মিসরীয় ধনকুবের মোহাম্মদ আল ফায়েদ, যিনি একসময় যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত বিপণীবিতান হ্যারোডসের মালিক ছিলেন, তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আল ফায়েদের বিরুদ্ধে হ্যারোডসের পাঁচ নারী কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রামাণ্যচিত্র—‘আল ফায়েদ: হ্যারোডসের শিকারি’।
এই প্রামাণ্যচিত্রের প্রস্তুতি ও আল ফায়েদের অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে ছয় বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন কিটন স্টোন নামে এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী সোফিয়া স্টোনের অভিযোগ থেকেই এই অনুসন্ধানের শুরু। সোফিয়া, যিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত হ্যারোডসে কাজ করেন, অভিযোগ করেন যে আল ফায়েদ তাঁকে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন করেন এবং অন্তত একবার ধর্ষণ করেন। কিটন জানান, আল ফায়েদ শুধু হ্যারোডসের কর্মস্থলে নয়, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারেও এ ধরনের নিপীড়ন চালাতেন।
কিটন এবং তার স্ত্রী বিশ্বজুড়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আল ফায়েদের যৌন নিপীড়নের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রামাণ্যচিত্রটিতে হ্যারোডসের ভেতরে ঘটে যাওয়া নানা নিপীড়নের ঘটনা ও ফায়েদের অপরাধের প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। ফায়েদের শিকার নারীরা জানায়, হ্যারোডসের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগকে ধামাচাপা দিতে সহায়তা করেছিল।
প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর অনেক সাবেক কর্মীও এগিয়ে এসে অভিযোগ করেন, তারা আল ফায়েদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
মিসরীয় ধনকুবের মোহাম্মদ আল ফায়েদ, যিনি একসময় যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত বিপণীবিতান হ্যারোডসের মালিক ছিলেন, তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আল ফায়েদের বিরুদ্ধে হ্যারোডসের পাঁচ নারী কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রামাণ্যচিত্র—‘আল ফায়েদ: হ্যারোডসের শিকারি’।
এই প্রামাণ্যচিত্রের প্রস্তুতি ও আল ফায়েদের অপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে ছয় বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন কিটন স্টোন নামে এক ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী সোফিয়া স্টোনের অভিযোগ থেকেই এই অনুসন্ধানের শুরু। সোফিয়া, যিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত হ্যারোডসে কাজ করেন, অভিযোগ করেন যে আল ফায়েদ তাঁকে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন করেন এবং অন্তত একবার ধর্ষণ করেন। কিটন জানান, আল ফায়েদ শুধু হ্যারোডসের কর্মস্থলে নয়, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারেও এ ধরনের নিপীড়ন চালাতেন।
কিটন এবং তার স্ত্রী বিশ্বজুড়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে আল ফায়েদের যৌন নিপীড়নের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রামাণ্যচিত্রটিতে হ্যারোডসের ভেতরে ঘটে যাওয়া নানা নিপীড়নের ঘটনা ও ফায়েদের অপরাধের প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। ফায়েদের শিকার নারীরা জানায়, হ্যারোডসের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগকে ধামাচাপা দিতে সহায়তা করেছিল।
প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর অনেক সাবেক কর্মীও এগিয়ে এসে অভিযোগ করেন, তারা আল ফায়েদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।