alt

কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে পার্লামেন্টে সায়, চূড়ান্ত রায় সাংবিধানিক আদালতে

সংবাদ ডেস্ক : রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

হঠাৎই সামরিক আইন জারি করে বিপাকে পড়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সরাতে দ্বিতীয় দফার অভিশংসন প্রস্তাবে অবশেষে সায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে এখনই বরখাস্ত হচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ইউন। চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য।

এএফপি জানায়, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিরোধীদলের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টে আনা দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অর্থাৎ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। একে ‘জনগণের জয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিরোধীরা।

এই ভোটাভুটিতে ইউনের ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কিছু সদস্য বিরোধীদলগুলোর সঙ্গে যোগ দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০০ সদস্যের আইন পরিষদে বিরোধীদলগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে ১৯২টি আসন। পিপিসির কিছু সদস্য প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ায় অভিশংসন জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নিশ্চিত হয়।

রয়টার্স জানায়, অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন ২০৪ জন আইনপ্রণেতা, প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন ৮৫ জন, আটটি ভোট বাতিল হয় এবং তিনজন ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।

ভোটের এই ফলাফলের মধ্যে দিয়ে ইউনকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার প্রাথমিক পথ খুলল। তাকে সরানো হলে সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন প্রধানমন্ত্রী হান দক-সু। হানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউনই নিয়োগ দিয়েছিলেন।

তবে আইন প্রণেতাদের এই রায় প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে সরানোর নিশ্চিয়তা দেয় না। কারণ এখানে আইনি মারপ্যাঁচও রয়েছে। অভিশংসনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। বরখাস্ত হলেও এসময় ইউন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বেই থাকবেন। তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হবে কিনা, দেশটির সাংবিধানিক আদালত আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোনো এক সময় সে সিদ্ধান্ত দেবেন। এ বিষয়ে সাংবিধানিক আদালতে শুনানি হবে। যদি আদালতের নয় সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের ছয়জন অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন, তখনই কেবল প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে পদ ছাড়তে হবে।

তেমন পরিস্থিতিতে ৬০ দিনের মধ্যে আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা অভিশংসিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন। এর আগে ২০১৭ সালে আরেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইকে অভিংশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে প্রথম দফা অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইন প্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় ওই যাত্রায় বেঁচে যান ইউন।

পরে নিজের সিদ্ধান্তের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন ইউন। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার’ প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার কট্টরভাবাপন্ন এই প্রেসিডেন্ট।

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

ছবি

পাকিস্তানে জঙ্গিদের হামলায় ১২ সেনা নিহত

tab

কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে পার্লামেন্টে সায়, চূড়ান্ত রায় সাংবিধানিক আদালতে

সংবাদ ডেস্ক

রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

হঠাৎই সামরিক আইন জারি করে বিপাকে পড়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সরাতে দ্বিতীয় দফার অভিশংসন প্রস্তাবে অবশেষে সায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। তবে এখনই বরখাস্ত হচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ইউন। চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য।

এএফপি জানায়, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিরোধীদলের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টে আনা দ্বিতীয় দফা অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অর্থাৎ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। একে ‘জনগণের জয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে বিরোধীরা।

এই ভোটাভুটিতে ইউনের ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কিছু সদস্য বিরোধীদলগুলোর সঙ্গে যোগ দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৩০০ সদস্যের আইন পরিষদে বিরোধীদলগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে ১৯২টি আসন। পিপিসির কিছু সদস্য প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ায় অভিশংসন জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নিশ্চিত হয়।

রয়টার্স জানায়, অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন ২০৪ জন আইনপ্রণেতা, প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন ৮৫ জন, আটটি ভোট বাতিল হয় এবং তিনজন ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন।

ভোটের এই ফলাফলের মধ্যে দিয়ে ইউনকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার প্রাথমিক পথ খুলল। তাকে সরানো হলে সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হবেন প্রধানমন্ত্রী হান দক-সু। হানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইউনই নিয়োগ দিয়েছিলেন।

তবে আইন প্রণেতাদের এই রায় প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে সরানোর নিশ্চিয়তা দেয় না। কারণ এখানে আইনি মারপ্যাঁচও রয়েছে। অভিশংসনের পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। বরখাস্ত হলেও এসময় ইউন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বেই থাকবেন। তাকে দায়িত্ব থেকে সরানো হবে কিনা, দেশটির সাংবিধানিক আদালত আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোনো এক সময় সে সিদ্ধান্ত দেবেন। এ বিষয়ে সাংবিধানিক আদালতে শুনানি হবে। যদি আদালতের নয় সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের ছয়জন অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন, তখনই কেবল প্রেসিডেন্টকে স্থায়ীভাবে পদ ছাড়তে হবে।

তেমন পরিস্থিতিতে ৬০ দিনের মধ্যে আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা অভিশংসিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন। এর আগে ২০১৭ সালে আরেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইকে অভিংশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে প্রথম দফা অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইন প্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় ওই যাত্রায় বেঁচে যান ইউন।

পরে নিজের সিদ্ধান্তের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন ইউন। জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার’ প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন দক্ষিণ কোরিয়ার কট্টরভাবাপন্ন এই প্রেসিডেন্ট।

back to top