সিরিয়ার বিদ্রোহীরা গুরুত্বপূর্ণ শহর হামায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী কমান্ডার হাসান আব্দুল গনি জানিয়েছেন, তারা শহরে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে। তবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও ইরানের সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় প্রবেশ ঠেকাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয় এবং রাতভর চলতে থাকে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে, সরকারপন্থি বাহিনী একটি বিদ্রোহী হামলা রুখে দিয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা শহরের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানায়।
বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে চাপ সৃষ্টি করে। তারা হামার উত্তরাঞ্চলের একটি কৌশলগত পাহাড় দখল করে বুধবার শহরের নিকটবর্তী অবস্থানে পৌঁছেছে।
হামা শহরের গুরুত্ব কৌশলগত ও রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত বেশি। এটি আলেপ্পো থেকে রাজধানী দামেস্কের সংযোগস্থলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। শহরটির পতন ঘটলে বিদ্রোহীরা মধ্যাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর হমসের দিকে অগ্রসর হতে পারবে।
এছাড়া হামা শহর ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মুহরাদায় খ্রিস্টানদের এবং সালামিয়ায় ইসমাইলি মুসলিমদের বসবাস রয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস), যারা আল কায়েদার সাবেক শাখা, লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেকেই বিদ্রোহীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
গোলানি বুধবার আলেপ্পোর ঐতিহাসিক দুর্গ পরিদর্শন করেন, যা বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক বিজয়ের একটি প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে উঠে এসেছে।
হামা শহরের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে গেলে তা সিরিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা গুরুত্বপূর্ণ শহর হামায় প্রবেশের চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী কমান্ডার হাসান আব্দুল গনি জানিয়েছেন, তারা শহরে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে। তবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও ইরানের সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তায় প্রবেশ ঠেকাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয় এবং রাতভর চলতে থাকে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে, সরকারপন্থি বাহিনী একটি বিদ্রোহী হামলা রুখে দিয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা শহরের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানায়।
বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে চাপ সৃষ্টি করে। তারা হামার উত্তরাঞ্চলের একটি কৌশলগত পাহাড় দখল করে বুধবার শহরের নিকটবর্তী অবস্থানে পৌঁছেছে।
হামা শহরের গুরুত্ব কৌশলগত ও রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত বেশি। এটি আলেপ্পো থেকে রাজধানী দামেস্কের সংযোগস্থলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। শহরটির পতন ঘটলে বিদ্রোহীরা মধ্যাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর হমসের দিকে অগ্রসর হতে পারবে।
এছাড়া হামা শহর ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মুহরাদায় খ্রিস্টানদের এবং সালামিয়ায় ইসমাইলি মুসলিমদের বসবাস রয়েছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস), যারা আল কায়েদার সাবেক শাখা, লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেকেই বিদ্রোহীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
গোলানি বুধবার আলেপ্পোর ঐতিহাসিক দুর্গ পরিদর্শন করেন, যা বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক বিজয়ের একটি প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে উঠে এসেছে।
হামা শহরের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে গেলে তা সিরিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।