তীব্র শীতে উদ্ধারকারীরা টিঙ্গরির ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের সন্ধানে
চীনের তিব্বত অঞ্চলের প্রত্যন্ত টিঙ্গরি কাউন্টিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই ভূমিকম্পটি নেপালের সীমান্তের কাছে মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আঘাত হানে। ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৮ মাত্রার, তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের মতে এর মাত্রা ছিল ৭.১। এ ঘটনায় আরও ১৮৮ জন আহত হয়েছেন এবং তিন হাজার ৬০০টির বেশি বাড়িঘর ধসে পড়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক এই ভূমিকম্পটি হিমালয়ের পাদদেশে, যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে গেছে, এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত টিঙ্গরি কাউন্টিতে আঘাত হানে। উদ্ধারকর্মীরা ইতিমধ্যে আহতদের উদ্ধার করার জন্য এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কাজ করছেন। সেই সাথে, সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য তাপমাত্রা মোকাবেলা করার জন্য তাঁবু ও কম্বল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের বের করে নিয়ে আসছেন এবং শীতের মধ্যে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সিসিটিভির প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, আহতদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারীরা প্রচণ্ড শীতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। এক উদ্ধারকর্মী কাঁদতে থাকা একটি শিশুকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন, অন্য একজন উদ্ধারকর্মী তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য করছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে প্রায় ১২ হাজার মানুষ উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আছেন দমকলকর্মী, সেনা, পুলিশ কর্মকর্তা এবং পেশাদার উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকার তীব্র শীতের কারণে দ্রুত তাঁবু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এ কারণে শীতকালীন আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
টিঙ্গরি কাউন্টির জনসংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার, যেখানে অনেক বাড়ি পাথর, মাটি এবং কাঠ দিয়ে নির্মিত। এই ভূমিকম্পটি বিশেষত গ্রামীণ এবং পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে, যেখানে আধুনিক নির্মাণের কোনো সুযোগ ছিল না।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন এবং উদ্ধারকাজে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের জন্য দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও শোক প্রকাশ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই বিপর্যয়ে নেপাল, ভারত, ও চীনের বিভিন্ন অঞ্চলেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পনে বিভিন্ন অঞ্চলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাও এই ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য গভীর শোক জানিয়েছেন এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। এমনকি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এ ঘটনায় তার সমবেদনা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবারের ভূমিকম্পটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের মাসে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক ভূমিকম্পে ১৪৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল, যার মধ্যে অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছিল।
তীব্র শীতে উদ্ধারকারীরা টিঙ্গরির ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের সন্ধানে
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
চীনের তিব্বত অঞ্চলের প্রত্যন্ত টিঙ্গরি কাউন্টিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই ভূমিকম্পটি নেপালের সীমান্তের কাছে মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আঘাত হানে। ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৮ মাত্রার, তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের মতে এর মাত্রা ছিল ৭.১। এ ঘটনায় আরও ১৮৮ জন আহত হয়েছেন এবং তিন হাজার ৬০০টির বেশি বাড়িঘর ধসে পড়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক এই ভূমিকম্পটি হিমালয়ের পাদদেশে, যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে গেছে, এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত টিঙ্গরি কাউন্টিতে আঘাত হানে। উদ্ধারকর্মীরা ইতিমধ্যে আহতদের উদ্ধার করার জন্য এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কাজ করছেন। সেই সাথে, সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য তাপমাত্রা মোকাবেলা করার জন্য তাঁবু ও কম্বল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আহতদের বের করে নিয়ে আসছেন এবং শীতের মধ্যে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সিসিটিভির প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, আহতদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারীরা প্রচণ্ড শীতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। এক উদ্ধারকর্মী কাঁদতে থাকা একটি শিশুকে কোলে নিয়ে যাচ্ছেন, অন্য একজন উদ্ধারকর্মী তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য করছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে প্রায় ১২ হাজার মানুষ উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আছেন দমকলকর্মী, সেনা, পুলিশ কর্মকর্তা এবং পেশাদার উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকার তীব্র শীতের কারণে দ্রুত তাঁবু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এ কারণে শীতকালীন আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
টিঙ্গরি কাউন্টির জনসংখ্যা প্রায় ৬২ হাজার, যেখানে অনেক বাড়ি পাথর, মাটি এবং কাঠ দিয়ে নির্মিত। এই ভূমিকম্পটি বিশেষত গ্রামীণ এবং পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে, যেখানে আধুনিক নির্মাণের কোনো সুযোগ ছিল না।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন এবং উদ্ধারকাজে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের জন্য দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও শোক প্রকাশ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই বিপর্যয়ে নেপাল, ভারত, ও চীনের বিভিন্ন অঞ্চলেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পনে বিভিন্ন অঞ্চলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাও এই ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য গভীর শোক জানিয়েছেন এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। এমনকি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এ ঘটনায় তার সমবেদনা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবারের ভূমিকম্পটি গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের মাসে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক ভূমিকম্পে ১৪৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল, যার মধ্যে অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছিল।