alt

আন্তর্জাতিক

গাধা না হাতি, মার্কিনিরা বেছে নিবেন কাকে

নাসরীন গীতি, ঢাকা : মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

দীর্ঘ আলোচনার অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আজ ভোট দিচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরা। এরই মধ্যে আগাম ভোটও হয়ে গেছে।

অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতিসহ বিভিন্ন কারণে এ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়ে যেমন আগ্রহের শেষ নেই, তেমনি মার্কিন নাগরিকদের মাঝে এখন পর্যন্ত উদ্বেগেরও শেষ নেই।

গাধা না হাতির জোর বেশি, শেষ পর্যন্ত কে যাবে হোয়াইট হাউসে। এবার কি যুক্তরাস্ট্রের ইতিহাসে নতুন সূচনা হবে? নাকি মার্কিন ব্যবস্থা হিলারির মতো এবারও নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে না। এরকম নানা হিসেব-নিকেশ চলছে ভোটারসহ পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।

নির্বাচন নিয়ে নানা জরিপ চলছেই। সম্প্রতি মার্কিন সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) এক গবেষণায় দেখিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি ১০ জন নাগরিকের মধ্যে সাতজনই আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মানসিক চাপে আছেন। গত চার বছরে হওয়া দুটি যুদ্ধ, গণহত্যা, নৈতিক প্রশ্ন এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক মেরুকরণ, সব মিলিয়ে এই নির্বাচনের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে আরও অনেককে প্রভাবিত করবে।

আমরা জানি, নির্বাচনের পূর্বাভাসের জন্য জরিপগুলো সবক্ষেত্রে ভালো ফল দেয় না। যদি করেও, এবারের সমীক্ষাগুলোও দেখাচ্ছে যে, দুই প্রার্থীর মধ্যে তফাৎ নেই বললেই চলে। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে সমীক্ষার গ্রহণযোগ্য ভুলের মাত্রা (মার্জিন অব এরর) হিসেবে নিলে ডনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস, দু’জনেরই নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা সামনে সমান। নির্বাচন-পূর্ব সমীক্ষায় আগের দুবার ট্রাম্প কখনও তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বীর এতোটা কাছাকাছি ছিলেন না। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’বারই সমীক্ষায় ট্রাম্পের ভোটারদের হিসাব উঠে আসেনি।

এবারও এমন হবে ধরে নিয়ে অনেকে এরই মধ্যে ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করে দিচ্ছে। একই কথা প্রযোজ্য কমলার ক্ষেত্রেও। আবার নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান অনেক কমও থাকতে পারে। এমনকি দুই প্রার্থীর ইলেক্টর সংখ্যা সমানও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের রায় দেবে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ, যেখানে এখন রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে হয়তো ট্রাম্প জিতবেন।

আবার ২০০০ সালের বুশ বনাম আল গোর নির্বাচনের মতোও কিছু হতে পারে। সেবার নির্বাচনের ব্যবধান এতোই কম ছিল যে কয়েক সপ্তাহ লাগিয়ে পুর্নগণনা চালানোর পর সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়েছিল সমাধানের জন্য।

ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করাটা এতো কঠিন হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে, এবার সামান্য হলেও ট্রাম্প নিন্দিত। অপরদিকে, কমলা অপ্রত্যাশিতভাবে মধ্যপন্থী প্রচার চালিয়েছেন। লিজ চেনির মতো রিপাবলিকানদের নিজের দলে ভিড়িয়েছেন, দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে রিপাবলিকানদের ভোট পেতে শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফের চাইতে বন্দুকের মালিকানা নিয়ে বেশি কথা বলেছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা এবং মধ্যবিত্তের আবাসন ব্যয় কমানোর মতো জনপ্রিয় অর্থনৈতিক নীতি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

শেষ মুহূর্তেও দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস দু’জনেই জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে।

স্থানীয় সময় গত রোববার নসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় প্রচার চালিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভোট মানচিত্রে সবচেয়ে বড় দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর মধ্যে পড়ে এই তিন অঙ্গরাজ্য। পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত মেশিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন। নির্বাচিত হলে দেশের পুরো ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

প্রচারণায় ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি (সীমান্তে) অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের কারণে বিশাল সংখ্যায় অপরাধীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে।’ শেষ দিকের প্রচারেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারে অভিবাসনবিরোধী বার্তাকেই সামনে রেখেছেন।

