সামরিক আইন জারির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। খবর বিবিসির।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, সামরিক আইন জারি এবং সেনাবাহিনী দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত। এই জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
ইউন আরো বলেছেন, দ্বিতীয়বার তিনি আর কখনো সামরিক আইন জারি করবেন না।
তিনি বলেছেন, চারদিকে গুজব চলছে, সামরিক আইন আবার জারি করা হবে। আমি অপনাদের পরিস্কার ভাষায় বলছি সামরিক শাসন জারির মতো আর কখনো কিছু ঘটবে না।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারি করেন। সামরিক শাসন জারির পর ইউন প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দলগুলো অভিশংসনের দাবি তোলে। পরে প্রধান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাসহ সাধারণ মানুষ পার্লামেন্ট ভবনের মুল প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে স্পিকারের নেতৃত্বে দ্রুত পার্লামেন্টে ভোটাভূটির ব্যবস্থা করে সামরিক আইন রহিত করা হয়। এরপর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে তা অনুমোদন দিলে সামরিক আইন বাতিল হয়ে যায়। পার্লামেন্টের ৩শ’ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সংসদ সদস্য সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।
তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পি) নেতা হান ডং-হুন বলেন, ইউনের পক্ষে স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার আগাম পদত্যাগ অনিবার্য।
বিবিসি লিখেছে, ইউনকে অভিশংসন করতে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধীদের। ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপ্রধানকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস করাতে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন প্রয়োজন। আর সেজন্য ইউনের দলের অন্তত আটজনের ভোট প্রয়োজন বিরোধীদের।
বিরোধীদলীয় নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্তব্যে তিনি হতাশ। এতে জনগণের ক্ষোভ আরও বাড়বে। প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে সরাতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সামরিক আইন জারির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। খবর বিবিসির।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, সামরিক আইন জারি এবং সেনাবাহিনী দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত। এই জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
ইউন আরো বলেছেন, দ্বিতীয়বার তিনি আর কখনো সামরিক আইন জারি করবেন না।
তিনি বলেছেন, চারদিকে গুজব চলছে, সামরিক আইন আবার জারি করা হবে। আমি অপনাদের পরিস্কার ভাষায় বলছি সামরিক শাসন জারির মতো আর কখনো কিছু ঘটবে না।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারি করেন। সামরিক শাসন জারির পর ইউন প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দলগুলো অভিশংসনের দাবি তোলে। পরে প্রধান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাসহ সাধারণ মানুষ পার্লামেন্ট ভবনের মুল প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে স্পিকারের নেতৃত্বে দ্রুত পার্লামেন্টে ভোটাভূটির ব্যবস্থা করে সামরিক আইন রহিত করা হয়। এরপর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে তা অনুমোদন দিলে সামরিক আইন বাতিল হয়ে যায়। পার্লামেন্টের ৩শ’ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সংসদ সদস্য সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।
তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পি) নেতা হান ডং-হুন বলেন, ইউনের পক্ষে স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার আগাম পদত্যাগ অনিবার্য।
বিবিসি লিখেছে, ইউনকে অভিশংসন করতে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বিরোধীদের। ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপ্রধানকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস করাতে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন প্রয়োজন। আর সেজন্য ইউনের দলের অন্তত আটজনের ভোট প্রয়োজন বিরোধীদের।
বিরোধীদলীয় নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্তব্যে তিনি হতাশ। এতে জনগণের ক্ষোভ আরও বাড়বে। প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে সরাতে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।