alt

আন্তর্জাতিক

রাফাহতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় ৬০ জনের বেশি নিহত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ‘নিরাপদ স্থান’ রাফাহতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা চালানো হয়। আর এসব হামলায় অঞ্চলটিতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরএস) জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাহতে গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অবস্থান করছে। সেখানে সোমবার রাতে যুদ্ধবিমানের দ্বারা তীব্র বিমান হামলার স্বীকার হয়েছেন তারা। এতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

রাফাহর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা তাদের বর্বর হামলায় অন্তত দুটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়িকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান ব্যবহার করে রাফহার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গুলি ছুড়েছে। অবরুদ্ধ ও ছোট্ট গাজা উপত্যকার রাফাহর সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে।

রাফাহর আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, “দখলদারদের বোমা হামলায় এত মানুষ হতাহত হয়েছেন যে আমরা তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।”

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের চালানো নতুন হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর রাফাহ বাদে গাজার সব অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এসব হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ রাফাহতে চলে যান। এমনকি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীই গাজাবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছিল; তারা যেন রাফাহতে চলে যান। এছাড়া রাফাহকে নিরাপদস্থান হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। তাদের কথা শুনে ও জীবন বাঁচাতে তখন লাখ লাখ মানুষ দলে দলে গাজার অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখানে চলে আসেন। এখন এখানেও হামলার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো নেতানিয়াহুকে হুশিয়ারি দিয়েছে, বেসামরিকরা রাফাহতে থাকা অবস্থায় যেন কোনো ধরনের হামলা না চালানো হয়। তবে তাদের তোয়াক্কা না করে সোমবার রাতে সাধারণ মানুষে গিজগিজ করা অঞ্চলটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

ছবি

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন ৯৬৩ জন

ছবি

প্রেসিডেন্টকে আর চায় না দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীনরা

ছবি

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সবার ওপরে ঢাকা

ছবি

ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা বাতিল

ছবি

গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত আরও ৪৮ ফিলিস্তিনি

ছবি

ম্যানহাটনে ইউনাইটেড হেলথকেয়ারের সিইওকে গুলি করে হত্যা

ছবি

বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রা: সিরিয়ার হামা শহরে তীব্র লড়াই

ছবি

বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভ করায় ভারতের চেন্নাইয়ে আটক ৫০০

ছবি

ভিয়েতনামে বিস্ফোরণে ১২ সেনা নিহত

ছবি

ভারতের পতাকা মাড়ানোর ‘ভাইরাল’ ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি: রিউমার স্ক্যানার

ছবি

বাংলাদেশি রোগী বয়কটের বিরোধিতা করলো ভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন

ছবি

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত আরও ৫০

ট্রাম্পের ইউক্রেইন পরিকল্পনা : ছাড়তে হবে ভূখণ্ড, নেটো সদস্যপদও পাওয়া যাবেনা

ছবি

স্বর্ণমন্দিরে পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলা

ছবি

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

ছবি

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

দ. কোরিয়ায় নাটকীয়তা, সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

ছবি

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি

ছবি

দক্ষিন কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি

ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশি রিক্তা বানু

ছবি

বাংলাদেশি পর্যটকদের থাকতে দেবে না ত্রিপুরার হোটেলগুলো, দেওয়া হবে না কোনো পরিষেবা

ছবি

আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭

ছবি

বাংলাদেশকে ছোট করে বিতর্কিত মন্তব্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর

ছবি

ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের আঘাতে শ্রীলঙ্কা-ভারতে নিহত ২০

ছবি

গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি

ছবি

বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব মমতার

ছবি

বিদায় বেলায় ছেলেকে ক্ষমা করে বিতর্কে জড়ালেন বাইডেন

ছবি

বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আদানির সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ

ছবি

গাজায় নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েল, আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি

তামিলনাড়ুতে রাতভর ঘূর্ণিঝড় ফিনজালের তাণ্ডব, প্রাণহানি-জলাবদ্ধতা

ছবি

এফবিআই প্রধান হিসেবে কাশ প্যাটেলকে বেছে নিলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১০০ ফিলিস্তিনি

ছবি

সংখ্যালঘু সহিংসতার ঘটনাগুলোকে ‘মিডিয়ার অতিরঞ্জন’ বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না : জয়শঙ্কর

ছবি

এই প্রথম যুদ্ধবিরতির পক্ষে বললেন জেলেনস্কি

ছবি

বাংলাদেশিদের চিকিৎসা দেবে না কলকাতার হাসপাতাল

ছবি

হ্যাকারের কবলে ব্যাংক অব উগান্ডা, ১৭ মিলিয়ন ডলার চুরি

tab

আন্তর্জাতিক

রাফাহতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় ৬০ জনের বেশি নিহত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ‘নিরাপদ স্থান’ রাফাহতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতা চালানো হয়। আর এসব হামলায় অঞ্চলটিতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরএস) জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাহতে গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অবস্থান করছে। সেখানে সোমবার রাতে যুদ্ধবিমানের দ্বারা তীব্র বিমান হামলার স্বীকার হয়েছেন তারা। এতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

রাফাহর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা তাদের বর্বর হামলায় অন্তত দুটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়িকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান ব্যবহার করে রাফহার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গুলি ছুড়েছে। অবরুদ্ধ ও ছোট্ট গাজা উপত্যকার রাফাহর সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে।

রাফাহর আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, “দখলদারদের বোমা হামলায় এত মানুষ হতাহত হয়েছেন যে আমরা তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।”

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের চালানো নতুন হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর রাফাহ বাদে গাজার সব অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এসব হামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ রাফাহতে চলে যান। এমনকি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীই গাজাবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছিল; তারা যেন রাফাহতে চলে যান। এছাড়া রাফাহকে নিরাপদস্থান হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। তাদের কথা শুনে ও জীবন বাঁচাতে তখন লাখ লাখ মানুষ দলে দলে গাজার অন্যান্য অঞ্চল থেকে এখানে চলে আসেন। এখন এখানেও হামলার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো নেতানিয়াহুকে হুশিয়ারি দিয়েছে, বেসামরিকরা রাফাহতে থাকা অবস্থায় যেন কোনো ধরনের হামলা না চালানো হয়। তবে তাদের তোয়াক্কা না করে সোমবার রাতে সাধারণ মানুষে গিজগিজ করা অঞ্চলটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

সূত্র: সিএনএন

back to top