alt

গাজায় স্কুলে ইসরায়েলের বর্বর হামলা, নিহত অন্তত ১৭

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ইসরায়েল মধ্য গাজার একটি স্কুলে বিমান হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। রোববার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে। শনিবার ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় অবস্থিত হামামা স্কুলে হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

শনিবার মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন, স্কুলে কমপক্ষে তিনটি বোমা ফেলা হয়েছিল। প্রথমবার হামলার পর উদ্ধারকারী এবং স্কুলের ভেতরে স্বেচ্ছাসেবকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে লোকদের পালাতে সাহায্য করার চেষ্টার সময় ফের হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ‘ওই তিনটি বোমা স্থাপনাটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। অতীতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে এই কৌশল। প্রথমে সামরিক বাহিনী একটি বোমা ফেলে যা আংশিকভাবে স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করে দেয়, এভাবে অনেক লোককে হত্যা করে তারা এবং তারপর কয়েক মিনিটের মধ্যে ইসরায়েল একইস্থানে অন্যান্য আরও বোমা ফেলে।’

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, স্কুলটি গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং এখানে যোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখার পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির কাজও করা হতো।

হামাস অবশ্য ইসরায়েলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্কুল এবং হাসপাতালের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে সামরিকভাবে ব্যবহার না করার কথাও জানিয়েছে তারা।

গোষ্ঠীটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে এবং এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দখলদার সেনাবাহিনী গাজায় অরক্ষিত বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অজুহাত হিসাবে মিথ্যাকে ব্যবহার করে থাকে।’

আল জাজিরার যাচাইকৃত ফুটেজে ইসরায়েলি হামলার শিকার ব্যক্তিদের আল-আহলি হাসপাতালে আসতে দেখা গেছে।

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির নির্দেশ পুতিনের

ছবি

মামদানির জয়, নিউইয়র্কের ইহুদিদের দেশে চলে আসতে বললেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

ছবি

মামদানি সম্মানজনক আচরণ করলে তাঁকে সহায়তা করব: ট্রাম্প

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ প্রায় শেষ

ছবি

১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবে সৌদি আরব

ছবি

নিউইয়র্কে ইতিহাস: পাঁচ নারী নিয়ে মেয়র মামদানির প্রশাসনের সূচনা

ছবি

নিউইয়র্কের মেয়র মামদানি: নতুন ইতিহাস, ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা

ছবি

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রথম দিনই দিয়েছিলাম: ভারত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৩

ছবি

মামদানিকে সমর্থন দেয়া ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ বললেন ট্রাম্প

ছবি

যুদ্ধবিরতি চললেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা, ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী

ছবি

সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লোপাটে ‘গণকবর’ দিচ্ছে আরএসএফ

ছবি

মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের রহস্য কী

ছবি

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হচ্ছে কানাডার দরজা

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুদণ্ড’ বিল পাসের পথে ইসরায়েলি সংসদ

ছবি

নিউইয়র্কে মামদানি জিতলে ফেডারেল তহবিল কমানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ দিন ধরে অচল সরকার, বিমানবন্দরে তীব্র বিশৃঙ্খলা

ছবি

সুদানে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘাত, পালাচ্ছে মানুষ

ছবি

গাজায় হাসপাতালে ধুঁকছে রোগী

ছবি

নিউইয়র্কে আজ মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি

ছবি

বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের আছে: ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনকে আপাতত টমাহক দেওয়া হবে না : ট্রাম্প

ছবি

আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ২০

ছবি

দুই সপ্তাহের মধ্যে তীব্র খাবার পানির সংকটে পড়তে যাচ্ছে তেহরান

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি অবরোধে বিপর্যয়ের মুখে ফিলিস্তিনিরা

ছবি

জেন জি’ ও পরবর্তী সব প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

ছবি

আরএসএফের নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

ছবি

ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪

ছবি

চীনের সর্বকনিষ্ঠ নভোচারীর সঙ্গে মহাকাশে পাঠানো হলো ৪টি কালো ইঁদুর

ছবি

‘সুদানে বিদ্রোহীদের চীনা ড্রোন-কামান দিচ্ছে আরব আমিরাত’

ছবি

‘গ্রে জোনে’ হাজার হাজার রুশ সেনা, কোণঠাসা ইউক্রেনের বাহিনী

ছবি

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করবে না ইরান : আরাগচি

ছবি

ওনেই পানি-খাবার, বাঁচার আশায় মাইলের পর মাইল হাঁটছে মানুষ

ছবি

চুক্তি ভেঙে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল, চালাচ্ছে হামলা

ছবি

৩০ প্যালেস্টাইনির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল, গাজায় ফের হামলা

ছবি

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি

tab

গাজায় স্কুলে ইসরায়েলের বর্বর হামলা, নিহত অন্তত ১৭

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ইসরায়েল মধ্য গাজার একটি স্কুলে বিমান হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। রোববার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে। শনিবার ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় অবস্থিত হামামা স্কুলে হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

শনিবার মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন, স্কুলে কমপক্ষে তিনটি বোমা ফেলা হয়েছিল। প্রথমবার হামলার পর উদ্ধারকারী এবং স্কুলের ভেতরে স্বেচ্ছাসেবকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে লোকদের পালাতে সাহায্য করার চেষ্টার সময় ফের হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ‘ওই তিনটি বোমা স্থাপনাটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। অতীতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে এই কৌশল। প্রথমে সামরিক বাহিনী একটি বোমা ফেলে যা আংশিকভাবে স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করে দেয়, এভাবে অনেক লোককে হত্যা করে তারা এবং তারপর কয়েক মিনিটের মধ্যে ইসরায়েল একইস্থানে অন্যান্য আরও বোমা ফেলে।’

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, স্কুলটি গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং এখানে যোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখার পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির কাজও করা হতো।

হামাস অবশ্য ইসরায়েলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্কুল এবং হাসপাতালের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে সামরিকভাবে ব্যবহার না করার কথাও জানিয়েছে তারা।

গোষ্ঠীটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে এবং এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দখলদার সেনাবাহিনী গাজায় অরক্ষিত বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অজুহাত হিসাবে মিথ্যাকে ব্যবহার করে থাকে।’

আল জাজিরার যাচাইকৃত ফুটেজে ইসরায়েলি হামলার শিকার ব্যক্তিদের আল-আহলি হাসপাতালে আসতে দেখা গেছে।

back to top