alt

ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে তিনটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার এই হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা মিত্রদের কাছ থেকে আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে, এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা কিছু ছবিতে দেখা যায়, হামলায় ঘটনাস্থলে রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করছে এবং আহতদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছে।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ হওয়ার পরে সুরক্ষার জন্য তার সন্তানদের সঙ্গে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডরে ঢুকেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা আগে থেকেই সেখানে ছিল।

আমরা সবাই মেঝেতে পড়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে লাগলাম। তখন আরো দুটি বিস্ফোরণ হয়। তারপরে আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।’ দিনের বেলায় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে পৌঁছেছে কিন্তু যখন জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে ৬০ জন।

মেয়র ওলেকজান্ডার লোমাকো বলেছেন, হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেছেন, বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং চিকিৎসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হামলার কারণে একটি আটতলা হোটেল ভবন ধসে পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা একটি ক্রেন ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছিলেন বলে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত এএফপি সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া আশপাশের অ্যাপার্টমেন্ট, একটি বিউটি সেলুন এবং দোকানের জানালা হামলায় উড়ে যায়।

চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেকজান্ডার লোমাকো বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পর শহরের একটি ব্যস্ততম অংশে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলার পর লোকজন বাস থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে যেতে ছুটতে থাকে। আহতদের চিকিৎসায় জরুরি পরিষেবা এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং যদি রাশিয়ার সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো দৃঢ় পদক্ষেপ নিত তাহলে এ হামলার ঘটনা ঘটত না।

ছবি

গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর

ছবি

নেটোর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া, সমন্বয়ের অভাব ইউরোপে

ছবি

ট্রাম্পের আগমন ঘিরে দ. কোরিয়ায় বিক্ষোভ

ছবি

কানাডায় এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে খুন করল বিষ্ণোই গ্যাং

ছবি

ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

ছবি

এক মাসে রেকর্ড ১ কোটি ১৭ লাখ মানুষের ওমরাহ পালন

ছবি

ভারতের অন্ধ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মোনথা’র তাণ্ডব, নিহত ১

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত অন্তত ৩৩, যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা

ছবি

গাজায় সেনা পাঠাচ্ছে পাকিস্তান!

ছবি

অ্যামাজনে চাকরি হারাচ্ছে আরও ৩০ হাজার কর্মী

ছবি

ইউরোপীয় আদালতের জলবায়ু রায়ের মুখোমুখি নরওয়ে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিংয়ের বৈঠকে ঘিরে বাণিজ্যযুদ্ধ বিরতির আশা

ছবি

চ্যালেঞ্জের’ মুখে ভারত, সীমান্তে ৩৬টি যুদ্ধবিমান ‘শেল্টার’ বানিয়েছে চীন

ছবি

হামাস ফেরত দিল আরও এক জিম্মির দেহ, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২ ফিলিস্তিনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত ৫০ ভারতীয় তরুণ: উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

ছবি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ছবি

জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!

ছবি

শীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে গাজার পরিস্থিতি

ছবি

কারা যোগ দিয়েছেন, কী হতে পারে

ছবি

পাকিস্তানে আবার বাড়ছে দারিদ্র্যের হার

ছবি

কানাডার ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

জাতিসংঘ এখন কাজ করছে না, নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর: লুলা

ছবি

জোটের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আনোয়ার ইব্রাহিমের

ছবি

আরেকটি শান্তি চুক্তির সাক্ষী হলেন ট্রাম্প

ছবি

পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজার মানুষ

ছবি

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ: আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ছবি

শুল্কবিরোধী বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, কানাডার পণ্যে বাড়ালেন আরও শুল্ক

ছবি

কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করবেন থাই প্রধানমন্ত্রী

ছবি

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

ছবি

বিরোধীদের ‘মুসলিম’ পরিচয় এনে কটাক্ষের জবাব যেভাবে দিচ্ছেন জোহরান

ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি

ছবি

ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রণতরী, ‘যুদ্ধাবস্থা তৈরির’ অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

tab

ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে তিনটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় বুধবার এই হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা মিত্রদের কাছ থেকে আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে, এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা কিছু ছবিতে দেখা যায়, হামলায় ঘটনাস্থলে রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করছে এবং আহতদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছে।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ হওয়ার পরে সুরক্ষার জন্য তার সন্তানদের সঙ্গে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডরে ঢুকেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা আগে থেকেই সেখানে ছিল।

আমরা সবাই মেঝেতে পড়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে লাগলাম। তখন আরো দুটি বিস্ফোরণ হয়। তারপরে আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।’ দিনের বেলায় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে পৌঁছেছে কিন্তু যখন জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে ৬০ জন।

মেয়র ওলেকজান্ডার লোমাকো বলেছেন, হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেছেন, বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং চিকিৎসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হামলার কারণে একটি আটতলা হোটেল ভবন ধসে পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা একটি ক্রেন ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছিলেন বলে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত এএফপি সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া আশপাশের অ্যাপার্টমেন্ট, একটি বিউটি সেলুন এবং দোকানের জানালা হামলায় উড়ে যায়।

চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেকজান্ডার লোমাকো বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পর শহরের একটি ব্যস্ততম অংশে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলার পর লোকজন বাস থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে যেতে ছুটতে থাকে। আহতদের চিকিৎসায় জরুরি পরিষেবা এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং যদি রাশিয়ার সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো দৃঢ় পদক্ষেপ নিত তাহলে এ হামলার ঘটনা ঘটত না।

back to top