পারমাণবিক কণা দিয়ে মহাবিশ্বের ভরের রহস্য উন্মোচনকারী, নোবেলবিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস মারা গেছেন গত সোমবার। তার বয়স হয়েছিল ৯৪। এক বিবৃতিতে এই শোকের খবর জানিয়েছে এডিনবরা ইউনিভার্সিটি।
পিটার হিগস পারমাণবিক কণা হিগস বোসনের অস্তিত্ব আবিস্কার করেছিলেন এবং সেটি কীভাবে মহাবিশ্বকে ধরে রাখে তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। যুগান্তকারী এই আবিস্কারের জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাকে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সত্যিকার অর্থেই একজন প্রতিভাধর বিজ্ঞানী, যার দূরদৃষ্টি ও কল্পনাশক্তি বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে।
আমাদের মহাবিশ্বের গাঠনিক পারমাণবিক কণাগুলোর ভরের কারণ নিয়ে ১৯৬০ এর দশকে গবেষণা শুরু করেন পদার্থবিজ্ঞানীরা, যাদের মধ্যে হিগস ছিলেন অন্যতম।
তারা একটি কণার খোঁজ শুরু করেন, যার মাধ্যমে যিশুর পবিত্র পেয়ালার মতো একটি তত্ত্বে ইলেক্ট্রম্যাগনেজিম বা তড়িৎচুম্বকত্ব এবং দুর্বল ও সবল পারমাণবিক শক্তিকে ব্যাখ্যা করা যায়।
অবশেষে ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করেন - তারা এটির নাম দেন হিগস বোসন।
এক বছর পরে এই কাজের জন্য হিগস নোবেল পান। বেলজিয়ামের ফ্রাঙ্কোইস এঙ্গলার্টের সঙ্গে যৌথভাবে।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণার খবরে চোখের পানি মুছতে মুছতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন: "মাঝে মাঝে কোন বিষয়ে সঠিক ছিলাম জানতে খুব ভালো লাগে।"
তবে পরবর্তীতে নোবেল পুরস্কারের কারণে সৃষ্ট বিপুল মনোযোগ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে থাকতেন লাজুক স্বভাবের হিগস।
সার্নের প্রধান, ফ্যাবিওলা গিয়ানোটি বিবিসিকে বলেছেন যে "পিটার ছিলেন বিশেষ। সারা বিশ্বের পদার্থবিদদের জন্য একজন অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব। একজন বিরল বিনয়ী মানুষ, একজন মহান শিক্ষক এবং এমন একজন ব্যক্তি যিনি পদার্থবিদ্যাকে খুব সহজ কিন্তু অত্যন্ত গভীরভাবে ব্যাখ্যা করতেন। এই মুহূর্তে আমি খুবই শোকগ্রস্ত। আমি তাকে খুব মিস করব।”
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যালান বার মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানুষের যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে, তার পেছনে হিগসের বিশাল প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, "তিনি ভর থেকে কণা, ইলেকট্রন থেকে কোয়ার্ক পর্যন্ত, এমন একটি ক্ষেত্রের অস্তিত্বের সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন যা সমগ্র মহাবিশ্বে ব্যপ্ত।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ওই অধ্যাপক আরো বলেন, তিনি একজন সত্যিকারের ভদ্রলোক, নম্র এবং বিনয়ী ছিলেন। সবসময় অন্যদের যথাযথ কৃতিত্ব দিতেন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের বিজ্ঞানী ও পণ্ডিতদের উত্সাহিত করতেন।
বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০২৪
পারমাণবিক কণা দিয়ে মহাবিশ্বের ভরের রহস্য উন্মোচনকারী, নোবেলবিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস মারা গেছেন গত সোমবার। তার বয়স হয়েছিল ৯৪। এক বিবৃতিতে এই শোকের খবর জানিয়েছে এডিনবরা ইউনিভার্সিটি।
পিটার হিগস পারমাণবিক কণা হিগস বোসনের অস্তিত্ব আবিস্কার করেছিলেন এবং সেটি কীভাবে মহাবিশ্বকে ধরে রাখে তা ব্যাখ্যা করেছিলেন। যুগান্তকারী এই আবিস্কারের জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাকে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সত্যিকার অর্থেই একজন প্রতিভাধর বিজ্ঞানী, যার দূরদৃষ্টি ও কল্পনাশক্তি বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে।
আমাদের মহাবিশ্বের গাঠনিক পারমাণবিক কণাগুলোর ভরের কারণ নিয়ে ১৯৬০ এর দশকে গবেষণা শুরু করেন পদার্থবিজ্ঞানীরা, যাদের মধ্যে হিগস ছিলেন অন্যতম।
তারা একটি কণার খোঁজ শুরু করেন, যার মাধ্যমে যিশুর পবিত্র পেয়ালার মতো একটি তত্ত্বে ইলেক্ট্রম্যাগনেজিম বা তড়িৎচুম্বকত্ব এবং দুর্বল ও সবল পারমাণবিক শক্তিকে ব্যাখ্যা করা যায়।
অবশেষে ২০১২ সালে সুইজারল্যান্ডের ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (সার্ন) এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এটি আবিষ্কার করেন - তারা এটির নাম দেন হিগস বোসন।
এক বছর পরে এই কাজের জন্য হিগস নোবেল পান। বেলজিয়ামের ফ্রাঙ্কোইস এঙ্গলার্টের সঙ্গে যৌথভাবে।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণার খবরে চোখের পানি মুছতে মুছতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন: "মাঝে মাঝে কোন বিষয়ে সঠিক ছিলাম জানতে খুব ভালো লাগে।"
তবে পরবর্তীতে নোবেল পুরস্কারের কারণে সৃষ্ট বিপুল মনোযোগ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে থাকতেন লাজুক স্বভাবের হিগস।
সার্নের প্রধান, ফ্যাবিওলা গিয়ানোটি বিবিসিকে বলেছেন যে "পিটার ছিলেন বিশেষ। সারা বিশ্বের পদার্থবিদদের জন্য একজন অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব। একজন বিরল বিনয়ী মানুষ, একজন মহান শিক্ষক এবং এমন একজন ব্যক্তি যিনি পদার্থবিদ্যাকে খুব সহজ কিন্তু অত্যন্ত গভীরভাবে ব্যাখ্যা করতেন। এই মুহূর্তে আমি খুবই শোকগ্রস্ত। আমি তাকে খুব মিস করব।”
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যালান বার মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানুষের যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে, তার পেছনে হিগসের বিশাল প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, "তিনি ভর থেকে কণা, ইলেকট্রন থেকে কোয়ার্ক পর্যন্ত, এমন একটি ক্ষেত্রের অস্তিত্বের সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন যা সমগ্র মহাবিশ্বে ব্যপ্ত।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ওই অধ্যাপক আরো বলেন, তিনি একজন সত্যিকারের ভদ্রলোক, নম্র এবং বিনয়ী ছিলেন। সবসময় অন্যদের যথাযথ কৃতিত্ব দিতেন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের বিজ্ঞানী ও পণ্ডিতদের উত্সাহিত করতেন।