জাপানে একের পর এক কেলেঙ্কারির ধাক্কায় টালমাটাল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। দলের নতুন প্রধান শিগেরু ইশিবা ক্ষমতায় আসার তিন দিন পরই এই নির্বাচন ঘোষণা করেন, যা এলডিপির জন্য একপ্রকার রাজনৈতিক জুয়া বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এলডিপির জনপ্রিয়তা বর্তমানে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা রাজনৈতিক তহবিল নিয়ে কেলেঙ্কারি এবং বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের সঙ্গে দলের সম্পর্ক প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই ধস নামে। এতকিছুর পরেও, এলডিপির প্রধান বিরোধী দলগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। বিরোধীদের সমর্থন এখনো কম, এবং তাদের বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
কিছু ভোটার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেমন, মিয়ুকি ফুজিসাকি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলডিপির সমর্থক, বলেন, “বিরোধীরা অনেক অভিযোগ তুললেও তারা আসলে কী চায়, তা স্পষ্ট নয়।” নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য জাপানিরা ক্ষুব্ধ হলেও, তাদের ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তনের আশাও ক্ষীণ।
টেম্পল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফ কিংস্টন মনে করেন, এলডিপি নিজেদের তৈরি করা সংকটে পড়েছে, যা থেকে বের হতে তাদেরকে ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। যদিও এর মাধ্যমে এলডিপির পরাজয় হবে বলে মনে করেন না তিনি। তার মতে, এলডিপি এমন আসন হারানোর শঙ্কায় রয়েছে যেখানে জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা সমান।
এ পরিস্থিতিতে মিয়ুকি ফুজিসাকির মতো ভোটাররা চাইছেন, এলডিপি তাদের প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হোক।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
জাপানে একের পর এক কেলেঙ্কারির ধাক্কায় টালমাটাল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। দলের নতুন প্রধান শিগেরু ইশিবা ক্ষমতায় আসার তিন দিন পরই এই নির্বাচন ঘোষণা করেন, যা এলডিপির জন্য একপ্রকার রাজনৈতিক জুয়া বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এলডিপির জনপ্রিয়তা বর্তমানে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা রাজনৈতিক তহবিল নিয়ে কেলেঙ্কারি এবং বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের সঙ্গে দলের সম্পর্ক প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই ধস নামে। এতকিছুর পরেও, এলডিপির প্রধান বিরোধী দলগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। বিরোধীদের সমর্থন এখনো কম, এবং তাদের বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
কিছু ভোটার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেমন, মিয়ুকি ফুজিসাকি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলডিপির সমর্থক, বলেন, “বিরোধীরা অনেক অভিযোগ তুললেও তারা আসলে কী চায়, তা স্পষ্ট নয়।” নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য জাপানিরা ক্ষুব্ধ হলেও, তাদের ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তনের আশাও ক্ষীণ।
টেম্পল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফ কিংস্টন মনে করেন, এলডিপি নিজেদের তৈরি করা সংকটে পড়েছে, যা থেকে বের হতে তাদেরকে ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। যদিও এর মাধ্যমে এলডিপির পরাজয় হবে বলে মনে করেন না তিনি। তার মতে, এলডিপি এমন আসন হারানোর শঙ্কায় রয়েছে যেখানে জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা সমান।
এ পরিস্থিতিতে মিয়ুকি ফুজিসাকির মতো ভোটাররা চাইছেন, এলডিপি তাদের প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হোক।