alt

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ওপর হামলা

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : রোববার, ১৪ জুলাই ২০২৪

জনসভা মঞ্চে গুলি লাগার পর সিক্রেট সার্ভিস এর সদস্যরা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় সমর্থকদের উদ্দেশে মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প

খুব অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করা হয়, যার একটি তার কান ছিদ্র করে বেরিয়ে গেছে।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পরে, (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার দিকে) সবে মাত্র পেনসিলিভ্যানিয়ার জনসভাস্থল বাটলার কাউন্টির মঞ্চে বক্তৃতা করতে শুরু করেছিলেন তিনি।

এরপর ‘শো শো শব্দ শোনেন’ ট্রাম্প, বসে পড়েন, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ঘিরে ধরে উদ্ধার করে কাছেই রাখা একটি গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।

মঞ্চ থেকে নামার সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বেষ্টনির মধ্য থেকেই মুষ্টিবদ্ধ হাত উচিয়ে ধরেন ট্রাম্প।

তার কান ও মুখে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায় এ সময়।

ততক্ষণে বিশ্বজুড়ে খবরের শিরোনাম হয়ে গেছে এই ঘটনা।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ঘটনার নিন্দায় শামিল হন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিক, আইনপ্রণেতা, তারকা থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, ডেমোক্র্যাটিক দলের বর্ষীয়ান নেত্রী ন্যান্সি পেলোসিসহ সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতির শীর্ষ ব্যক্তিরা সমস্বরে বলেন, এই আক্রমণের স্থান নেই যুক্তরাষ্ট্রে।

হামলার নিন্দায় শামিল হন যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কের স্টামার। সব ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ট্রাম্প ও তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করেন তিনি।

চিকিৎসা দেয়ার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ট্রাম্প আশঙ্কামুক্ত।

ট্রাম্প জানান, তার মনে হয়েছিল, গুলি তার শরীর চিড়ে বেরিয়ে গেছে।

প্রাথমিকভাবে নাম না জানা গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অনুষ্ঠানে আগতদের কয়েকজন একজনকে পাশের একটি দালানের ছাদে অস্ত্র হাতে নিয়ে হামাগুড়ি দিতে দেখেন।

তার ছোড়া গুলিতে ট্রাম্পের সঙ্গে আহত হয় আরও দুই জন। একজনের ঘাড়ে গুলি আচড় কেটে যায়। তিনি রিপাবলিকান নেতা রনি জ্যাকসনের আত্মীয়। বন্ধুবান্ধব পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্পের সভায়। বসেছিলেন মঞ্চের কাছেই।

আরেকজনের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।

এই দুজনকেও হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে দ্বিতীয়জন মারা যায়।

আর হামলাকারীকে তাৎক্ষণিকভাবেই হত্যা করে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা।

তখনও পরিচয় জানা যায় বা প্রকাশ করা হয়নি হত্যাকারীর।

ট্রাম্প বেঁচে যাওয়ায় সিক্রেট সার্ভিসের সদ্যসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাইডেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব সূচি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা।

হামলার সময় জনসভায় যোগদানকারীরাও মাথা নুইয়ে ফেলে।

সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক বিবিসিকে জানান, এক বৃদ্ধাকে এই সময় আতঙ্কে হাঁপাতে হাঁপাতে বারবার যীশুর নাম নিতে দেখেন তিনি। ‘ট্রাম্পকে শেষ করতে চাইছে ওরা,’ বলছিলেন তিনি।

ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ট্রাম্প বক্তৃতা করবেন তাই সেখানে উৎসবের আবহ বিরাজ করছিল।

ট্রাম্প এক ঘণ্টা দেরি করে আসেন সভাস্থলে। তা নিয়ে কারো কোনো অনুযোগ ছিল না।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সবে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন ট্রাম্প, তখনই ওই গুলির ঘটনায় পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে যায়।

হামলার পর থেকেই ট্রাম্পের প্রতি সংহতি বাড়তে থাকে।

হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

তিনি প্রশংসা করেন ট্রাম্পের দৃঢ়তারও। নিজের মালিকানাধীন এক্স (পূর্বতন টুইটারে) তিনি লেখেন, রুজভেল্টের পরে এমন শক্ত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আর দেখেনি পৃথিবী।

একই সঙ্গে ট্রাম্পের ওপর সশস্ত্র আক্রমণের ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার প্রসঙ্গ সামনে আসতে থাকে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় ওভারসাইট কমিটি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা দপ্তরের পরিচালককে ডেকেছে।

অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।

তবে এই ঘটনা ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ কিনা তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তাদের মুখপাত্র।

এক সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বাইডেন বলেন, সব খুঁটিনাটি সব তথ্যই আমাদের হাতে আছে।

এখন এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে দোষারোপও বাড়তে থাকে রিপাবলিকান সমর্থক ও ট্রাম্পভক্তদের মধ্যে। এমনকি এই ঘটনার জন্য সরাসরি ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করতে শুরু করেছে কেউ কেউ।

পরিচয় প্রকাশের পর জানা যায়, হামলাকারী ২০ বছর বয়সী থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ওই রাজ্যেরই বাসিন্দা।

