alt

প্রেসিডেন্টকে আর চায় না দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীনরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান সতর্ক করেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যদি ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে পারে। তাই, তিনি অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব স্থগিত করার আহ্বান জানান।

খবর বিবিসির

পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান দুং-হুন গতকাল শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে বলেন, তার দল বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে যে মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারি করার সময় প্রেসিডেন্ট ইউন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্রবিরোধিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তার সঙ্গে বিকেলে প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জানায় বিবিসি। তবে নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি। বিবিসি সর্বশেষ খবরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যেকোনো সময় জাতীয় সংসদে পৌঁছাতে পারেন। প্রবেশদ্বারে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় রয়েছে। আর ভেতরে বিরোধী সদস্যরা অভিশংসনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।

ক্ষমতাসীন দল প্রেসিডেন্টের অভিশংসন আটকে দেবে, প্রথমে এমনটি বললেও এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন হান দুং-হুন। বিরোধীরা গত বুধবার সংসদে ওই অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করে।

মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৯০ জন সংসদ সদস্য দ্রুত সংসদে ঢুকে ভোট দিয়ে সামরিক আইন বাতিল করেন।

শুক্রবার হান উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে ইউন ক্ষমতায় থাকলে তিনি ফের সামরিক আইন জারি করার মতো চরম পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড কোরিয়া ও কোরিয়ার জনগণের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।

হান আরও জানান, তাদের দল জানতে পেরেছে, গ্রেপ্তার বিরোধী রাজনীতিবিদদের দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণে গওয়াচনের একটি ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রাখার পরিকল্পনা ছিল।

তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল, খন প্রেসিডেন্টের নিজের দল হয়তো বিরোধী দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে পারে।

এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের পার্লামেন্ট সদস্য চো কিয়ুং-তায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আশা করি পিপলস পাওয়ার পার্টির সব রাজনীতিবিদ জনগণের পক্ষে অবস্থান নেবেন।

সিউলে টানা দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট ইউনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই বিক্ষোভের বিষয়ে তদন্ত করছে।

স্থানীয় জরিপকারী প্রতিষ্ঠান রিয়েলমিটারের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০ জনের মাঝে সাতজনের বেশি দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পক্ষে।

অভিশংসন প্রস্তাব পাস করতে ২০০ ভোট প্রয়োজন। বিরোধীদের হাতে ১৯২টি আসন রয়েছে। অর্থাৎ, প্রস্তাব পাস করার জন্য তাদের ক্ষমতাসীন দল থেকে মাত্র আটজনের ভোট প্রয়োজন। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০৮ জন।

ছবি

সৌদি-পাকিস্তান যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি, একজনের ওপর হামলা হবে ‘উভয়ের ওপর আক্রমণ’

ছবি

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

tab

প্রেসিডেন্টকে আর চায় না দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীনরা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান সতর্ক করেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যদি ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে পারে। তাই, তিনি অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব স্থগিত করার আহ্বান জানান।

খবর বিবিসির

পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান দুং-হুন গতকাল শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকে বলেন, তার দল বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে যে মঙ্গলবার রাতে সামরিক আইন জারি করার সময় প্রেসিডেন্ট ইউন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্রবিরোধিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তার সঙ্গে বিকেলে প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জানায় বিবিসি। তবে নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি। বিবিসি সর্বশেষ খবরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল যেকোনো সময় জাতীয় সংসদে পৌঁছাতে পারেন। প্রবেশদ্বারে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় রয়েছে। আর ভেতরে বিরোধী সদস্যরা অভিশংসনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন।

ক্ষমতাসীন দল প্রেসিডেন্টের অভিশংসন আটকে দেবে, প্রথমে এমনটি বললেও এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন হান দুং-হুন। বিরোধীরা গত বুধবার সংসদে ওই অভিশংসন প্রস্তাব পেশ করে।

মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৯০ জন সংসদ সদস্য দ্রুত সংসদে ঢুকে ভোট দিয়ে সামরিক আইন বাতিল করেন।

শুক্রবার হান উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে ইউন ক্ষমতায় থাকলে তিনি ফের সামরিক আইন জারি করার মতো চরম পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড কোরিয়া ও কোরিয়ার জনগণের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।

হান আরও জানান, তাদের দল জানতে পেরেছে, গ্রেপ্তার বিরোধী রাজনীতিবিদদের দেশটির রাজধানী সিউলের দক্ষিণে গওয়াচনের একটি ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রাখার পরিকল্পনা ছিল।

তার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেল, খন প্রেসিডেন্টের নিজের দল হয়তো বিরোধী দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিতে পারে।

এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের পার্লামেন্ট সদস্য চো কিয়ুং-তায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আশা করি পিপলস পাওয়ার পার্টির সব রাজনীতিবিদ জনগণের পক্ষে অবস্থান নেবেন।

সিউলে টানা দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট ইউনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই বিক্ষোভের বিষয়ে তদন্ত করছে।

স্থানীয় জরিপকারী প্রতিষ্ঠান রিয়েলমিটারের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০ জনের মাঝে সাতজনের বেশি দক্ষিণ কোরীয় নাগরিক প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের পক্ষে।

অভিশংসন প্রস্তাব পাস করতে ২০০ ভোট প্রয়োজন। বিরোধীদের হাতে ১৯২টি আসন রয়েছে। অর্থাৎ, প্রস্তাব পাস করার জন্য তাদের ক্ষমতাসীন দল থেকে মাত্র আটজনের ভোট প্রয়োজন। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০৮ জন।

back to top