এদিকে, কমলা প্রচারণা চালিয়েছেন আরেক দোদুল্যমান রাজ্য মিশিগানের কৃষ্ণাঙ্গ চার্চে। সেখানে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে। তাই শুধু কথা বা প্রার্থনা না, কাজও করতে হবে। ট্রাম্প দেশকে বিভক্ত করছেন, চার্চের বক্তব্যে কমলা হ্যারিস এই ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘ঈশ্বরের পরিকল্পনায় এই বিভাজন রোধ করার যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। মঙ্গলবারের নির্বাচনের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা, ভয় ও ঘৃণাকে থামানোর সুযোগ পাবেন আপনারা।’

এরই মধ্যে কমলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন।

ছবি

ঐতিহাসিক এক ভোটের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

বিশ্ব ব্যবস্থা নির্ধারণের ভোটযুদ্ধ আজ

ছবি

ইরানে ছাদবিহীন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, বিপ্লবী জেনারেলসহ নিহত ২

ছবি

‘কেউই আমাদের কথা ভাবেন না’—মার্কিন নির্বাচন নিয়ে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের অনুভূতি

ছবি

গাজা যুদ্ধের অবসানে সব কিছুই করব : কমালা হ্যারিস

ছবি

উত্তরাখণ্ডে বাস গিরিসঙ্কটে পড়ে ৩৬ জন নিহত, আহত ও নিখোঁজ অনেক

ছবি

শিশুদের মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা নাইজেরিয়ায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৩১

ছবি

ভুয়া ভিডিও: অভিযোগ রাশিয়ার দিকে, সতর্কবার্তা এফবিআইয়ের

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু

ছবি

তেল আবিবে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ছবি

বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা

ছবি

জাপানে ১২৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো অক্টোবরের তাপমাত্রা

ছবি

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্প না কমলা, কার দিকে ঝুঁকছেন অভিবাসীরা

ছবি

৫ নভেম্বর নয়, দোদুল্যমান ৭ রাজ্যের ভোটের পরই চূড়ান্ত ফল

ছবি

সীমান্তের এক ইঞ্চি জমি নিয়েও আপস করবে না ভারত: মোদী

ছবি

ট্রাম্প-কমলা ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে আছেন যারা

ছবি

ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ খামেনির না

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৬ জন নিহত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা

ছবি

কমলা জয়ী হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে: ট্রাম্প

ছবি

স্পেনের ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন : নেটো-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ

ছবি

নির্বাচনের আগে সমাপনী বক্তব্যে যা বললেন ট্রাম্প-কমলা

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে নিহত ১৪৩, লেবাননে আরও ৭৭

ছবি

গুগল থেকে ৩১ হাজার কোটি টাকা আদায় করল দম্পতি

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান শেখ নাইম কাসেম

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান কে এই শেখ নাঈম কাসেম

ছবি

ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ করবেন না, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

ছবি

দুই দিনের সফরে ঢাকায় ফলকার টুর্ক

ছবি

আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

ছবি

ট্রাম্পের লাগামহীন কথাবার্তা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে?

ছবি

ব্যালন ডি’অর বয়কটের সিদ্ধান্ত রিয়াল মাদ্রিদের, পুরস্কার প্রক্রিয়ায় আপত্তি ক্লাবের

ছবি

কেনিয়ায় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি আদালতে স্থগিত

tab

আন্তর্জাতিক

গাধা না হাতি, মার্কিনিরা বেছে নিবেন কাকে

নাসরীন গীতি, ঢাকা

মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

দীর্ঘ আলোচনার অবসান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে আজ ভোট দিচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরা। এরই মধ্যে আগাম ভোটও হয়ে গেছে।

অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতিসহ বিভিন্ন কারণে এ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়ে যেমন আগ্রহের শেষ নেই, তেমনি মার্কিন নাগরিকদের মাঝে এখন পর্যন্ত উদ্বেগেরও শেষ নেই।

গাধা না হাতির জোর বেশি, শেষ পর্যন্ত কে যাবে হোয়াইট হাউসে। এবার কি যুক্তরাস্ট্রের ইতিহাসে নতুন সূচনা হবে? নাকি মার্কিন ব্যবস্থা হিলারির মতো এবারও নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে না। এরকম নানা হিসেব-নিকেশ চলছে ভোটারসহ পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।