অনুসন্ধানে বেরিয়েছে, রিপাবলিকান দলের নিবন্ধিত সদস্য সে। আবার ডেমোক্র্যাট সমর্থিত একটি দাতব্য সংস্থায় আবার চাঁদাও দিয়েছে সে।

কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল তা এখনও নিশ্চিত বা প্রকাশ করা হয়নি আইনশৃঙ্খলা বা সরকারের তরফে।

আর থমাসের বাবাও কিছু বুঝতে পারছেন না। তাকে ডেকেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তদন্তের জন্য। কী থেকে কী হয়েছে, তা শুধু তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই বুঝতে পারবেন বলে সাংবাদিকদের বলেন থমাসের বাবা।

পরে আরও বিস্তৃত বিবৃতিতে ট্রাম্প ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ছবি

বিশ্বব্যবস্থা স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে: সিআইএ ও এমআই৬ প্রধান

ছবি

উত্তপ্ত মণিপুরে এবার রকেট হামলার পর সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা

ছবি

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামরিক প্রস্তুতির নির্দেশনা

ছবি

কেনিয়ায় বোর্ডিং স্কুলে আগুনে প্রাণ হারাল ১৭ জন

ছবি

বাংলাদেশ পরিস্থিতি’ বিশ্লেষণ করতে বললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুকহামলায় নিহত ৪, কিশোর গ্রেফতার

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত, ঘরছাড়া ৪০০০

ছবি

ইউক্রেন সরকারের রদবদল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা পদত্যাগ, আরও পরিবর্তনের সম্ভাবনা

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ধৈর্য্য ফুরিয়ে যাচ্ছে : বলছে স্লোভেনিয়া

ছবি

২৯ তম মৌসুমী জন্য দুবাই গ্লোবাল ভিলেজ খোলার তারিখ ঘোষণা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেনের ভেতরে ঘুমন্ত অবস্থায় ৪ জনকে গুলি করে হত্যা

ছবি

গত ৮ মাসে ৪ শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান

ছবি

স্কুলে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা, ১১ ফিলিস্তিনী নিহত

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই, নিহত আরও প্রায় অর্ধশত

ছবি

গাজা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার: ইসরায়েলে বিক্ষোভ, শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক

ছবি

এমপক্স টিকা নিশ্চিত করতে ইউনিসেফের জরুরি পদক্ষেপ

ছবি

রাশিয়ায় আগ্নেয়গিরি দেখতে গিয়ে পর্যটকবাহী হেলিকপ্টার নিখোঁজ

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত আরও ৮৯

ছবি

কামচাটকায় হেলিকপ্টার নিখোঁজ: ২২ জনের সন্ধান চলছে

ছবি

ব্রাজিলে বন্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স

ছবি

বাংলাদেশে তেল সরবরাহ বন্ধ হবে না: ভারত

ছবি

সেনা অভিযান : পাকিস্তানের ২ প্রদেশে এক দিনে ১৭ সন্ত্রাসী নিহত

ছবি

পর্তুগালে দমকল বাহিনীর হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৪

ছবি

পুতিনকে গ্রেফতার করতে মঙ্গোলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন

ছবি

গাজায় ৪০৬০২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

ইয়েমেনে প্রবল বর্ষণ-বন্যায় নিহত ৮৪

ছবি

আওয়ামী লীগ নেতা পান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়: এনডিটিভি

ছবি

সিএনএনকে সাক্ষাৎকার: গাজায় যুদ্ধ নিয়ে অবস্থান জানালেন কমলা

ছবি

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন, অপতথ্যের অভিযোগ

ছবি

জাপানে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় শানশান, নিহত ৩

ছবি

পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে বিজেপির ধর্মঘট কর্মসূচি

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ৪১

ছবি

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলেন

ছবি

কার্বন নিঃসরণ কমাতে বড় দূষণকারীদের দায়িত্ব রয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

আল–আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদি উপাসনালয় করতে চান ইসরায়েলি মন্ত্রী, তীব্র সমালোচনা

ছবি

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে বাঁধ ভেঙে ব্যাপক বিপর্যয়, নিহত অন্তত ৬০

tab

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ওপর হামলা

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

জনসভা মঞ্চে গুলি লাগার পর সিক্রেট সার্ভিস এর সদস্যরা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় সমর্থকদের উদ্দেশে মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প

রোববার, ১৪ জুলাই ২০২৪

খুব অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করা হয়, যার একটি তার কান ছিদ্র করে বেরিয়ে গেছে।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পরে, (বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার দিকে) সবে মাত্র পেনসিলিভ্যানিয়ার জনসভাস্থল বাটলার কাউন্টির মঞ্চে বক্তৃতা করতে শুরু করেছিলেন তিনি।

এরপর ‘শো শো শব্দ শোনেন’ ট্রাম্প, বসে পড়েন, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ঘিরে ধরে উদ্ধার করে কাছেই রাখা একটি গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।

