যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়া দাবানল তৃতীয় দিনেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বাড়িঘর এবং অন্যান্য স্থাপনা পুড়ে গেছে। ভয়াবহ এই দাবানলে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে।
দাবানলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেডস। সেখানে ১৫ হাজার ৮৩২ একর জমি আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে এবং প্রায় ১ হাজার স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দমকলকর্মীরা দিনরাত কাজ করলেও রাতারাতি বাতাসের গতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা দাবানল মোকাবিলাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা জানিয়েছেন, "ধ্বংসযজ্ঞ দেখে মনে হচ্ছে, এসব এলাকায় যেন পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমরা আশা করি, সংখ্যাটা আর না বাড়ে।"
ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী বিলাল তুখি বলেন, "এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে, আমি যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ফিরে গেছি।"
প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকাটি তারকাদের বসবাসের জন্য পরিচিত। এই অভিজাত এলাকায় থাকা প্রাসাদোপম বাড়িগুলো এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাসিন্দারা মুখে মাস্ক পরে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িগুলো এক ঝলক দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ধোঁয়া, ছাই, এবং বাতাসে ভাসমান কণার কারণে শহরের পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। সুপারিনটেনডেন্ট আলবার্তো কারভালহো বলেন, "পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, আমরা শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো স্কুল বন্ধ রেখেছি।"
দাবানলের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকেও একটি প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। খরা এবং প্রবল বাতাস দাবানলের বিস্তার বাড়িয়ে দিয়েছে।
হলিউড অভিনেতা জেমি লি কার্টিস বলেন, "আমার পরিবার এই বিপর্যয়ে ত্রাণ তহবিলে ১০ লাখ ডলার দান করবে।" অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের জন্য পরিচিত শেফ হোসে আন্দ্রেস তার ফুড কার্ট নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে হাজির হয়েছেন। তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে ধনী-গরিব সবাইকে সমর্থন এবং ভালোবাসা দিতে হবে।"
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনর্বাসনের খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, "যেখানে যা প্রয়োজন, সেখানে ফেডারেল সহায়তা দেওয়া হবে।"
বেসরকারি পূর্বাভাস সংস্থা অ্যাকুওয়েদারের মতে, দাবানলের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস বলেন, "আমরা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে পুনর্নির্মাণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।"
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই দাবানল মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান ছিল। কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালেও এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়া দাবানল তৃতীয় দিনেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বাড়িঘর এবং অন্যান্য স্থাপনা পুড়ে গেছে। ভয়াবহ এই দাবানলে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে।
দাবানলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা প্যাসিফিক প্যালিসেডস। সেখানে ১৫ হাজার ৮৩২ একর জমি আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে এবং প্রায় ১ হাজার স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দমকলকর্মীরা দিনরাত কাজ করলেও রাতারাতি বাতাসের গতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা দাবানল মোকাবিলাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা জানিয়েছেন, "ধ্বংসযজ্ঞ দেখে মনে হচ্ছে, এসব এলাকায় যেন পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমরা আশা করি, সংখ্যাটা আর না বাড়ে।"
ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী বিলাল তুখি বলেন, "এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে, আমি যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ফিরে গেছি।"
প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকাটি তারকাদের বসবাসের জন্য পরিচিত। এই অভিজাত এলাকায় থাকা প্রাসাদোপম বাড়িগুলো এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাসিন্দারা মুখে মাস্ক পরে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িগুলো এক ঝলক দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ধোঁয়া, ছাই, এবং বাতাসে ভাসমান কণার কারণে শহরের পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। সুপারিনটেনডেন্ট আলবার্তো কারভালহো বলেন, "পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, আমরা শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো স্কুল বন্ধ রেখেছি।"
দাবানলের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকেও একটি প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। খরা এবং প্রবল বাতাস দাবানলের বিস্তার বাড়িয়ে দিয়েছে।
হলিউড অভিনেতা জেমি লি কার্টিস বলেন, "আমার পরিবার এই বিপর্যয়ে ত্রাণ তহবিলে ১০ লাখ ডলার দান করবে।" অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের জন্য পরিচিত শেফ হোসে আন্দ্রেস তার ফুড কার্ট নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে হাজির হয়েছেন। তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে ধনী-গরিব সবাইকে সমর্থন এবং ভালোবাসা দিতে হবে।"
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনর্বাসনের খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, "যেখানে যা প্রয়োজন, সেখানে ফেডারেল সহায়তা দেওয়া হবে।"
বেসরকারি পূর্বাভাস সংস্থা অ্যাকুওয়েদারের মতে, দাবানলের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস বলেন, "আমরা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে পুনর্নির্মাণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।"
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই দাবানল মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান ছিল। কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালালেও এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।