রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি নেটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং মস্কোর দাবি করা চারটি প্রদেশের (দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, এবং জাপোরিজিয়া) সব ভূখণ্ড রাশিয়াকে হস্তান্তর করতে রাজি হয়, তবে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত।
শুক্রবার পুতিনের এই শর্তগুলো দ্রুত প্রত্যাখ্যান করেছে কিইভ। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শর্তগুলো মেনে নেওয়া মানে ইউক্রেনের জন্য আত্মসমর্পণ করা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডে ইউক্রেনের বিষয়ে একটি শান্তি সম্মেলন শুরুর আগে পুতিন এই শর্তগুলো দিয়েছেন। যদিও রাশিয়াকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তবে একে ‘শান্তি সম্মেলন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থায়ী শান্তি তখনই আসবে যখন রাশিয়া ইউক্রেনের সব ভূখণ্ড থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে এবং ১৯৯১ সালের সোভিয়েত পরবর্তী সীমান্ত পুনরুদ্ধার করা হবে।
পুতিনের এসব শর্ত ইউক্রেনের এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে যে শর্ত দিয়েছেন, তা রাশিয়ার বর্তমান কৌশলগত অবস্থান এবং ক্রেমলিনের ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে এবং আক্রমণ শুরু করে। তখন থেকেই পুতিন ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন, যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
পুতিন আরও বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করাও শান্তি চুক্তির অংশ হতে হবে।
পুতিনের দাবিগুলোকে ‘অবাস্তব’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক রয়টার্সকে বলেন, “পুতিন আসলে ইউক্রেনকে পরাজয় স্বীকার করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। তিনি ইউক্রেনের ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করছেন এবং ইউক্রেনের ভূরাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করার প্রস্তাব করছেন।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতালির স্কাইটিজি২৪ নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, “পুতিনের মন্তব্য একটি আল্টিমেটামের মতো। এটা স্পষ্ট যে, তিনি বুঝতে পেরেছেন শান্তি সম্মেলন হতে যাচ্ছে। পুতিন বুঝতে পেরেছেন যে বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইউক্রেনের পক্ষে এবং শান্তির পক্ষে।”
ব্রাসেলসে নেটোর সদর দপ্তরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের বলেন, "শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউক্রেনকে কী করতে হবে, তা নির্দেশ দেওয়ার অবস্থানে নেই পুতিন।”
পুতিন তার ঘোষণায় বলেছেন, "শর্তগুলি খুবই সহজ। ইউক্রেনের সেনাদের পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, এবং জাপোরিজিয়া অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।”
২০২২ সালে রাশিয়া এই চারটি অঞ্চলকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে। যদিও এই অঞ্চলগুলো পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
রাশিয়ার এই দাবি জাতিসংঘের বেশিরভাগ দেশ বেআইনি বলে মনে করে। এর আগে ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করেছিল।
পুতিন বলেছেন, যদি কিইভ ঘোষণা দেয় যে তারা এই শর্ত মানতে প্রস্তুত এবং অঞ্চলগুলো থেকে প্রকৃতপক্ষে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে এবং নেটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, তাহলে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবে এবং আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে দেশটির প্রায় এক পঞ্চমাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি নেটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং মস্কোর দাবি করা চারটি প্রদেশের (দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, এবং জাপোরিজিয়া) সব ভূখণ্ড রাশিয়াকে হস্তান্তর করতে রাজি হয়, তবে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত।
শুক্রবার পুতিনের এই শর্তগুলো দ্রুত প্রত্যাখ্যান করেছে কিইভ। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই শর্তগুলো মেনে নেওয়া মানে ইউক্রেনের জন্য আত্মসমর্পণ করা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডে ইউক্রেনের বিষয়ে একটি শান্তি সম্মেলন শুরুর আগে পুতিন এই শর্তগুলো দিয়েছেন। যদিও রাশিয়াকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তবে একে ‘শান্তি সম্মেলন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্থায়ী শান্তি তখনই আসবে যখন রাশিয়া ইউক্রেনের সব ভূখণ্ড থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে এবং ১৯৯১ সালের সোভিয়েত পরবর্তী সীমান্ত পুনরুদ্ধার করা হবে।
পুতিনের এসব শর্ত ইউক্রেনের এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে যে শর্ত দিয়েছেন, তা রাশিয়ার বর্তমান কৌশলগত অবস্থান এবং ক্রেমলিনের ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে এবং আক্রমণ শুরু করে। তখন থেকেই পুতিন ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন, যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
পুতিন আরও বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্ত’ করাও শান্তি চুক্তির অংশ হতে হবে।
পুতিনের দাবিগুলোকে ‘অবাস্তব’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক রয়টার্সকে বলেন, “পুতিন আসলে ইউক্রেনকে পরাজয় স্বীকার করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। তিনি ইউক্রেনের ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করছেন এবং ইউক্রেনের ভূরাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করার প্রস্তাব করছেন।”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইতালির স্কাইটিজি২৪ নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, “পুতিনের মন্তব্য একটি আল্টিমেটামের মতো। এটা স্পষ্ট যে, তিনি বুঝতে পেরেছেন শান্তি সম্মেলন হতে যাচ্ছে। পুতিন বুঝতে পেরেছেন যে বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইউক্রেনের পক্ষে এবং শান্তির পক্ষে।”
ব্রাসেলসে নেটোর সদর দপ্তরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের বলেন, "শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইউক্রেনকে কী করতে হবে, তা নির্দেশ দেওয়ার অবস্থানে নেই পুতিন।”
পুতিন তার ঘোষণায় বলেছেন, "শর্তগুলি খুবই সহজ। ইউক্রেনের সেনাদের পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, এবং জাপোরিজিয়া অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।”
২০২২ সালে রাশিয়া এই চারটি অঞ্চলকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে। যদিও এই অঞ্চলগুলো পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
রাশিয়ার এই দাবি জাতিসংঘের বেশিরভাগ দেশ বেআইনি বলে মনে করে। এর আগে ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করেছিল।
পুতিন বলেছেন, যদি কিইভ ঘোষণা দেয় যে তারা এই শর্ত মানতে প্রস্তুত এবং অঞ্চলগুলো থেকে প্রকৃতপক্ষে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে এবং নেটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, তাহলে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবে এবং আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করবে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তৃতীয় বছরে প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে দেশটির প্রায় এক পঞ্চমাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।