আইন ধর্মগ্রন্থের বিদ্রুপ, অসম্মান বন্ধ করতে চেয়েছে। বিচারমন্ত্রী পিটার হুমেলগার্ড বলেছেন, ‘আমাদের দেশ ও দেশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।

সেজন্যই আমাদের এই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি ছিল।’

কয়েকমাস আগেই ডেনমার্ক ও সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন দেখা দেয়।

প্রচুর দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। ইরাকে ডেনমার্কর দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

তবে এই বিল পাশ হওয়ায় দক্ষিণপন্থি ও অভিবাসী-বিরোধী ডেনমার্ক ডেমোক্র্যাটস পর্টির নেতা ইনগের স্টর্জবার্গ বেশ ক্ষুদ্ধ। তিনি বলেছেন, ‘ইতিহাস আমাদের কড়া পরীক্ষা নেবে এবং তার কারণও আছে।’ তার প্রশ্ন, ‘আমরা আমাদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করলাম, সেটাও কি বাইরের থেকে চাপের মুখে পড়ে?’ বামপন্থিরাও এই সিদ্ধান্তের বিরোধী।

বামপন্থি সোস্যালিস্ট পিপলস পার্টির নেতা কারিনা লোরেন্টজেন বলেছেন, “ইরানের কোনো নাগরিকের কোনো কাজে ডেনমার্ক যদি মর্মাহত হয়, তাহলে ইরান কি তাদের আইন বদল করবে? পাকিস্তান করবে? সৌদি আরব কি আইন পরিবর্তন করবে? উত্তর হলো, না।”

এই বিলটি প্রথমে অগাস্টে পেশ করা হয়। তারপর একবার তা সংশোধন করা হয়। বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে ডেনমার্কের রানির সই দরকার হয়। সেই সই এই মাসের শেষে হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

ছবি

পাকিস্তানে জঙ্গিদের হামলায় ১২ সেনা নিহত

ছবি

নেপালে নির্বাচন ৫ মার্চ

ছবি

জাতিসংঘে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের ঘোষণায় বিপুল সমর্থন

ছবি

কঙ্গোতে পৃথক দুই নৌকা দুর্ঘটনায় ১৯৩ জনের মৃত্যু

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

বিদেশি সিনেমা দেখায় উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বেড়েছে: জাতিসংঘ

ছবি

চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিলে ১ লাখ ডলার পুরস্কার

ছবি

পশ্চিমবঙ্গের তরুণদের নেপাল থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান বিজেপি নেতার, পাল্টা একাধিক এফআইআর

ছবি

প্যালেস্টাইন বলে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না, এ ভূমি আমাদের: নেতানিয়াহু

ছবি

ব্রাজিলে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের দায়ে বলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণান

ছবি

গাজায় ত্রাণ শিবিরের পাহারায় ঘৃণাবাহী মার্কিন বাইকার গ্যাং

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত আরও ৭২ ফিলিস্তিনি

ছবি

‘ভারত-সমর্থিত’ ১৯ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

ছবি

কাতারের পর এবার ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৫

tab

news » international

পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ, ডেনমার্কে বিল পাস

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানো, ছেঁড়া বা অমর্যাদাকর কোনো কাজ করা যাবে না, করলেই হবে জরিমানা বা জেল। ডেনমার্কের পার্লামেন্টে এ নিয়ে একটি বিল পাস হয়েছে। ফলে এই উত্তর ইউরোপীয় দেশে পবিত্র কোরআন পড়ানো, ছেঁড়া বা অমর্যাদাকর আচরণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য হবে।

বিলের পক্ষে ৯৪ ও বিপক্ষে ৭৭টি ভোট পড়ে। বিলে বলা হয়েছে, “একটি স্বীকৃত ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বই বা লেখার প্রতি অন্যায্য আচরণ করা যাবে না। ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো, ছেঁড়া বা অমর্যাদার জন্য জরিমানা বা দুই বছর পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পড়ানো নিয়ে যদি ভিডিও প্রচার করা হয়, তাহলে অপরাধীর কারাদ- হবে।”

ডেনমার্কের বিচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডেনমার্কের বিরুদ্ধে জঙ্গি আক্রমণের সম্ভাবনা কম করার জন্য এই বিল পাস করা হয়েছে। এই আইন ধর্মগ্রন্থের বিদ্রুপ, অসম্মান বন্ধ করতে চেয়েছে। বিচারমন্ত্রী পিটার হুমেলগার্ড বলেছেন, ‘আমাদের দেশ ও দেশের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।

সেজন্যই আমাদের এই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি ছিল।’

কয়েকমাস আগেই ডেনমার্ক ও সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন দেখা দেয়।

প্রচুর দেশ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। ইরাকে ডেনমার্কর দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

তবে এই বিল পাশ হওয়ায় দক্ষিণপন্থি ও অভিবাসী-বিরোধী ডেনমার্ক ডেমোক্র্যাটস পর্টির নেতা ইনগের স্টর্জবার্গ বেশ ক্ষুদ্ধ। তিনি বলেছেন, ‘ইতিহাস আমাদের কড়া পরীক্ষা নেবে এবং তার কারণও আছে।’ তার প্রশ্ন, ‘আমরা আমাদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করলাম, সেটাও কি বাইরের থেকে চাপের মুখে পড়ে?’ বামপন্থিরাও এই সিদ্ধান্তের বিরোধী।

বামপন্থি সোস্যালিস্ট পিপলস পার্টির নেতা কারিনা লোরেন্টজেন বলেছেন, “ইরানের কোনো নাগরিকের কোনো কাজে ডেনমার্ক যদি মর্মাহত হয়, তাহলে ইরান কি তাদের আইন বদল করবে? পাকিস্তান করবে? সৌদি আরব কি আইন পরিবর্তন করবে? উত্তর হলো, না।”

এই বিলটি প্রথমে অগাস্টে পেশ করা হয়। তারপর একবার তা সংশোধন করা হয়। বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে ডেনমার্কের রানির সই দরকার হয়। সেই সই এই মাসের শেষে হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

back to top