ভারতে মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সিদ্দিকির ছেলের অফিসের কাছে এই হামলা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রায় ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে চারটি গুলি তার শরীরে লাগে।
সঙ্গে সঙ্গে সাবেক মন্ত্রীকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় তার একজন সঙ্গীও আহত হয়েছেন।
বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি বান্দ্রা পূর্ব থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। দিওয়ালি উৎসবের মধ্যে এবং মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সাবেক মন্ত্রীর ওপর এই হামলা রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত এখনো পলাতক। আমি পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছি যাতে মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি না ঘটে।
এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এই ঘটনায় তার শোক প্রকাশ করে বলেছেন, আমি একজন ভালো সহকর্মী ও বন্ধুকে হারালাম।
বাবা সিদ্দিকি বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে তিনবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, শ্রম এবং এফডিএ-এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজনীতির জন্য যেমন পরিচিত ছিলেন, তেমনি বলিউডের সঙ্গেও তার গভীর সম্পর্ক ছিল। ২০১৩ সালে তার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে শাহরুখ খান এবং সালমান খানের শীতল সম্পর্ক ফের উষ্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাবা সিদ্দিকির।
এদিকে, বিরোধী দলগুলো এই হত্যাকাণ্ডের পর মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সরকারকে এর দায়িত্ব নিতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে।
কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেট্টিওয়ার বলেন, যেভাবে ওয়াই লেভেলের নিরাপত্তা পাওয়া একজন নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত চমকপ্রদ ও শোকজনক। সরকার মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে এবং অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
এই ঘটনার পর মহারাষ্ট্র সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
ভারতে মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সিদ্দিকির ছেলের অফিসের কাছে এই হামলা হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রায় ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে চারটি গুলি তার শরীরে লাগে।
সঙ্গে সঙ্গে সাবেক মন্ত্রীকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় তার একজন সঙ্গীও আহত হয়েছেন।
বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি বান্দ্রা পূর্ব থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। দিওয়ালি উৎসবের মধ্যে এবং মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সাবেক মন্ত্রীর ওপর এই হামলা রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত এখনো পলাতক। আমি পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছি যাতে মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি না ঘটে।
এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার এই ঘটনায় তার শোক প্রকাশ করে বলেছেন, আমি একজন ভালো সহকর্মী ও বন্ধুকে হারালাম।
বাবা সিদ্দিকি বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে তিনবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, শ্রম এবং এফডিএ-এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজনীতির জন্য যেমন পরিচিত ছিলেন, তেমনি বলিউডের সঙ্গেও তার গভীর সম্পর্ক ছিল। ২০১৩ সালে তার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে শাহরুখ খান এবং সালমান খানের শীতল সম্পর্ক ফের উষ্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাবা সিদ্দিকির।
এদিকে, বিরোধী দলগুলো এই হত্যাকাণ্ডের পর মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সরকারকে এর দায়িত্ব নিতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে।
কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেট্টিওয়ার বলেন, যেভাবে ওয়াই লেভেলের নিরাপত্তা পাওয়া একজন নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত চমকপ্রদ ও শোকজনক। সরকার মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে এবং অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
এই ঘটনার পর মহারাষ্ট্র সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
