সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ নিতে কয়েকদিন আগে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে এটিই ছিল ইরানের সরাসরি প্রথম কোনও হামলা।
যদিও কনস্যুলেটে হামলা চালানোর কথা ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে এই হামলার পর এখন ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে। এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে বড়সড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
তবে হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এমনকি আঞ্চলিক সংঘাত সৃষ্টি হলে তা ‘কারো স্বার্থেই ভালো হবে না’ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান মঙ্গলবার ফরাসি দৈনিক লে মন্ডে’কে বলেছেন। সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ইরানের হামলা সম্পর্কে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েক দিন আগে সতর্ক করা হয়েছিল।’
জোসেপ বোরেল আরও বলেছেন, ‘আক্রমণের পর, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন- তারা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, তিনি আমাকে বুঝিয়েছেন- এটি ছিল কেবল নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া। আপনি যখন ক্ষতি করতে চান, তখন আপনি এমন কোনও ড্রোন পাঠাবেন না যেটি আঘাত হানতে ছয় ঘণ্টা সময় নেয়।’
তার ভাষায়, ‘বর্তমানে, হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়।’
ইইউ পররাষ্ট্র নীতির এই প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো উত্তেজনা এড়ানো। তিনি উল্লেখ করেছেন, আঞ্চলিক সংঘাত ‘কারো স্বার্থে, বিশেষ করে গাজার স্বার্থে ভালো কিছু নয়’।
দ্বন্দ্ব-সমাধানে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা
জোসেপ বোরেল জোর দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতি এবং ঐক্য ছাড়া অন্য কোনও ক্ষমতা নেই, যদিও জার্মানিসহ কিছু সদস্য দেশের ইসরায়েলের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘আমেরিকানরা চাইলে অন্য উপায় ব্যবহার করতে পারে, বিশেষ করে ইসরায়েলে তাদের অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে। তারা অতীতে অপরিবর্তনীয় নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আজ, আমি মনে করি, তাদের যে সুবিধা আছে তা তারা ব্যবহার করতে চায় না।’
তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত সম্পর্কে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ‘স্পষ্ট এবং গভীর বিভাজন’ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, তাদের মধ্যে কিছু দেশ - যেমন ফ্রান্স - অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে শুরু করেছে।
বোরেল জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সর্বদা পারস্পরিক সম্মতিসূচক অবস্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করি: যদি ইউক্রেনের অবরুদ্ধ জনসংখ্যার জন্য পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য বন্ধ করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি হয়, তাহলে গাজাতেও তা একই।’
তার ভাষায়, ‘যদি আমরা এই সার্বজনীনতাবাদী অবস্থান গ্রহণ না করি, তাহলে আমাদেরকে দ্বিচারিতা বা ভণ্ডামির জন্য অভিযুক্ত করা হবে।’
এর আগে সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।
মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।
তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী হামলার প্রতিশোধ নিতে কয়েকদিন আগে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলে এটিই ছিল ইরানের সরাসরি প্রথম কোনও হামলা।
যদিও কনস্যুলেটে হামলা চালানোর কথা ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে এই হামলার পর এখন ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে। এমন অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে বড়সড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
তবে হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এমনকি আঞ্চলিক সংঘাত সৃষ্টি হলে তা ‘কারো স্বার্থেই ভালো হবে না’ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান মঙ্গলবার ফরাসি দৈনিক লে মন্ডে’কে বলেছেন। সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ইরানের হামলা সম্পর্কে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েক দিন আগে সতর্ক করা হয়েছিল।’
জোসেপ বোরেল আরও বলেছেন, ‘আক্রমণের পর, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন- তারা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, তিনি আমাকে বুঝিয়েছেন- এটি ছিল কেবল নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া। আপনি যখন ক্ষতি করতে চান, তখন আপনি এমন কোনও ড্রোন পাঠাবেন না যেটি আঘাত হানতে ছয় ঘণ্টা সময় নেয়।’
তার ভাষায়, ‘বর্তমানে, হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়।’
ইইউ পররাষ্ট্র নীতির এই প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো উত্তেজনা এড়ানো। তিনি উল্লেখ করেছেন, আঞ্চলিক সংঘাত ‘কারো স্বার্থে, বিশেষ করে গাজার স্বার্থে ভালো কিছু নয়’।
দ্বন্দ্ব-সমাধানে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা
জোসেপ বোরেল জোর দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতি এবং ঐক্য ছাড়া অন্য কোনও ক্ষমতা নেই, যদিও জার্মানিসহ কিছু সদস্য দেশের ইসরায়েলের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘আমেরিকানরা চাইলে অন্য উপায় ব্যবহার করতে পারে, বিশেষ করে ইসরায়েলে তাদের অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে। তারা অতীতে অপরিবর্তনীয় নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আজ, আমি মনে করি, তাদের যে সুবিধা আছে তা তারা ব্যবহার করতে চায় না।’
তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত সম্পর্কে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ‘স্পষ্ট এবং গভীর বিভাজন’ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, তাদের মধ্যে কিছু দেশ - যেমন ফ্রান্স - অবস্থান পরিবর্তন করেছে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে শুরু করেছে।
বোরেল জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সর্বদা পারস্পরিক সম্মতিসূচক অবস্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করি: যদি ইউক্রেনের অবরুদ্ধ জনসংখ্যার জন্য পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য বন্ধ করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি হয়, তাহলে গাজাতেও তা একই।’
তার ভাষায়, ‘যদি আমরা এই সার্বজনীনতাবাদী অবস্থান গ্রহণ না করি, তাহলে আমাদেরকে দ্বিচারিতা বা ভণ্ডামির জন্য অভিযুক্ত করা হবে।’
এর আগে সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।
মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।
তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।