লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে এবার নিহত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সশস্ত্র মুসলিম রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার এবং গোষ্ঠীটির ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম কুবাইসি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং হিজবুল্লাহ পৃথক বিবৃতিতে বুধবার নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহরতলী এলাকা দাহিয়েতে হামলায় কুবাইসিসহ হিজবুল্লার অপর দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। এ দু’জনের নাম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে— নিহত দুই কমান্ডার কুবাইসির সহচর ছিলেন।
হিজবুল্লাকে দমন করতে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় সকালে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কিছু শহর ও গ্রামে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে নিহত হন মোট ৫৫৮ জন। অতর্কিত এ হামলার জবাব দিতে মঙ্গলবার উত্তর ইসরায়েলের গ্যালিলি অঞ্চলের হাইফা, সাফেদ এবং নাজারেথ অঞ্চলে প্রায় ৩০০ রকেট ছোড়ে হিজবুল্লা।
হিজবুল্লার রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতের এই হামলা পরিচালিত হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শুরুর দিকে চুপ থাকলেও পরে কুবাইসির মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছে হিজবুল্লাও। গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইব্রাহিক কুবাইসি এবং তার সহযোগী দুই কমান্ডার ‘জেরুজালেমের পথে শহীদ হয়েছেন।’
গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময় হিজবুল্লা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অল্প সময় পরেই গোষ্ঠীটিতে যোগ দেন কুবাইসি। তারপর গত প্রায় ৪০ বছর হিজবুল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক শাখার নেতৃত্ব দেওয়া এই কমান্ডার সংশ্লিষ্ট ছিলেন গোষ্ঠীটির প্রিসিশন-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের সঙ্গেও। হিজবুল্লার অনেক জেষ্ঠ কমান্ডারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
২০০০ সালে ইসরায়েলে মাউন্ট ডোভ অভিযান চালিয়েছিল হিজবুল্লা। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ইব্রাহিম কুবাইসি। মাউন্ড ডোভ অভিযানে তিন জন ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ করেছিল হিজবুল্লা। পরে তাদের হত্যা করা হয়। হিজবুল্লার হাই-প্রোফাইল যত হামলা রয়েছে, তার প্রত্যেকটির সঙ্গেই সংশ্লিষ্টতা ছিল কুবাইসির।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিজবুল্লাহ। প্রতিষ্ঠান পর থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে আছে গোষ্ঠীটির। তবে এর উল্লম্ফণ ঘটেছে গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে। ওই হামলার পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েরের উত্তরাঞ্চলে রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও সমান তালে হামলা অব্যাহত রাখে।
গত সপ্তাহে লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৬ সদস্য রয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি, আবার হিজবুল্লার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেনি।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল। নিহত আকিল গোষ্ঠীটির এলিট শাখা রাদওয়ান ইউনিটের প্রধান ছিলেন।
সূত্র : এএফপি
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে এবার নিহত হয়েছেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সশস্ত্র মুসলিম রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার এবং গোষ্ঠীটির ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম কুবাইসি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং হিজবুল্লাহ পৃথক বিবৃতিতে বুধবার নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শহরতলী এলাকা দাহিয়েতে হামলায় কুবাইসিসহ হিজবুল্লার অপর দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডারও নিহত হয়েছেন। এ দু’জনের নাম বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে— নিহত দুই কমান্ডার কুবাইসির সহচর ছিলেন।
হিজবুল্লাকে দমন করতে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় সকালে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কিছু শহর ও গ্রামে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে নিহত হন মোট ৫৫৮ জন। অতর্কিত এ হামলার জবাব দিতে মঙ্গলবার উত্তর ইসরায়েলের গ্যালিলি অঞ্চলের হাইফা, সাফেদ এবং নাজারেথ অঞ্চলে প্রায় ৩০০ রকেট ছোড়ে হিজবুল্লা।
হিজবুল্লার রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতের এই হামলা পরিচালিত হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শুরুর দিকে চুপ থাকলেও পরে কুবাইসির মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছে হিজবুল্লাও। গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইব্রাহিক কুবাইসি এবং তার সহযোগী দুই কমান্ডার ‘জেরুজালেমের পথে শহীদ হয়েছেন।’
গত শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময় হিজবুল্লা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অল্প সময় পরেই গোষ্ঠীটিতে যোগ দেন কুবাইসি। তারপর গত প্রায় ৪০ বছর হিজবুল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও বিস্ফোরক শাখার নেতৃত্ব দেওয়া এই কমান্ডার সংশ্লিষ্ট ছিলেন গোষ্ঠীটির প্রিসিশন-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের সঙ্গেও। হিজবুল্লার অনেক জেষ্ঠ কমান্ডারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
২০০০ সালে ইসরায়েলে মাউন্ট ডোভ অভিযান চালিয়েছিল হিজবুল্লা। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন ইব্রাহিম কুবাইসি। মাউন্ড ডোভ অভিযানে তিন জন ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ করেছিল হিজবুল্লা। পরে তাদের হত্যা করা হয়। হিজবুল্লার হাই-প্রোফাইল যত হামলা রয়েছে, তার প্রত্যেকটির সঙ্গেই সংশ্লিষ্টতা ছিল কুবাইসির।
১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হিজবুল্লাহ। প্রতিষ্ঠান পর থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগে আছে গোষ্ঠীটির। তবে এর উল্লম্ফণ ঘটেছে গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে। ওই হামলার পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েরের উত্তরাঞ্চলে রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। জবাবে ইসরায়েলও সমান তালে হামলা অব্যাহত রাখে।
গত সপ্তাহে লেবাননের সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় লেবাননে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর অন্তত ১৬ সদস্য রয়েছেন। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি, আবার হিজবুল্লার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেনি।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছিলেন হিজবুল্লার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল। নিহত আকিল গোষ্ঠীটির এলিট শাখা রাদওয়ান ইউনিটের প্রধান ছিলেন।
সূত্র : এএফপি