ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিজেপির বড় ধরনের পরাজয় ঘটেছে। দুটি রাজ্য বিধানসভাসহ কয়েকটি রাজ্যে উপনির্বাচনের ভোটগণনা হয়েছে শনিবার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসনও রয়েছে।
ভোটগণনা হয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেরও। রাজ্যটিতে আর বছর দেড়েকের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই স্বল্প মেয়াদের জন্য ছয়জন বিধায়ক বিধানসভায় যাবেন। বিভিন্ন কারণে এই আসনগুলো ফাঁকা হয়েছিল।
এই উপনির্বাচনে ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল। পাঁচটি আসন তাদের দখলেই ছিল। একটি আসন তারা বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, জয়ের ব্যবধানও বেশ বড়।
কোচবিহারের সিতাই আসনে শাসকদলের প্রার্থী সঙ্গীতা রায় জিতেছেন এক লাখ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভায় শেখ রবিউল ইসলাম হারিয়েছেন আইএসএফ প্রার্থীকে।
তার জয়ের ব্যবধান এক লাখ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোট। একই জেলার উত্তরে নৈহাটি আসনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে জয়ী হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৯৩ ভোটে।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের অন্তর্গত মাদারিহাট বিধানসভায় এ বছরের সাধারণ নির্বাচনেও এগিয়েছিল বিজেপি। এবার তৃণমূলের জয়প্রকাশ টোপ্পো বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন ৩০ হাজার ৩০৯ ভোটে।
তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু ৩৪ হাজার ৮২ ভোটে জয় লাভ করেছেন। আর মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা ৩৩ হাজার ৯৯৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
উপনির্বাচনের ফল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মমতা লিখেছেন, “আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম। আপনাদের এই আশীর্বাদ আমাদের আগামীর চলার পথে আরও সক্রিয় ভাবে কাজ করার উৎসাহ দেবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “২০২১ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চগ্রামে লড়াই করেছিল বিজেপি। সেই ভোটে হারার পর ধীরে ধীরে অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক বসে গিয়েছিলেন। তাদের একাংশের ভোট এবার তৃণমূল পেয়েছে। দুটি দলের মধ্যে আদর্শগত ফারাক বিরাট কিছু নেই। তাই শিবির বদলাতে সমস্যা হয়নি। একটা সময় তৃণমূলকে রুখতে বামেদের ভোট বিজেপিতে গিয়েছিল। এবার বিজেপির ভোট তৃণমূলে যাচ্ছে।”
রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিজেপির বড় ধরনের পরাজয় ঘটেছে। দুটি রাজ্য বিধানসভাসহ কয়েকটি রাজ্যে উপনির্বাচনের ভোটগণনা হয়েছে শনিবার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসনও রয়েছে।
ভোটগণনা হয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেরও। রাজ্যটিতে আর বছর দেড়েকের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই স্বল্প মেয়াদের জন্য ছয়জন বিধায়ক বিধানসভায় যাবেন। বিভিন্ন কারণে এই আসনগুলো ফাঁকা হয়েছিল।
এই উপনির্বাচনে ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল। পাঁচটি আসন তাদের দখলেই ছিল। একটি আসন তারা বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, জয়ের ব্যবধানও বেশ বড়।
কোচবিহারের সিতাই আসনে শাসকদলের প্রার্থী সঙ্গীতা রায় জিতেছেন এক লাখ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটে। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভায় শেখ রবিউল ইসলাম হারিয়েছেন আইএসএফ প্রার্থীকে।
তার জয়ের ব্যবধান এক লাখ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোট। একই জেলার উত্তরে নৈহাটি আসনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে জয়ী হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৯৩ ভোটে।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের অন্তর্গত মাদারিহাট বিধানসভায় এ বছরের সাধারণ নির্বাচনেও এগিয়েছিল বিজেপি। এবার তৃণমূলের জয়প্রকাশ টোপ্পো বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন ৩০ হাজার ৩০৯ ভোটে।
তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু ৩৪ হাজার ৮২ ভোটে জয় লাভ করেছেন। আর মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা ৩৩ হাজার ৯৯৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
উপনির্বাচনের ফল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মমতা লিখেছেন, “আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম। আপনাদের এই আশীর্বাদ আমাদের আগামীর চলার পথে আরও সক্রিয় ভাবে কাজ করার উৎসাহ দেবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “২০২১ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চগ্রামে লড়াই করেছিল বিজেপি। সেই ভোটে হারার পর ধীরে ধীরে অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক বসে গিয়েছিলেন। তাদের একাংশের ভোট এবার তৃণমূল পেয়েছে। দুটি দলের মধ্যে আদর্শগত ফারাক বিরাট কিছু নেই। তাই শিবির বদলাতে সমস্যা হয়নি। একটা সময় তৃণমূলকে রুখতে বামেদের ভোট বিজেপিতে গিয়েছিল। এবার বিজেপির ভোট তৃণমূলে যাচ্ছে।”