alt

আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় ১৩ মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমন অবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল। গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ হলে এই চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার বলেছেন, ইরানের প্রক্সি হামাস এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হলে আরও আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি।

পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, “যেদিন হামাস আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং হিজবুল্লাহ আর আমাদের উত্তর সীমান্তে থাকবে না, আমরা তেমন দিনের জন্য এই দুটি ফ্রন্টকে স্থিতিশীল করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”

তিনি বলেন, “আমি ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক বছর আগে যে প্রক্রিয়াটির নেতৃত্ব দিয়েছিলাম তা চালিয়ে যেতে এবং আরও কিছু আরব দেশের সাথে (চুক্তির মাধ্যমে) শান্তি অর্জন করার আকাঙ্ক্ষা করছি।”

রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে হওয়া চুক্তির অধীনে ইসরায়েল চারটি আরব দেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। দেশগুলো হচ্ছে— সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান।

তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েল অন্যান্য দেশগুলোকেও — বিশেষ করে সৌদি আরবকেও এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে। যদিও রিয়াদ বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, “এই দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশ স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছে, যারা আমাদের ওপর হামলা চালায় — ইরানের অশুভ অক্ষ — আমরা তাদের ওপর আঘাত হানছি। এসব দেশ আমাদেরই মতো একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।”

ছবি

ট্রাম্পকে ইউরোপের শত্রু মনে করে অর্ধেক ইউরোপীয়, বলছে জরিপ

ছবি

মামদানির গ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও নিউইয়র্ক যাবেন নেতানিয়াহু

ছবি

তেল, প্রতিরক্ষা, ভূরাজনীতি: কেন ভারত সফর করছেন পুতিন

ছবি

পাকিস্তানে ২১ বছরে সর্বোচ্চ বেকারত্ব

ছবি

ইসরায়েলিদের বাধায় নিজেদের জমিতে যেতে পারেন না ফিলিস্তিনিরা

ছবি

ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ারে শ্রীলঙ্কায় অন্তত ৪১০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৩৬

ছবি

ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়ার জন্য খোলা হবে রাফা ক্রসিং

ছবি

ইউক্রেন নিয়ে রুশ-মার্কিন বৈঠকে সমঝোতা হয়নি

ছবি

১৯টি দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন

ছবি

এশিয়ার কিছু অংশে ঝড়-বন্যা-ভূমিধস কেন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে

ছবি

আফগানিস্তানে হত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির জনসম্মুখে ফাঁসি কার্যকর

ছবি

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভে নামছেন ইমরান খানের নেতা-কর্মীরা

ছবি

স্মার্টফোনে সরকারি অ্যাপ প্রি-ইনস্টল বাধ্যতামূলক করছে ভারত

ছবি

ট্রাম্প কি ভেনেজুয়েলায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন

ছবি

ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া: শ্রীলঙ্কায় মৃত্যু বেড়ে ৩৫৫, নিখোঁজ ৩৬৬

ছবি

ভেনেজুয়েলায় ‘মাদক যুদ্ধের’ দামামা, দণ্ডিত কোকেন পাচারকারীকে ট্রাম্পের ক্ষমা

ছবি

চরম উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প-মাদুরোর ফোনালাপ

ছবি

জর্জিয়ায় বিক্ষোভ দমনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিষাক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ

ছবি

‘যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের ফলপ্রসূ আলোচনা, আরো কাজ বাকি’

ছবি

এশিয়াজুড়ে বন্যা-ভূমিধসের তা-ব, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়াল

ছবি

নামেই যুদ্ধবিরতি, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০ হাজার ছাড়ালো

ছবি

‘ডেথ সেলে’ ইমরান খানের নিঃসঙ্গ বন্দিজীবন

ছবি

হোয়াইট হাউস ছাপিয়ে বিশাল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বানালো উজবেকিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় বিশ্বের অভিবাসন স্থগিত, কী প্রভাব পড়বে

ছবি

আফগানদের জন্য ভিসা স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

ভারতের অনুমতি মেলেনি, ভুটানের ট্রানশিপমেন্ট পণ্য বুড়িমারীতে আটকা

ছবি

বাইডেনকে দুষলেও সন্দেহভাজন আফগান নাগরিকের আশ্রয়-আবেদনে অনুমোদন দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন

ছবি

মাদকবাহী নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় হামলায় সব আরোহী নিহত

ছবি

হংকংয়ে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা, নিহতদের স্মরণে শোক

ছবি

৬২ বছর বয়সে বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ছবি

দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর জেলেনস্কির শীর্ষ সহকারীকে অপসারণ

ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ালো

ছবি

এয়ারবাসের ৬ হাজার বিমানের সফটওয়্যার আপডেটের নির্দেশনা

ছবি

হংকংয়ে আগুনে নিহত বেড়ে ১২৮, উদ্ধার তৎপরতা চলছে

ছবি

ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তথ্য দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ, অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প

tab

আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় ১৩ মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমন অবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল। গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ হলে এই চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার বলেছেন, ইরানের প্রক্সি হামাস এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হলে আরও আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি।

পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু বলেন, “যেদিন হামাস আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং হিজবুল্লাহ আর আমাদের উত্তর সীমান্তে থাকবে না, আমরা তেমন দিনের জন্য এই দুটি ফ্রন্টকে স্থিতিশীল করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”

তিনি বলেন, “আমি ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক বছর আগে যে প্রক্রিয়াটির নেতৃত্ব দিয়েছিলাম তা চালিয়ে যেতে এবং আরও কিছু আরব দেশের সাথে (চুক্তির মাধ্যমে) শান্তি অর্জন করার আকাঙ্ক্ষা করছি।”

রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে হওয়া চুক্তির অধীনে ইসরায়েল চারটি আরব দেশের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। দেশগুলো হচ্ছে— সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান।

তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েল অন্যান্য দেশগুলোকেও — বিশেষ করে সৌদি আরবকেও এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে। যদিও রিয়াদ বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, “এই দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশ স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছে, যারা আমাদের ওপর হামলা চালায় — ইরানের অশুভ অক্ষ — আমরা তাদের ওপর আঘাত হানছি। এসব দেশ আমাদেরই মতো একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে।”

back to top