ইসরায়েলের সঙ্গে আট মাসের দীর্ঘ যুদ্ধে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবনা মেনে নিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হামাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি জানিয়েছেন যে, হামাস জাতিসংঘ সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি মেনে নিয়েছে এবং প্রস্তাবনাটি নিয়ে আরও আলোচনা করতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই ঘটনাকে "আশাব্যাঞ্জক লক্ষণ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তেল আবিবে ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, "ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
গাজায় চলমান সংঘাত থামানোর উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ব্লিনকেন। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত হয়।
ব্লিনকেনের ইসরায়েল সফরের আগে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর পরপরই, হামাস তাদের প্রতিনিধি জুহরির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইসরায়েলের এই প্রস্তাব মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেছেন, "হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার বিবৃতি আশাব্যাঞ্জক। তবে গাজা থেকে হামাসের নেতাদের চূড়ান্ত বক্তব্য এখনও আসা বাকি।"
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখা দিয়েছেন, যার মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তীতে স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই পরিকল্পনাটি ধনী দেশগুলোর জোট জি সেভেন এবং সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সমর্থন করেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুমোদনের পর হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, "নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময়, গাজার পুনর্গঠন, বাস্তুচ্যুতদের ফেরত পাঠানো, গাজার ভূখণ্ডের আয়তন হ্রাসের বিরোধিতা এবং আমাদের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হামাস এই প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানায়।"
গাজায় ইসরায়েলের আট মাসের হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
ইসরায়েলের সঙ্গে আট মাসের দীর্ঘ যুদ্ধে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবনা মেনে নিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাস।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হামাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি জানিয়েছেন যে, হামাস জাতিসংঘ সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি মেনে নিয়েছে এবং প্রস্তাবনাটি নিয়ে আরও আলোচনা করতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই ঘটনাকে "আশাব্যাঞ্জক লক্ষণ" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তেল আবিবে ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, "ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
গাজায় চলমান সংঘাত থামানোর উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ব্লিনকেন। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদিত হয়।
ব্লিনকেনের ইসরায়েল সফরের আগে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর পরপরই, হামাস তাদের প্রতিনিধি জুহরির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইসরায়েলের এই প্রস্তাব মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেছেন, "হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার বিবৃতি আশাব্যাঞ্জক। তবে গাজা থেকে হামাসের নেতাদের চূড়ান্ত বক্তব্য এখনও আসা বাকি।"
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখা দিয়েছেন, যার মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তীতে স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই পরিকল্পনাটি ধনী দেশগুলোর জোট জি সেভেন এবং সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সমর্থন করেছে।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুমোদনের পর হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, "নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দি বিনিময়, গাজার পুনর্গঠন, বাস্তুচ্যুতদের ফেরত পাঠানো, গাজার ভূখণ্ডের আয়তন হ্রাসের বিরোধিতা এবং আমাদের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হামাস এই প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানায়।"
গাজায় ইসরায়েলের আট মাসের হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।