alt

আন্তর্জাতিক

‘কেউই আমাদের কথা ভাবেন না’—মার্কিন নির্বাচন নিয়ে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের অনুভূতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে জলপাই তোলার মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। সেখানকার ফিলিস্তিনি-মার্কিন উদ্যোক্তা জামাল জাগুলুল তার জলপাই মাড়াইয়ের যন্ত্রটির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু তার মন পড়ে আছে, হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনটিতে।

পশ্চিম তীরের তারমাস আয়া অঞ্চলে ফিলিস্তিনি-মার্কিনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে কি না, তা নিয়ে স্থানীয় অন্য মার্কিন পাসপোর্টধারীদের মতো তাঁর মনেও সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা এখানে অনেক সমস্যায় আছি। কেউই (যুক্তরাষ্ট্রের) আমাদের নিয়ে ভাবেন না।’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়েছে। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের ওই অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ নিতে সে দিনই গাজায় যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল।

জামাল জাগুলুল পুরোনো আনন্দের অভিব্যক্তি মুখে নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রসঙ্গ টানেন। ক্লিনটন প্রশাসনের অধীন অসলো চুক্তি হয়েছিল। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)’ ও ইসরায়েল একে অপরকে স্বীকৃতি দেয়।

‘এবার আমরা পরিবর্তন চাই। আমরা আরেকটি দলকে চাই, আরেকটি স্বাধীন ভিন্ন দল। অন্যরা আমাদের সাহায্য করছে না’, বলছিলেন জাগলুল।

জাগলুলের বন্ধু বাসিম সাবরি। তিনিও ফিলিস্তিন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী। তিনিও এবার তৃতীয় কোনো দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কারণ, গত আট বছরে যাঁরা সরকারে ছিলেন, তাঁরা দুর্দশা ডেকে এনেছেন বলে মনে করেন বাসিম।

মার্কিন পাসপোর্টধারী পশ্চিম তীরের এই বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি জো বাইডেনকে যুদ্ধাপরাধী বলে সম্বোধন করেছেন।

বাইডেনের পূর্বসূরি ও বর্তমান রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও সমালোচনা করেন বাসিম সাবরি। তিনি তাঁকে একজন উন্মাদ ও বর্ণবাদী বলে আখ্যায়িত করেন।

সাবরি বলেন, তিনি এবার জিল স্টেইনকে ভোট দেবেন। বহু বছরের পুরোনো গ্রিন পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা করছেন জিল। এবারের নির্বাচনে তিনি প্রায় প্রতিটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ভালো অবস্থানে আছেন।

২০১২ ও ২০১৬ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন জিল। ২০১২ সালে তিনি শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ও ২০১৬ সালে এক শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।

গাজা যুদ্ধ বাসিমের মনে গভীর দাগ কেটেছে। তাঁর আশা, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরও জোরালোভাবে চেষ্টা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে বাসিম বলেন, এটি একমাত্র দেশ, যেটি বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্তে বাধা দিচ্ছে। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতি নিন্দাও জানায়নি দেশটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

ফিলিস্তিনি-মার্কিনি ওদেহ জুমা ক্যালিফোর্নিয়ার নাগরিক। তিনি বছরে বেশ কয়েকবার তারমাস আয়ায় আসেন। তিনি তিক্ততার সঙ্গে ইঙ্গিত করেন, ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক বাহিনী সহায়তা করছে।

ওদেহ বলেন, ফিলিস্তিনি হিসেবে আমাদের দুশ্চিন্তা হয় যে ফিলিস্তিন ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে এড়িয়ে গেছে।

ওদেহ ৫ নভেম্বর নির্বাচনের রাতে এ–সংক্রান্ত খবর দেখার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু তিনি এবার ভোট দেবেন না।

এই ফিলিস্তিনি-মার্কিনি বলেন, ‘আমরা যদি এখন ভোট না দিই, তবে বিষয়টি পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় আরব, ফিলিস্তিন ও মুসলমানদের গুরুত্ব তুলে ধরবে।’

২০২২ সালের এক জনশুমারিতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ফিলিস্তিনি-মার্কিনি বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার মতো দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর বাসিন্দা।

পশ্চিম তীরেও হাজারো ফিলিস্তিনি-মার্কিনির বসবাস। চলতি বছর সেখানে একজন মার্কিন ও দুজন দ্বৈত নাগরিককে হত্যার ঘটনা এসব মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

ছবি

গাধা না হাতি, মার্কিনিরা বেছে নিবেন কাকে

ছবি

বিশ্ব ব্যবস্থা নির্ধারণের ভোটযুদ্ধ আজ

ছবি

ইরানে ছাদবিহীন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, বিপ্লবী জেনারেলসহ নিহত ২

ছবি

গাজা যুদ্ধের অবসানে সব কিছুই করব : কমালা হ্যারিস

ছবি

উত্তরাখণ্ডে বাস গিরিসঙ্কটে পড়ে ৩৬ জন নিহত, আহত ও নিখোঁজ অনেক

ছবি

শিশুদের মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা নাইজেরিয়ায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৩১

ছবি

ভুয়া ভিডিও: অভিযোগ রাশিয়ার দিকে, সতর্কবার্তা এফবিআইয়ের

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু

ছবি

তেল আবিবে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ছবি

বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা

ছবি

জাপানে ১২৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো অক্টোবরের তাপমাত্রা

ছবি

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্প না কমলা, কার দিকে ঝুঁকছেন অভিবাসীরা

ছবি

৫ নভেম্বর নয়, দোদুল্যমান ৭ রাজ্যের ভোটের পরই চূড়ান্ত ফল

ছবি

সীমান্তের এক ইঞ্চি জমি নিয়েও আপস করবে না ভারত: মোদী

ছবি

ট্রাম্প-কমলা ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে আছেন যারা

ছবি

ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ খামেনির না

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৬ জন নিহত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা

