alt

চিঠিপত্র

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে পোষ্যকোটা

: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্যকোটা বলতে এমন একটি বিশেষ ব্যবস্থা বোঝানো হয়, যা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত। এই কোটার আওতায় তাদের জন্য নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ থাকে, যা তাদের ভর্তিতে বিশেষ সুবিধা দেয়। ফলে পাশ করুক বা না করুক, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পোষ্যকোটার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারে।

তবে, এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই সুবিধা কতটা ন্যায্য? এটি কি সমতার প্রতিফলন, নাকি পক্ষপাতিত্বের উদাহরণ?

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি দেশের মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা শুধু স্নাতক ডিগ্রি নয়, এমফিল ও পিএইচডি’র মতো উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ডিগ্রিও অর্জনের সুযোগ পায়। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা পূরণ ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। কঠোর পরিশ্রম এবং বিপুল অর্থ ব্যয় করেও একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ এখন অনিশ্চিত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটা পদ্ধতির প্রভাব।

এর মধ্যে পোষ্যকোটা এমন একটি ব্যবস্থা, যা মেধার ভিত্তিতে ভর্তির নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটি শিক্ষার ক্ষেত্রে সমতার পরিবর্তে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং সাংবিধানিকভাবে সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠার নীতিকে ব্যাহত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটার নামে যে প্রথা চালু রয়েছে, তা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই শিক্ষকদের পরিবার আদৌ কোনো দিক থেকে অনগ্রসর? তাদের সন্তানরা কি প্রকৃত অর্থে বিশেষ জনগোষ্ঠী ও সুবিধা বঞ্চিতদের আওতায় পড়েন? না পড়েন না। তারা টাকা পয়সা জ্ঞান-গর্ব সব দিক থেকে একটি সমৃদ্ধশালী পরিবারের সন্তান, তারা যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে প্রমাণ করবে তারা একটি যোগ্য পরিবারের সন্তান। তারা অন্যের পাওনা ন্যায্য অধিকারে কেন কুঠারাঘাত করবে?

হাবিবুল্লাহ বাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু চাই

পাঠ্যবই খোলাবাজারে কেন?

বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক : একটি অদৃশ্য প্রভাবের রাজনীতি

সাইবার সিকিউরিটি ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা

শহরের সবুজায়ন : টিকে থাকার লড়াই

ইজতেমার ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হোক

নারী ফুটবল ও সামাজিক সংকীর্ণতা

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম

জলাশয় রক্ষা করুন

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার খালপাড় সড়কটি সংস্কার করুন

পুকুর ভরাট ও অপরিকল্পিত ব্যবহার

পর্যটন কেন্দ্রে খাবারের অস্বাভাবিক মূল্য

নদী বাঁচলে , বাঁচবে দেশ

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

পানি দূষণ

রাজবাড়ী হাসপাতাল রোড সংষ্কার চাই

মাটির বাড়ি থেকে জিআই পণ্য : ঐতিহ্যের গল্প কলাইয়ের রুটি

ভাঙা হতে ফরিদপুর সদর সড়ক সংস্কার করুন

১০ম গ্রেড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার

টিসিবির কার্যক্রম

tab

চিঠিপত্র

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে পোষ্যকোটা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্যকোটা বলতে এমন একটি বিশেষ ব্যবস্থা বোঝানো হয়, যা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত। এই কোটার আওতায় তাদের জন্য নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ থাকে, যা তাদের ভর্তিতে বিশেষ সুবিধা দেয়। ফলে পাশ করুক বা না করুক, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পোষ্যকোটার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারে।

তবে, এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই সুবিধা কতটা ন্যায্য? এটি কি সমতার প্রতিফলন, নাকি পক্ষপাতিত্বের উদাহরণ?

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি দেশের মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার প্রধান কেন্দ্র। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা শুধু স্নাতক ডিগ্রি নয়, এমফিল ও পিএইচডি’র মতো উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ডিগ্রিও অর্জনের সুযোগ পায়। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা পূরণ ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। কঠোর পরিশ্রম এবং বিপুল অর্থ ব্যয় করেও একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ এখন অনিশ্চিত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন কোটা পদ্ধতির প্রভাব।

এর মধ্যে পোষ্যকোটা এমন একটি ব্যবস্থা, যা মেধার ভিত্তিতে ভর্তির নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটি শিক্ষার ক্ষেত্রে সমতার পরিবর্তে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং সাংবিধানিকভাবে সুযোগের সমতা প্রতিষ্ঠার নীতিকে ব্যাহত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটার নামে যে প্রথা চালু রয়েছে, তা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই শিক্ষকদের পরিবার আদৌ কোনো দিক থেকে অনগ্রসর? তাদের সন্তানরা কি প্রকৃত অর্থে বিশেষ জনগোষ্ঠী ও সুবিধা বঞ্চিতদের আওতায় পড়েন? না পড়েন না। তারা টাকা পয়সা জ্ঞান-গর্ব সব দিক থেকে একটি সমৃদ্ধশালী পরিবারের সন্তান, তারা যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে প্রমাণ করবে তারা একটি যোগ্য পরিবারের সন্তান। তারা অন্যের পাওনা ন্যায্য অধিকারে কেন কুঠারাঘাত করবে?

হাবিবুল্লাহ বাহার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top