বললেন গাজার নারী
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর… ওইদিন দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর সেদিনই গাজায় পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা।
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত বছরের ৭ অক্টোবর আল-জাহরায় অবস্থিত নিজের বাড়ি ছেড়ে গাজার দক্ষিণ দিকে চলে যান নাসা রাজিক নামের এক নারী। ওই সময় ভেবেছিলেন কয়েকদিন পরেই ফিরে আসবেন। এই চিন্তা থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারগুলো সঙ্গে নিয়ে এক প্রতিবেশীকে চাবি দিয়ে এসেছিলেন তিনি।
তবে সেই বাড়িতে আর ফেরা হয়নি তার। কারণ দখলদার ইসরায়েলি সেনারা নির্বিচার হামলা চালিয়ে তার বাড়িটি ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন খান ইউনিসের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে থাকছেন তিনি।
নাসা রাজিক নামের এই নারী বিবিসিকে বলেছেন, “আমি আমার সন্তানদের তাদের সব কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিতে দেইনি। আমরা সাথে নিয়েছিলাম শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, অর্থ আর অলঙ্কার। এছাড়া আমাদের বিড়াল এবং ওর ছানাদেরও সঙ্গে নিই। আর চাবিটা দিয়ে এসেছিলাম আমাদের প্রতিবেশীর কাছে।”
এই নারী জানিয়েছেন, দুই মাস আগে প্রতিবেশী তাকে বাড়ির চাবি বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে চাবি দিয়ে কী হবে? তার বাড়িটিই যে এখন আর নেই।
বাড়ি ছাড়ার এক বছর হওয়ার দিনে এই নারী বিবিসিকে বলেছেন, “আজ ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর আমার স্বামী ও সন্তানরা বলছিল ‘বাহ’ আমরা এক বছর ধরে এভাবে থাকছি।”
সূত্র: বিবিসি
বললেন গাজার নারী
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর… ওইদিন দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর সেদিনই গাজায় পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা।
নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত বছরের ৭ অক্টোবর আল-জাহরায় অবস্থিত নিজের বাড়ি ছেড়ে গাজার দক্ষিণ দিকে চলে যান নাসা রাজিক নামের এক নারী। ওই সময় ভেবেছিলেন কয়েকদিন পরেই ফিরে আসবেন। এই চিন্তা থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারগুলো সঙ্গে নিয়ে এক প্রতিবেশীকে চাবি দিয়ে এসেছিলেন তিনি।
তবে সেই বাড়িতে আর ফেরা হয়নি তার। কারণ দখলদার ইসরায়েলি সেনারা নির্বিচার হামলা চালিয়ে তার বাড়িটি ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন খান ইউনিসের একটি শরণার্থী ক্যাম্পে থাকছেন তিনি।
নাসা রাজিক নামের এই নারী বিবিসিকে বলেছেন, “আমি আমার সন্তানদের তাদের সব কাপড় ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিতে দেইনি। আমরা সাথে নিয়েছিলাম শুধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, অর্থ আর অলঙ্কার। এছাড়া আমাদের বিড়াল এবং ওর ছানাদেরও সঙ্গে নিই। আর চাবিটা দিয়ে এসেছিলাম আমাদের প্রতিবেশীর কাছে।”
এই নারী জানিয়েছেন, দুই মাস আগে প্রতিবেশী তাকে বাড়ির চাবি বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে চাবি দিয়ে কী হবে? তার বাড়িটিই যে এখন আর নেই।
বাড়ি ছাড়ার এক বছর হওয়ার দিনে এই নারী বিবিসিকে বলেছেন, “আজ ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর আমার স্বামী ও সন্তানরা বলছিল ‘বাহ’ আমরা এক বছর ধরে এভাবে থাকছি।”
সূত্র: বিবিসি