alt

লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানো শুরু করেছে ভারত-চীন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠক

ভারত ও চীন তাদের বিরোধপূর্ণ হিমালয় সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুই দেশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এটি এশিয়ার দুই শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে ৪ বছর আগে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক পরিবর্তন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

লাদাখের দেপসাং, ডেমচক এলাকা-সহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে কয়েকদিন আগেই ভারত এবং চীন ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সেই প্রক্রিয়াই এখন শুরু হয়েছে বলে দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দুই দেশের সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে থাকা সেনাদের সরানো শুরু হয়েছে। আপাতত দুটি অঞ্চলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো ডেপস্যাং ও ডেমচক।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়াং শুক্রবার জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সমাধান সূত্র মেনে দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রাসঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত সেই কাজ সুষ্ঠুভাবেই চলছে।

ভারত সরকারের এক সূত্র জানিয়েছে, দুই দেশের মুখোমুখি অবস্থানে থাকা সেনাদের সরানো হচ্ছে। এ মুহূর্তে দেপস্যাং ও ডেমচক এলাকা থেকে এই সেনাদের সরানো হচ্ছে । দেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। ফলে অক্টোবর মাসের শেষের মধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-র ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র কাজ শেষ হবে।পরিস্থিতি দাঁড়াবে ২০২০ সালের মে মাসের আগের অবস্থায়। আর কেবল তা-ই নয়, এ চার বছর যে সব অস্থায়ী সেনা ছাউনি তৈরি হয়েছিল, তা-ও সরানো হবে। আগের মতোই দু’দেশের সেনা টহল দেবে সীমান্তে। কিন্তু ‘টহলদারি সীমানা’ নিয়ে যাতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয়, নজর থাকবে সে দিকেও।

টহলদারির নিয়ে দু’দেশই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানবে। এক দেশের সেনা টহলদারি শেষ হলে তারা অন্য দেশকে তা জানিয়ে দেবে। তার পরই শুরু হবে আরেক দেশের টহলদারি।

নারী সাংবাদিককে হেনস্তা, ট্রাম্পের সাফাই গাইলো হোয়াইট হাউজ

ছবি

যে প্রশ্নের উত্তরেই মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর ফাতিমা বশ

ছবি

তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাজ্য: বন্ধ শত শত স্কুল, ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়

ছবি

ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ

ছবি

তেল অন্বেষণে সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ বানাবে পাকিস্তান

ছবি

ইউক্রেনকে পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই কি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব

ছবি

ব্রাজিলে জলবায়ু সম্মেলনস্থলে আগুন, আলোচনা স্থগিত

ছবি

গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র শীতের আতঙ্ক

ছবি

রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের এক শহরে এক রাতে নিহত ২৫

ছবি

আগামী বছর জলবায়ু সম্মেলন কপ৩১ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তুরস্ক

ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে নতুন মার্কিন কাঠামো, স্বস্তিতে নেই জেলেনস্কি

ছবি

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

দুই ধাপে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় ব্রাজিল

ছবি

প্রতিষ্ঠানটি আসলে চালাচ্ছে কারা

ছবি

পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিলে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা: শিশু সহ নিহত ২৫

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

মহাকাশে আরও তীব্র হচ্ছে সামরিক প্রতিযোগিতা

ছবি

গাজায় ঐতিহাসিক প্রাসাদ ধ্বংস, ২০ হাজারের বেশি প্রত্নবস্তু লুট

ছবি

হামাসকে গাজা থেকে বহিষ্কারের আহ্বান নেতানিয়াহুর

ছবি

সৌদি আরবকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল

ছবি

ভারতীয়দের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করছে ইরান

ছবি

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

ছবি

এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

ছবি

আফ্রিকার ৬ দেশে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

ছবি

তহবিল ঘাটতি, প্রকট হচ্ছে ক্ষুধা সংকট, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ছবি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে

ছবি

ভারতে ২৬টি হামলার নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিদমা অভিযানে নিহত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

tab

লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানো শুরু করেছে ভারত-চীন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠক

শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ভারত ও চীন তাদের বিরোধপূর্ণ হিমালয় সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুই দেশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এটি এশিয়ার দুই শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে ৪ বছর আগে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক পরিবর্তন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

লাদাখের দেপসাং, ডেমচক এলাকা-সহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে কয়েকদিন আগেই ভারত এবং চীন ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সেই প্রক্রিয়াই এখন শুরু হয়েছে বলে দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দুই দেশের সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে থাকা সেনাদের সরানো শুরু হয়েছে। আপাতত দুটি অঞ্চলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো ডেপস্যাং ও ডেমচক।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়াং শুক্রবার জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সমাধান সূত্র মেনে দুই দেশের সেনাবাহিনী প্রাসঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত সেই কাজ সুষ্ঠুভাবেই চলছে।

ভারত সরকারের এক সূত্র জানিয়েছে, দুই দেশের মুখোমুখি অবস্থানে থাকা সেনাদের সরানো হচ্ছে। এ মুহূর্তে দেপস্যাং ও ডেমচক এলাকা থেকে এই সেনাদের সরানো হচ্ছে । দেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে। ফলে অক্টোবর মাসের শেষের মধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-র ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র কাজ শেষ হবে।পরিস্থিতি দাঁড়াবে ২০২০ সালের মে মাসের আগের অবস্থায়। আর কেবল তা-ই নয়, এ চার বছর যে সব অস্থায়ী সেনা ছাউনি তৈরি হয়েছিল, তা-ও সরানো হবে। আগের মতোই দু’দেশের সেনা টহল দেবে সীমান্তে। কিন্তু ‘টহলদারি সীমানা’ নিয়ে যাতে কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয়, নজর থাকবে সে দিকেও।

টহলদারির নিয়ে দু’দেশই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানবে। এক দেশের সেনা টহলদারি শেষ হলে তারা অন্য দেশকে তা জানিয়ে দেবে। তার পরই শুরু হবে আরেক দেশের টহলদারি।

back to top