মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে প্রায় ৩০ মিনিট ফোনে কথা হয়েছে। এসময় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘লৌহবর্মের’ মতো সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবারের (৯ অক্টোবর) এই ফোনালাপটি ছিল গত আগস্টের পর তাদের মধ্যকার প্রথম প্রকাশ্য আলোচনা।
ফোনালাপের সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও উপস্থিত ছিলেন, যিনি আগামী মাসের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোনালাপে বাইডেন ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানান। গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে ইরান এই হামলা চালায়।
এসময় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে বাইডেনের প্রশাসন এখনো ইরানের তেল বা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার অনুমোদন দেয়নি। বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানের তেলের স্থাপনায় আঘাত হানলে তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং তা মার্কিন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
লেবাননে চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলের দক্ষিণ লেবাননে অভিযান এবং সেখানে প্রাণহানির ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, বাইডেন লেবাননের বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, হিজবুল্লাহর ওপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কোনো যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করা হচ্ছে না।
এদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও মানবিক সংকট নিয়ে বাইডেন উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে আহ্বান জানান। গত এক বছরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৪২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলি অবরোধে অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। বর্তমান যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইসরায়েলকে অতিরিক্ত ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে প্রায় ৩০ মিনিট ফোনে কথা হয়েছে। এসময় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘লৌহবর্মের’ মতো সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবারের (৯ অক্টোবর) এই ফোনালাপটি ছিল গত আগস্টের পর তাদের মধ্যকার প্রথম প্রকাশ্য আলোচনা।
ফোনালাপের সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও উপস্থিত ছিলেন, যিনি আগামী মাসের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোনালাপে বাইডেন ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি তার অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানান। গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে ইরান এই হামলা চালায়।
এসময় ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। তবে বাইডেনের প্রশাসন এখনো ইরানের তেল বা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার অনুমোদন দেয়নি। বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানের তেলের স্থাপনায় আঘাত হানলে তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং তা মার্কিন অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
লেবাননে চলমান সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েলের দক্ষিণ লেবাননে অভিযান এবং সেখানে প্রাণহানির ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, বাইডেন লেবাননের বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, হিজবুল্লাহর ওপর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কোনো যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করা হচ্ছে না।
এদিন গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও মানবিক সংকট নিয়ে বাইডেন উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে আহ্বান জানান। গত এক বছরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ৪২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলি অবরোধে অঞ্চলটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। বর্তমান যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইসরায়েলকে অতিরিক্ত ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।