নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উদ্বেগ, ঘটনার তদন্ত চলছে
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেটব্লু এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ অবতরণের পর চাকার খোপ থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
জেটব্লু এয়ারলাইনস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, সোমবার রাতে ফ্লাইট ১৮০১ নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে ফ্লোরিডায় অবতরণের পর ল্যান্ডিং গিয়ারে এই দুই মরদেহ পাওয়া যায়। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতদেহগুলোর পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধারকৃত মৃতদেহ দুটি দুইজন পুরুষের এবং তারা পচে-গলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা উড়োজাহাজের চাকার খোপে লুকিয়ে ছিলেন। এই ধরনের স্থানগুলোতে তাপমাত্রা সাধারণত -৫০ থেকে -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়, যা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণ প্রতিকূল। এছাড়া, অক্সিজেনের অভাবও প্রাণঘাতী হতে পারে।
এ ধরনের ঘটনা এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর ঘাটতি নির্দেশ করে। কীভাবে দুই ব্যক্তি এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পেরিয়ে উড়োজাহাজের চাকার খোপে প্রবেশ করলেন, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে জেটব্লু।
এটি প্রথম ঘটনা নয়। গত বছর ডিসেম্বরে হাওয়াইয়ে অবতরণ করা ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের চাকার খোপে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে এর চেয়েও ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছিল যখন প্যারিসে আলজেরিয়ার একটি বিমানের আন্ডারক্যারেজ থেকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার বা কার্গো হোল্ডের মতো চাপহীন স্থানে লুকিয়ে থাকার ঘটনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে ভয়াবহ ঠান্ডা এবং অক্সিজেনের অভাবে বেশিরভাগ মানুষই বেঁচে থাকতে পারেন না। তবুও, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর ব্যবহার করে কেউ কেউ এমন ঝুঁকি নিতে বাধ্য হন।
জেটব্লু এয়ারলাইনস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে আরও তথ্য শিগগিরই জানানো হবে। এদিকে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উদ্বেগ, ঘটনার তদন্ত চলছে
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেটব্লু এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ অবতরণের পর চাকার খোপ থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
জেটব্লু এয়ারলাইনস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানায়, সোমবার রাতে ফ্লাইট ১৮০১ নিউইয়র্কের জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে ফ্লোরিডায় অবতরণের পর ল্যান্ডিং গিয়ারে এই দুই মরদেহ পাওয়া যায়। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতদেহগুলোর পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধারকৃত মৃতদেহ দুটি দুইজন পুরুষের এবং তারা পচে-গলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা উড়োজাহাজের চাকার খোপে লুকিয়ে ছিলেন। এই ধরনের স্থানগুলোতে তাপমাত্রা সাধারণত -৫০ থেকে -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়, যা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণ প্রতিকূল। এছাড়া, অক্সিজেনের অভাবও প্রাণঘাতী হতে পারে।
এ ধরনের ঘটনা এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুতর ঘাটতি নির্দেশ করে। কীভাবে দুই ব্যক্তি এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পেরিয়ে উড়োজাহাজের চাকার খোপে প্রবেশ করলেন, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে জেটব্লু।
এটি প্রথম ঘটনা নয়। গত বছর ডিসেম্বরে হাওয়াইয়ে অবতরণ করা ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের চাকার খোপে একটি মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে এর চেয়েও ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছিল যখন প্যারিসে আলজেরিয়ার একটি বিমানের আন্ডারক্যারেজ থেকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার বা কার্গো হোল্ডের মতো চাপহীন স্থানে লুকিয়ে থাকার ঘটনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে ভয়াবহ ঠান্ডা এবং অক্সিজেনের অভাবে বেশিরভাগ মানুষই বেঁচে থাকতে পারেন না। তবুও, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর ব্যবহার করে কেউ কেউ এমন ঝুঁকি নিতে বাধ্য হন।
জেটব্লু এয়ারলাইনস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে আরও তথ্য শিগগিরই জানানো হবে। এদিকে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।