ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত তিনি প্রতিবেশী দেশটিতেই আছেন। বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে ফেরত চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব ভারত দেয়নি।
তবে দেশটির সাবেক মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা মণি শঙ্কর আইয়ার মতে, শেখ হাসিনা যতদিন চান, ততদিন তাকে ভারতে থাকার সুযোগ দেয়া উচিত।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ষোড়শ এপিজে সাহিত্য উৎসবে অংশ নিতে গত ১১ জানুয়ারি শনিবার কলকাতায় গিয়েছিলেন মণি শঙ্কর। সেখানে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে মনি শঙ্কর আইয়ার বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা সবাই একমত হব যে, শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক করেছেন। তাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। যতদিন তিনি থাকতে চান, সেটা যদি তার বাকি জীবনও হয়, তাকে সেই আতিথ্য আমাদের দেয়া উচিত।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গণহত্যা ও গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারের মুখোমুখি করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভার্বাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারতের আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি। বরং হাসিনার ভারতবাস দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিতে তাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট দেয়া হয়েছে বলে খবর এসেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে।
গত ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরকে স্বাগত জানিয়ে মণি শঙ্কর আইয়ার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার এবং ভারতের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করা।’
ভারতীয় কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে ‘ঠিক’, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ঘটেছে তারা ‘শেখ হাসিনার সমর্থক’ হওয়ার কারণে। তিনি বলেন, ‘ওগুলো (হিন্দুদের ওপর হামলার যেসব খবর এসেছে) সত্য, তবে অতিরঞ্জিত। অনেকগুলো ঘটনাই মূলত রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ঘটেছে।’
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত তিনি প্রতিবেশী দেশটিতেই আছেন। বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে ফেরত চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব ভারত দেয়নি।
তবে দেশটির সাবেক মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা মণি শঙ্কর আইয়ার মতে, শেখ হাসিনা যতদিন চান, ততদিন তাকে ভারতে থাকার সুযোগ দেয়া উচিত।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, ষোড়শ এপিজে সাহিত্য উৎসবে অংশ নিতে গত ১১ জানুয়ারি শনিবার কলকাতায় গিয়েছিলেন মণি শঙ্কর। সেখানে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে মনি শঙ্কর আইয়ার বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা সবাই একমত হব যে, শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক করেছেন। তাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। যতদিন তিনি থাকতে চান, সেটা যদি তার বাকি জীবনও হয়, তাকে সেই আতিথ্য আমাদের দেয়া উচিত।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। গণহত্যা ও গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারের মুখোমুখি করার জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতকে একটি কূটনৈতিক পত্র (নোট ভার্বাল) পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। ভারতের আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি। বরং হাসিনার ভারতবাস দীর্ঘায়িত করার সুযোগ দিতে তাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট দেয়া হয়েছে বলে খবর এসেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে।
গত ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরকে স্বাগত জানিয়ে মণি শঙ্কর আইয়ার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার এবং ভারতের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করা।’
ভারতীয় কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে ‘ঠিক’, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ঘটেছে তারা ‘শেখ হাসিনার সমর্থক’ হওয়ার কারণে। তিনি বলেন, ‘ওগুলো (হিন্দুদের ওপর হামলার যেসব খবর এসেছে) সত্য, তবে অতিরঞ্জিত। অনেকগুলো ঘটনাই মূলত রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ঘটেছে।’