মঞ্চ থেকে নামার সময় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বেষ্টনির মধ্য থেকেই মুষ্টিবদ্ধ হাত উচিয়ে ধরেন ট্রাম্প।

তার কান ও মুখে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায় এ সময়।

ততক্ষণে বিশ্বজুড়ে খবরের শিরোনাম হয়ে গেছে এই ঘটনা।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ঘটনার নিন্দায় শামিল হন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিক, আইনপ্রণেতা, তারকা থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, ডেমোক্র্যাটিক দলের বর্ষীয়ান নেত্রী ন্যান্সি পেলোসিসহ সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতির শীর্ষ ব্যক্তিরা সমস্বরে বলেন, এই আক্রমণের স্থান নেই যুক্তরাষ্ট্রে।

হামলার নিন্দায় শামিল হন যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কের স্টামার। সব ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ট্রাম্প ও তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করেন তিনি।

চিকিৎসা দেয়ার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ট্রাম্প আশঙ্কামুক্ত।

ট্রাম্প জানান, তার মনে হয়েছিল, গুলি তার শরীর চিড়ে বেরিয়ে গেছে।

প্রাথমিকভাবে নাম না জানা গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অনুষ্ঠানে আগতদের কয়েকজন একজনকে পাশের একটি দালানের ছাদে অস্ত্র হাতে নিয়ে হামাগুড়ি দিতে দেখেন।

তার ছোড়া গুলিতে ট্রাম্পের সঙ্গে আহত হয় আরও দুই জন। একজনের ঘাড়ে গুলি আচড় কেটে যায়। তিনি রিপাবলিকান নেতা রনি জ্যাকসনের আত্মীয়। বন্ধুবান্ধব পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্পের সভায়। বসেছিলেন মঞ্চের কাছেই।

আরেকজনের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়।

এই দুজনকেও হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে দ্বিতীয়জন মারা যায়।

আর হামলাকারীকে তাৎক্ষণিকভাবেই হত্যা করে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা।

তখনও পরিচয় জানা যায় বা প্রকাশ করা হয়নি হত্যাকারীর।

ট্রাম্প বেঁচে যাওয়ায় সিক্রেট সার্ভিসের সদ্যসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাইডেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব সূচি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা।

হামলার সময় জনসভায় যোগদানকারীরাও মাথা নুইয়ে ফেলে।

সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক বিবিসিকে জানান, এক বৃদ্ধাকে এই সময় আতঙ্কে হাঁপাতে হাঁপাতে বারবার যীশুর নাম নিতে দেখেন তিনি। ‘ট্রাম্পকে শেষ করতে চাইছে ওরা,’ বলছিলেন তিনি।

ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ট্রাম্প বক্তৃতা করবেন তাই সেখানে উৎসবের আবহ বিরাজ করছিল।

ট্রাম্প এক ঘণ্টা দেরি করে আসেন সভাস্থলে। তা নিয়ে কারো কোনো অনুযোগ ছিল না।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সবে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন ট্রাম্প, তখনই ওই গুলির ঘটনায় পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে যায়।

হামলার পর থেকেই ট্রাম্পের প্রতি সংহতি বাড়তে থাকে।

হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

তিনি প্রশংসা করেন ট্রাম্পের দৃঢ়তারও। নিজের মালিকানাধীন এক্স (পূর্বতন টুইটারে) তিনি লেখেন, রুজভেল্টের পরে এমন শক্ত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আর দেখেনি পৃথিবী।

একই সঙ্গে ট্রাম্পের ওপর সশস্ত্র আক্রমণের ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার প্রসঙ্গ সামনে আসতে থাকে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় ওভারসাইট কমিটি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা দপ্তরের পরিচালককে ডেকেছে।

অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।

তবে এই ঘটনা ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ কিনা তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তাদের মুখপাত্র।

এক সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বাইডেন বলেন, সব খুঁটিনাটি সব তথ্যই আমাদের হাতে আছে।

এখন এই ঘটনায় ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে দোষারোপও বাড়তে থাকে রিপাবলিকান সমর্থক ও ট্রাম্পভক্তদের মধ্যে। এমনকি এই ঘটনার জন্য সরাসরি ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করতে শুরু করেছে কেউ কেউ।

পরিচয় প্রকাশের পর জানা যায়, হামলাকারী ২০ বছর বয়সী থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ওই রাজ্যেরই বাসিন্দা।

অনুসন্ধানে বেরিয়েছে, রিপাবলিকান দলের নিবন্ধিত সদস্য সে। আবার ডেমোক্র্যাট সমর্থিত একটি দাতব্য সংস্থায় আবার চাঁদাও দিয়েছে সে।

কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল তা এখনও নিশ্চিত বা প্রকাশ করা হয়নি আইনশৃঙ্খলা বা সরকারের তরফে।

আর থমাসের বাবাও কিছু বুঝতে পারছেন না। তাকে ডেকেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, তদন্তের জন্য। কী থেকে কী হয়েছে, তা শুধু তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই বুঝতে পারবেন বলে সাংবাদিকদের বলেন থমাসের বাবা।

পরে আরও বিস্তৃত বিবৃতিতে ট্রাম্প ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

back to top