ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের পর অবশেষে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে।
মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হবে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই গাজায় ফিলিস্তিনিরা উৎসব শুরু করেছে। তবে এর মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থামেনি। চুক্তির ঘোষণার পর গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করার পর এটি কার্যকর হবে। চুক্তির আওতায় গাজার সংঘাত বন্ধ হবে, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “এই চুক্তি গাজায় লড়াই থামাবে এবং ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করবে। এটি জিম্মিদের তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত করার সুযোগ তৈরি করবে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তির জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের নেতা খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের ‘দৃঢ়তার’ ফল।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হয়নি। চুক্তির পরবর্তী সময়েও গাজায় বিমান হামলা চালানো হয়, যা পুরো অঞ্চলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুদ্ধবিরতির খবরে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে রাস্তায় নেমে উদযাপন করেছেন, আবার কেউ ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে এটি গাজায় বহুদিন ধরে চলা মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব করতে পারে। তবে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের পর অবশেষে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে।
মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হবে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই গাজায় ফিলিস্তিনিরা উৎসব শুরু করেছে। তবে এর মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থামেনি। চুক্তির ঘোষণার পর গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করার পর এটি কার্যকর হবে। চুক্তির আওতায় গাজার সংঘাত বন্ধ হবে, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “এই চুক্তি গাজায় লড়াই থামাবে এবং ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করবে। এটি জিম্মিদের তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত করার সুযোগ তৈরি করবে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তির জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, হামাসের নেতা খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের ‘দৃঢ়তার’ ফল।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হয়নি। চুক্তির পরবর্তী সময়েও গাজায় বিমান হামলা চালানো হয়, যা পুরো অঞ্চলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুদ্ধবিরতির খবরে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে রাস্তায় নেমে উদযাপন করেছেন, আবার কেউ ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে এটি গাজায় বহুদিন ধরে চলা মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব করতে পারে। তবে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।