নির্বাচন নিয়ে নানা জরিপ চলছেই। সম্প্রতি মার্কিন সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এপিএ) এক গবেষণায় দেখিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি ১০ জন নাগরিকের মধ্যে সাতজনই আসন্ন নির্বাচন নিয়ে মানসিক চাপে আছেন। গত চার বছরে হওয়া দুটি যুদ্ধ, গণহত্যা, নৈতিক প্রশ্ন এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক মেরুকরণ, সব মিলিয়ে এই নির্বাচনের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে আরও অনেককে প্রভাবিত করবে।

আমরা জানি, নির্বাচনের পূর্বাভাসের জন্য জরিপগুলো সবক্ষেত্রে ভালো ফল দেয় না। যদি করেও, এবারের সমীক্ষাগুলোও দেখাচ্ছে যে, দুই প্রার্থীর মধ্যে তফাৎ নেই বললেই চলে। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে সমীক্ষার গ্রহণযোগ্য ভুলের মাত্রা (মার্জিন অব এরর) হিসেবে নিলে ডনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস, দু’জনেরই নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা সামনে সমান। নির্বাচন-পূর্ব সমীক্ষায় আগের দুবার ট্রাম্প কখনও তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বীর এতোটা কাছাকাছি ছিলেন না। ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’বারই সমীক্ষায় ট্রাম্পের ভোটারদের হিসাব উঠে আসেনি।

এবারও এমন হবে ধরে নিয়ে অনেকে এরই মধ্যে ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করে দিচ্ছে। একই কথা প্রযোজ্য কমলার ক্ষেত্রেও। আবার নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান অনেক কমও থাকতে পারে। এমনকি দুই প্রার্থীর ইলেক্টর সংখ্যা সমানও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের রায় দেবে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ, যেখানে এখন রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে হয়তো ট্রাম্প জিতবেন।

আবার ২০০০ সালের বুশ বনাম আল গোর নির্বাচনের মতোও কিছু হতে পারে। সেবার নির্বাচনের ব্যবধান এতোই কম ছিল যে কয়েক সপ্তাহ লাগিয়ে পুর্নগণনা চালানোর পর সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়েছিল সমাধানের জন্য।

ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করাটা এতো কঠিন হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে, এবার সামান্য হলেও ট্রাম্প নিন্দিত। অপরদিকে, কমলা অপ্রত্যাশিতভাবে মধ্যপন্থী প্রচার চালিয়েছেন। লিজ চেনির মতো রিপাবলিকানদের নিজের দলে ভিড়িয়েছেন, দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে রিপাবলিকানদের ভোট পেতে শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফের চাইতে বন্দুকের মালিকানা নিয়ে বেশি কথা বলেছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা এবং মধ্যবিত্তের আবাসন ব্যয় কমানোর মতো জনপ্রিয় অর্থনৈতিক নীতি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

শেষ মুহূর্তেও দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস দু’জনেই জোর প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে।

স্থানীয় সময় গত রোববার নসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় প্রচার চালিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভোট মানচিত্রে সবচেয়ে বড় দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর মধ্যে পড়ে এই তিন অঙ্গরাজ্য। পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প বলেন, তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নামের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত মেশিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন। নির্বাচিত হলে দেশের পুরো ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।

প্রচারণায় ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি (সীমান্তে) অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব। জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের কারণে বিশাল সংখ্যায় অপরাধীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে।’ শেষ দিকের প্রচারেও ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রচারে অভিবাসনবিরোধী বার্তাকেই সামনে রেখেছেন।

এদিকে, কমলা প্রচারণা চালিয়েছেন আরেক দোদুল্যমান রাজ্য মিশিগানের কৃষ্ণাঙ্গ চার্চে। সেখানে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে। তাই শুধু কথা বা প্রার্থনা না, কাজও করতে হবে। ট্রাম্প দেশকে বিভক্ত করছেন, চার্চের বক্তব্যে কমলা হ্যারিস এই ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘ঈশ্বরের পরিকল্পনায় এই বিভাজন রোধ করার যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। মঙ্গলবারের নির্বাচনের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা, ভয় ও ঘৃণাকে থামানোর সুযোগ পাবেন আপনারা।’

এরই মধ্যে কমলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন।

back to top