alt

‘কর্তৃত্ববাদী’ জোটের মুখে আছে পশ্চিমা দেশগুলো: ন্যাটোপ্রধান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

নেটো প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে ‘কর্তৃত্ববাদী শক্তির দেশগুলোর একটি জোট’।

বিবিসি-কে স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া, ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়া ক্রমেই আরও বেশি করে জোটবদ্ধ হচ্ছে।

স্টলটেনবার্গ পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর প্রধান হয়েছে ১০ বছর আগে। এই জোটের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিবিসি-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। রোববার সেটি প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এই সাক্ষাৎকারেই সাংবাদিক লরা কেসেনবার্গকে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, বিশ্ব এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক। অনেক বেশি অনিশ্চিত এবং অনেক বেশি সহিংস। বিশ্বে এখন একটি কর্তৃত্ববাদী জোট আছে, যারা একে অপরকে বাস্তবিক সমর্থন দিচ্ছে এবং উত্তরোত্তর একাট্টা হচ্ছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে চীন। প্রতিরক্ষাখাতে গুরুত্বপূর্ণ সাজ-সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা। বিনিময়ে রাশিয়াও তাদের ভবিষ্যৎ চীনের কাছে গচ্ছিত রাখছে।”

ওদিকে, ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকে গোলাবারুদ এবং সামরিক যন্ত্রপাতি পাওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া দেশদুটিকে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে।

কর্তৃত্ববাদী শক্তির এই জোটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে নেটো জোটকে এর ভৌগলিক সীমানার বাইরে গিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে হবে (যেমন: জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ) বলে মত দেন স্টলটেনবার্গ।

নেটো প্রধান স্টলটেনবার্গ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেইনকে আরও অর্থসহায়তা দিতে আরও বেশি দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নেটো দেশগুলো আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ইউক্রেইনে অর্থায়নের একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। যদিও এখনও কিছু দেশ এমন সহায়তা করতে এ সপ্তাহেই দ্বিধা প্রকাশ করেছে।

স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেইনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দিয়ে যাওয়া এবং যুদ্ধের পরও পুনর্গঠনে সহায়তা করাটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

“আমরা যদি এটি বিশ্বাস এবং আশাও করি যে, অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধ শেষ হবে,তাহলেও ভবিষ্যতে কোনরকম আগ্রাসন ঠেকাতে আমাদেরকে ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার জন্য বহু বহু বছর ধরে সহায়তা করে যেতে হবে।

ইউক্রেইন থেকে রাশিয়াকে তাড়াতে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার দখলদারিত্বে লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কিইভকে সামরিক সহায়তা দেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন স্টলটেনবার্গ। তবে তিনি এও বলেন যে, ইউক্রেইনকেও শেষ পর্যন্ত কিছু ছাড় দিতে হতে পারে।

ছবি

প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থিরা মামদানিকে আইএসের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন

ছবি

ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মামদানি কি সমানে সমান

ছবি

কেন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন সুদানের নাগরিকরা

ছবি

গাজার নিরাপত্তায় আইএসএফ গঠনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

ছবি

ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা মাস্কের

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

ছবি

নিউইয়র্কে আজ মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি

ছবি

বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনকে আপাতত টমাহক দেওয়া হবে না : ট্রাম্প

ছবি

আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ২০

ছবি

দুই সপ্তাহের মধ্যে তীব্র খাবার পানির সংকটে পড়তে যাচ্ছে তেহরান

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি অবরোধে বিপর্যয়ের মুখে ফিলিস্তিনিরা

ছবি

জেন জি’ ও পরবর্তী সব প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

ছবি

আরএসএফের নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

ছবি

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪

tab

‘কর্তৃত্ববাদী’ জোটের মুখে আছে পশ্চিমা দেশগুলো: ন্যাটোপ্রধান

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

নেটো প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে ‘কর্তৃত্ববাদী শক্তির দেশগুলোর একটি জোট’।

বিবিসি-কে স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া, ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়া ক্রমেই আরও বেশি করে জোটবদ্ধ হচ্ছে।

স্টলটেনবার্গ পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর প্রধান হয়েছে ১০ বছর আগে। এই জোটের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিবিসি-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। রোববার সেটি প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এই সাক্ষাৎকারেই সাংবাদিক লরা কেসেনবার্গকে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, বিশ্ব এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক। অনেক বেশি অনিশ্চিত এবং অনেক বেশি সহিংস। বিশ্বে এখন একটি কর্তৃত্ববাদী জোট আছে, যারা একে অপরকে বাস্তবিক সমর্থন দিচ্ছে এবং উত্তরোত্তর একাট্টা হচ্ছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে চীন। প্রতিরক্ষাখাতে গুরুত্বপূর্ণ সাজ-সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা। বিনিময়ে রাশিয়াও তাদের ভবিষ্যৎ চীনের কাছে গচ্ছিত রাখছে।”

ওদিকে, ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকে গোলাবারুদ এবং সামরিক যন্ত্রপাতি পাওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া দেশদুটিকে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে।

কর্তৃত্ববাদী শক্তির এই জোটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে নেটো জোটকে এর ভৌগলিক সীমানার বাইরে গিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে হবে (যেমন: জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ) বলে মত দেন স্টলটেনবার্গ।

নেটো প্রধান স্টলটেনবার্গ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেইনকে আরও অর্থসহায়তা দিতে আরও বেশি দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নেটো দেশগুলো আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ইউক্রেইনে অর্থায়নের একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। যদিও এখনও কিছু দেশ এমন সহায়তা করতে এ সপ্তাহেই দ্বিধা প্রকাশ করেছে।

স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেইনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দিয়ে যাওয়া এবং যুদ্ধের পরও পুনর্গঠনে সহায়তা করাটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

“আমরা যদি এটি বিশ্বাস এবং আশাও করি যে, অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধ শেষ হবে,তাহলেও ভবিষ্যতে কোনরকম আগ্রাসন ঠেকাতে আমাদেরকে ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার জন্য বহু বহু বছর ধরে সহায়তা করে যেতে হবে।

ইউক্রেইন থেকে রাশিয়াকে তাড়াতে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার দখলদারিত্বে লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কিইভকে সামরিক সহায়তা দেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন স্টলটেনবার্গ। তবে তিনি এও বলেন যে, ইউক্রেইনকেও শেষ পর্যন্ত কিছু ছাড় দিতে হতে পারে।

back to top