ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী শহর কিরিয়াত শমোনার আশপাশের এলাকায় প্রায় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।
টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়েছে যে কিরিয়াত শমোনার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং গাড়ি রয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে সংঘটিত এই হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণ এবং এর ধ্বংসাবশেষের আঘাতে অনেক স্থানে ঝোপঝাড় ও গাছপালায় আগুন ধরে যায়।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই নিয়ে টানা তিন দিন ধরে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে, যা সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা দক্ষিণ লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া পরিচালিত লঞ্চ সাইটগুলোতে গোলন্দাজ হামলা চালিয়েছে এবং ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ওদাইসে ও কেফরকেলা এলাকায় হিজবুল্লাহর অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে।
অক্টোবর মাসে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তে হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত গোলাগুলি বিনিময় করে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
রয়টার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৩ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে, যা ২০০৬ সালের যুদ্ধের চেয়েও বেশি; তখন এ দুই পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ বড় ধরনের যুদ্ধ হয়েছিল। এছাড়া প্রায় ৮০ জন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
লেবাননের হামলায় ইসরায়েলের ১৮ জন সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।
উভয় পক্ষই আরও বিস্তৃত যুদ্ধের সম্ভাবনা এড়াতে চায়, তবে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের তীব্রতা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঠেলে দিতে পারে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ বাহিনীর এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই কমান্ডার নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহ গত বছরের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র হামলা চালিয়েছে।
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়তে থাকায় সীমান্তের উভয়পাশ থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর ছোড়া ১৬টি ড্রোনের মধ্যে ১১টি প্রতিহত করা হয়েছে।
শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী শহর কিরিয়াত শমোনার আশপাশের এলাকায় প্রায় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।
টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়েছে যে কিরিয়াত শমোনার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং গাড়ি রয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে সংঘটিত এই হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণ এবং এর ধ্বংসাবশেষের আঘাতে অনেক স্থানে ঝোপঝাড় ও গাছপালায় আগুন ধরে যায়।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এই নিয়ে টানা তিন দিন ধরে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে, যা সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা দক্ষিণ লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া পরিচালিত লঞ্চ সাইটগুলোতে গোলন্দাজ হামলা চালিয়েছে এবং ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ওদাইসে ও কেফরকেলা এলাকায় হিজবুল্লাহর অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে।
অক্টোবর মাসে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তে হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত গোলাগুলি বিনিময় করে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
রয়টার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৩ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে, যা ২০০৬ সালের যুদ্ধের চেয়েও বেশি; তখন এ দুই পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ বড় ধরনের যুদ্ধ হয়েছিল। এছাড়া প্রায় ৮০ জন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
লেবাননের হামলায় ইসরায়েলের ১৮ জন সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।
উভয় পক্ষই আরও বিস্তৃত যুদ্ধের সম্ভাবনা এড়াতে চায়, তবে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের তীব্রতা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঠেলে দিতে পারে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ বাহিনীর এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই কমান্ডার নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লাহ গত বছরের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে তীব্র হামলা চালিয়েছে।
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়তে থাকায় সীমান্তের উভয়পাশ থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর ছোড়া ১৬টি ড্রোনের মধ্যে ১১টি প্রতিহত করা হয়েছে।