ছবি : সংগৃহীত
নেপালের নারায়ণগড়-মুগলিং সড়কের সিমলতালে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় যাত্রীবাহী দুটি বাস ছিটকে ত্রিশূলি নদীতে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোরে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে থাকা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শুক্রবার ভোর রাতের এ ঘটনায় বাস দুটি ত্রিশূলি নদীতে ভেসে গেছে। সেই কারণে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
চিতওয়ানের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ইন্দ্রদেব যাদব ফোনে এএনআইকে বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাস দুটিতে চালকসহ মোট ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভূমিধসে বাসগুলো ভেসে যায়। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং তল্লাশি অভিযান চলছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে নিখোঁজ বাসের সন্ধানে আমাদের অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে অন্তত ছয় জন ভারতীয় আছেন। তারা হলেন সন্তোষ ঠাকুর, সুরেন্দ্র সাহ, অদিত মিঞা, সুনীল, শাহনেওয়াজ আলম ও আনসারী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভূমিধসে ছিটকে পড়া বাস দুটির একটি অ্যাঞ্জেল বাস যাচ্ছিল কাঠমান্ডুর দিকে। অপর বাস গণপতি ডিলাক্স যাচ্ছিল কাঠমান্ডু থেকে রাউতাহাটের গৌড়ের দিকে। কর্মকর্তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, কাঠমান্ডুগামী বাসটিতে ২৪ জন এবং অন্য বাসটি ৪১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে গণপতি ডিলাক্সের তিনজন যাত্রী লাফিয়ে বাস থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘নারায়ণগড়-মুগলিন সড়কে ভূমিধসের পর বাস ভেসে গিয়ে পাঁচ ডজন যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। বন্যা ও ভূমিধসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীদের খুঁজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সব সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি : সংগৃহীত
শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
নেপালের নারায়ণগড়-মুগলিং সড়কের সিমলতালে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় যাত্রীবাহী দুটি বাস ছিটকে ত্রিশূলি নদীতে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোরে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে থাকা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, শুক্রবার ভোর রাতের এ ঘটনায় বাস দুটি ত্রিশূলি নদীতে ভেসে গেছে। সেই কারণে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
চিতওয়ানের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ইন্দ্রদেব যাদব ফোনে এএনআইকে বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাস দুটিতে চালকসহ মোট ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভূমিধসে বাসগুলো ভেসে যায়। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং তল্লাশি অভিযান চলছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে নিখোঁজ বাসের সন্ধানে আমাদের অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে অন্তত ছয় জন ভারতীয় আছেন। তারা হলেন সন্তোষ ঠাকুর, সুরেন্দ্র সাহ, অদিত মিঞা, সুনীল, শাহনেওয়াজ আলম ও আনসারী।
কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভূমিধসে ছিটকে পড়া বাস দুটির একটি অ্যাঞ্জেল বাস যাচ্ছিল কাঠমান্ডুর দিকে। অপর বাস গণপতি ডিলাক্স যাচ্ছিল কাঠমান্ডু থেকে রাউতাহাটের গৌড়ের দিকে। কর্মকর্তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, কাঠমান্ডুগামী বাসটিতে ২৪ জন এবং অন্য বাসটি ৪১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে গণপতি ডিলাক্সের তিনজন যাত্রী লাফিয়ে বাস থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘নারায়ণগড়-মুগলিন সড়কে ভূমিধসের পর বাস ভেসে গিয়ে পাঁচ ডজন যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। বন্যা ও ভূমিধসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীদের খুঁজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সব সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি।’