ছবি

কমলা জয়ী হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে: ট্রাম্প

ছবি

স্পেনের ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন : নেটো-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ

ছবি

নির্বাচনের আগে সমাপনী বক্তব্যে যা বললেন ট্রাম্প-কমলা

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে নিহত ১৪৩, লেবাননে আরও ৭৭

ছবি

গুগল থেকে ৩১ হাজার কোটি টাকা আদায় করল দম্পতি

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান শেখ নাইম কাসেম

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান কে এই শেখ নাঈম কাসেম

ছবি

ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ করবেন না, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

ছবি

দুই দিনের সফরে ঢাকায় ফলকার টুর্ক

ছবি

আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

ছবি

ট্রাম্পের লাগামহীন কথাবার্তা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে?

ছবি

ব্যালন ডি’অর বয়কটের সিদ্ধান্ত রিয়াল মাদ্রিদের, পুরস্কার প্রক্রিয়ায় আপত্তি ক্লাবের

ছবি

কেনিয়ায় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি আদালতে স্থগিত

ছবি

রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর সত্য নয়

tab

আন্তর্জাতিক

‘কেউই আমাদের কথা ভাবেন না’—মার্কিন নির্বাচন নিয়ে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের অনুভূতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে জলপাই তোলার মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। সেখানকার ফিলিস্তিনি-মার্কিন উদ্যোক্তা জামাল জাগুলুল তার জলপাই মাড়াইয়ের যন্ত্রটির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু তার মন পড়ে আছে, হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনটিতে।

পশ্চিম তীরের তারমাস আয়া অঞ্চলে ফিলিস্তিনি-মার্কিনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে কি না, তা নিয়ে স্থানীয় অন্য মার্কিন পাসপোর্টধারীদের মতো তাঁর মনেও সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

পঞ্চাশোর্ধ্ব এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা এখানে অনেক সমস্যায় আছি। কেউই (যুক্তরাষ্ট্রের) আমাদের নিয়ে ভাবেন না।’

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়েছে। ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের ওই অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ নিতে সে দিনই গাজায় যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল।

জামাল জাগুলুল পুরোনো আনন্দের অভিব্যক্তি মুখে নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রসঙ্গ টানেন। ক্লিনটন প্রশাসনের অধীন অসলো চুক্তি হয়েছিল। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)’ ও ইসরায়েল একে অপরকে স্বীকৃতি দেয়।

‘এবার আমরা পরিবর্তন চাই। আমরা আরেকটি দলকে চাই, আরেকটি স্বাধীন ভিন্ন দল। অন্যরা আমাদের সাহায্য করছে না’, বলছিলেন জাগলুল।

জাগলুলের বন্ধু বাসিম সাবরি। তিনিও ফিলিস্তিন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী। তিনিও এবার তৃতীয় কোনো দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কারণ, গত আট বছরে যাঁরা সরকারে ছিলেন, তাঁরা দুর্দশা ডেকে এনেছেন বলে মনে করেন বাসিম।

মার্কিন পাসপোর্টধারী পশ্চিম তীরের এই বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি জো বাইডেনকে যুদ্ধাপরাধী বলে সম্বোধন করেছেন।

বাইডেনের পূর্বসূরি ও বর্তমান রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও সমালোচনা করেন বাসিম সাবরি। তিনি তাঁকে একজন উন্মাদ ও বর্ণবাদী বলে আখ্যায়িত করেন।

সাবরি বলেন, তিনি এবার জিল স্টেইনকে ভোট দেবেন। বহু বছরের পুরোনো গ্রিন পার্টির হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা করছেন জিল। এবারের নির্বাচনে তিনি প্রায় প্রতিটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ভালো অবস্থানে আছেন।

২০১২ ও ২০১৬ সালেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন জিল। ২০১২ সালে তিনি শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ও ২০১৬ সালে এক শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।

গাজা যুদ্ধ বাসিমের মনে গভীর দাগ কেটেছে। তাঁর আশা, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরও জোরালোভাবে চেষ্টা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে বাসিম বলেন, এটি একমাত্র দেশ, যেটি বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্তে বাধা দিচ্ছে। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য ইসরায়েলের প্রতি নিন্দাও জানায়নি দেশটি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

ফিলিস্তিনি-মার্কিনি ওদেহ জুমা ক্যালিফোর্নিয়ার নাগরিক। তিনি বছরে বেশ কয়েকবার তারমাস আয়ায় আসেন। তিনি তিক্ততার সঙ্গে ইঙ্গিত করেন, ইসরায়েলকে মার্কিন সামরিক বাহিনী সহায়তা করছে।

ওদেহ বলেন, ফিলিস্তিনি হিসেবে আমাদের দুশ্চিন্তা হয় যে ফিলিস্তিন ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে এড়িয়ে গেছে।

ওদেহ ৫ নভেম্বর নির্বাচনের রাতে এ–সংক্রান্ত খবর দেখার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু তিনি এবার ভোট দেবেন না।

এই ফিলিস্তিনি-মার্কিনি বলেন, ‘আমরা যদি এখন ভোট না দিই, তবে বিষয়টি পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় আরব, ফিলিস্তিন ও মুসলমানদের গুরুত্ব তুলে ধরবে।’

২০২২ সালের এক জনশুমারিতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার ফিলিস্তিনি-মার্কিনি বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ার মতো দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর বাসিন্দা।

পশ্চিম তীরেও হাজারো ফিলিস্তিনি-মার্কিনির বসবাস। চলতি বছর সেখানে একজন মার্কিন ও দুজন দ্বৈত নাগরিককে হত্যার ঘটনা এসব মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

back to top